রক্তের এলার্জি কমানোর উপায়

সাধারণত রক্তের মাধ্যমেই এলার্জি আমাদের শরীরে বিভিন্ন জায়গাতে ছড়িয়ে পড়ে। এলার্জি সাধারণত একটি ভুল বোঝাবুঝির কারণে আমাদের শরীরে হয়ে থাকে এবং আপনারা যদি এ বিষয়ে জানেন তাহলে অবাক হবেন যে এলার্জির পেছনে সবথেকে বড় ভূমিকা হচ্ছে আমাদের শরীরের ইমিউনিটি সিস্টেম। এই ইমিউনিটি সিস্টেমের কারণে সাধারণত এলার্জি হয়ে থাকে। রক্তে এলার্জি কিভাবে কমাবেন এ প্রসঙ্গে বলতে গেলে রক্তে যদি এলার্জি কমাতে চান তাহলে আপনাকে রক্তকে বিশুদ্ধ করতে হবে। বর্তমান আধুনিক যুগে আমরা আমাদের খাবারের অভ্যাস পরিবর্তন করেছি যার কারণে খাবারের সঙ্গে অত্যন্ত দূষিত কিছু পদার্থ আমাদের শরীরে প্রবেশ করছে।

শুধুমাত্র যে খাবারের সঙ্গে এই পদার্থ গুলো আমাদের শরীরে প্রবেশ করছে এমন নয় খাবারের পাশাপাশি বাতাসের সঙ্গে এবং অন্যান্য জিনিসের সংস্পর্শে আসার কারণে আমাদের শরীরে এই দূষিত পদার্থ প্রবেশ করছে যা আমাদের রক্ত কেউ দূষিত করছে। এই রক্ত দূষিত হওয়ার কারণে আমাদের শরীরে যে ইমিউনিটি সিস্টেম আছে সেটা অনেক সময় ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে যার ফলেই আমাদের শরীরে এলার্জি বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা যদি এই বিষয়ে সচেতনতা করে তুলতে পারি তাহলে রক্তে এলার্জি অবশ্যই কমবে।

রক্তে এলার্জি থাকলে কি হয়

রক্তে যদি এলার্জি থাকে তাহলে স্বাভাবিকভাবে সেটা আমাদের অনেক বিরক্তির কারণ হতে পারে। অনেক সময় এই বিরক্তি মৃত্যুর ঝুকিয়ে এনে দিতে পারে তাই সবসময় আমাদের সতর্ক থাকতে হবে এবং রক্ত যদি অ্যালার্জি থাকে সে বিষয়ে আগে থেকেই চিন্তাভাবনা রাখতে হবে। সাধারণত নির্দিষ্ট কোন জিনিসের বিপরীতে রক্তের এই অ্যালার্জি তার প্রক্রিয়া দেখাতে পারে তাই আমাদের সবসময় সাবধান থাকতে হবে কোন কোন জিনিসে অ্যালার্জি আছে সে বিষয়ে।

আমরা যদি এই বিষয়ে আগে থেকে অবগত হতে পারি তাহলে এই সাবধানতার কারণে আমরা অনেকটাই এলার্জি মুক্ত জীবন যাপন করতে পারব। তবে রক্তে এলার্জি থাকলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে যে সমস্যাগুলো দীর্ঘকালীন হতে পারে তাই যথাসময়ে চিকিৎসা গ্রহণ করা উচিত।

রক্তে এলার্জির লক্ষণ

এলার্জির লক্ষ্য নতুন ভাবে বলার কিছু নেই এলার্জির কারণে শরীরের বিভিন্ন অংশে চুলকানি সৃষ্টি করতে পারে। এর পাশাপাশি এখানে আরো কিছু সমস্যা দেখা দেয় অর্থাৎ শরীরের বিভিন্ন অংশে ঘামাচির মত ছোট ছোট জিনিস বের হতে পারে এ ছাড়াও বড় বড় চাকা বের হতে পারে যেগুলো অত্যন্ত সাংঘাতিক ব্যাপার। এছাড়াও শরীরের বিভিন্ন অংশে লাল দাগ হয়ে যেতে পারে এলার্জির কারণে।

তাই রক্ত যদি এলার্জি হয় এই বিষয়গুলো অবশ্যই আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে এছাড়াও রাতে এলার্জির কারণে কারো কর ঘন ঘন ঠান্ডা লাগা এবং শ্বাসকষ্ট থেকে শুরু করে হাঁচি হওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে গুরুতরে পর্যায়ে এলার্জি হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে তার কারণ হচ্ছে এগুলো অনেক সময় রোগীকে অসুস্থ করে ফেলতে পারে।

রক্তে এলার্জি কেন হয়

রক্তে এলার্জি হওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে ইমিউনিটি সিস্টেমের ভুল সিদ্ধান্ত। সাধারণত রক্তকে এত পরিমাণ দূষিত করা হয় যে সে রক্ত যখন আমাদের ইউনিটি সিস্টেমে প্রবেশ করে তখন সেখানে কিছু ধরনের ভুল সিদ্ধান্ত হয়। মনে করেন আপনি বেগুন খেয়েছেন সে বেগুনের যে উপাদানগুলো রয়েছে সেগুলো অবশ্যই আপনাদের জন্য উপকারী। কিন্তু বিষয়টি এমন হচ্ছে যে বেগুনকে আপনার ইউনিটি সিস্টেম মনে করেছে শত্রু।

আর সেই বেগুনের যে উপাদান গুলো রক্তের মধ্যে রয়েছে সেগুলো যখন ইমিউনিটি সিস্টেমের কাছে যেতে চায় তখন সেগুলো তাকে তাড়া শুরু করে। যার কারণে এই উপাদান এবং ইউনিটি সিস্টেমের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয় এবং এর ফলে পুরো শরীরে এলার্জি শুরু হয় যেটা অত্যন্ত সাংঘাতিক একটি ব্যাপার। এই বিষয়ের কারণে মূলত রক্তে অ্যালার্জি হয়।