সাধারণত বাচ্চাদের যদি হঠাৎ করে জ্বর আসে সে জ্বর দ্রুত কমানোর কোন উপায় নেই। তার কারণ হচ্ছে বাচ্চাদের খেতে অবশ্যই খুব সতর্কতার সঙ্গে আপনাকে জন্মকাবলা করতে হবে। বড়দের ক্ষেত্রে যতটা কঠোর হয়ে আপনি জ্বরের মোকাবেলা করবেন ততটা কঠোর হয়ে ছোটদের ক্ষেত্রে জ্বর মোকাবেলা করা যাবে না।
বাচ্চাদের সব সময় দেখ ভালের মধ্যে রাখতে হয়। তারপরও যদি হঠাৎ করে আপনার বাচ্চা অসুস্থ হয়ে যায় এবং জ্বরে আক্রান্ত হয় তাহলে আপনাকে খুব তাড়াতাড়ি তার চিকিৎসা শুরু করতে হবে। তাড়াতাড়ি চিকিৎসা করতে হবে বলে এমন নয় যে আপনি ভুল চিকিৎসা করবেন অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনভাবেই চিকিৎসা শুরু করা যাবে না। বাচ্চাদের জ্বরের ক্ষেত্রে সব সময় ভুল যেটা হয় সেটা হচ্ছে খুব অল্পতেই আমরা এন্টিবায়োটিক এর ব্যবহার করি যেটা একেবারে খারাপ।
বাচ্চাদের জ্বর ভালো করার জন্য কয়েকটি ধাপ আছে সাধারণ প্যারাসিটামল এর মাধ্যমে আপনাকে চেষ্টা করতে হবে সেটা নিয়ন্ত্রণ করার। এছাড়াও গরম আবহাওয়া গরম তেল ইত্যাদির মাধ্যমে বাচ্চাদের শরীরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করতে হবে এবং খেয়াল করতে হবে যাতে কোনোভাবেই তাকে ঠান্ডা না লাগে।
বাচ্চাদের জ্বর হওয়ার কারণ
বাচ্চাদের জ্বর হওয়ার বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। প্রথমত বাচ্চাদের জ্বর হওয়ার কিছু কারণ এর মধ্যে একটি কারণ হচ্ছে বাচ্চার মায়ের ঝান্ডা লাগা। সাধারণত যে বাচ্চাগুলো মায়ের বুকের দুধ খায় তাদের যদি মায়ের কোন ধরনের ঠান্ডা লাগার সমস্যা হয় তাহলে সেখান থেকে সঙ্গে সঙ্গে বাচ্চাদের ঠান্ডা লাগতে পারে। এছাড়াও বাচ্চারা একটু ঠান্ডা বা একটু গরম সহ্য করতে পারে না তাই আপনারা যদি এরকম কোন আবহাওয়া থাকে উপহার দেন যেখানে হঠাৎ করে তাপমাত্রার পরিবর্তন হয় তাহলে সেখানে অবশ্যই তাকে ঠান্ডা লাগবে।
এছাড়াও যে বাচ্চারা খাওয়া শিখেছে তাদের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের পানি ব্যবহার করা বাচ্চাদের জ্বর আসার অন্যতম লক্ষণ। শীতকালে বাচ্চাদের সঠিক পোশাক পরিধান না করানো এবং গোসলের সময় বাচ্চাদের অতিরিক্ত পানি ব্যবহার করার কারণ হতে পারে জ্বর।।
বাচ্চাদের জ্বর হলে কি করবেন
বাচ্চাদের জ্বর হলে অভিভাবককে ঠান্ডা মাথায় সিদ্ধান্ত গ্রহন করতে হবে। বাচ্চার জ্বর হলে সর্বপ্রথমে একটা জিনিস আমরা ভুল করি সেটা হচ্ছে জ্বর পরিমাপ না করা। এমনিতে কোন কারনে হঠাৎ করে বাচ্চার শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে তাই বলে যদি তার জ্বর না হয় এবং আপনি জ্বর ভেবে ওষুধ খাওয়াতে থাকেন তাহলে সেটা আপনার জন্য ভুল কারণ।
সবার প্রথমে বাচ্চাদের শরীরের জ্বর পরিমাপ করতে হবে এবং সেটা কি পরিমানে আছে সে সম্পর্কে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে। বাচ্চাদের যদি জ্বর আসে তাহলে একেবারেই প্লেন নাপা ব্যবহার করতে হবে এখানে যে সিরাপ আছে সেটার ব্যবহার করতে পারেন। অবশ্যই এই ওষুধের ডোজ নির্ভর করবে বাচ্চার বয়স এবং বাচ্চার ওজনের ওপর এই দুইটার উপর সামঞ্জস্য রেখে চিকিৎসকেরা আপনাকে ঔষধ খাওয়ার পরামর্শ দেবেন।
আশা করা যায় দুইয়ের থেকে তিন দিনের মধ্যে নিয়মিত ওষুধ সেবনের মাধ্যমে বাচ্চার জ্বর পুরোপুরি ভালো হয়ে যাবে তবে না হলে সে ক্ষেত্রে পুনরায় চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত। তবে যারা বাচ্চাদের একটু জ্বর দেখেই ঘাবড়ে যান এবং হুটহাট বাজার থেকে এন্টিবায়োটিক কিনে এনে খাওয়ান তারা সব থেকে বড় ভুল করেন এটা বাচ্চার ভবিষ্যতের জন্য হুমকি।
বাচ্চাদের জ্বরের ঔষধ
বাচ্চাদের জ্বরের প্রধান ওষুধ হচ্ছে প্যারাসিটামল। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে সিরাপ ব্যবহার করা হয় এবং এই সিরাপের খাওয়ার পরিমাপ নির্ভর করে বাচ্চার শারীরিক ওজন এবং বয়সের উপর। বিভিন্ন কোম্পানির সিরাপ বাজারে আছে আপনি চেষ্টা করবেন ভালো কোম্পানির সিরাপ গুলো কিনতে তার কারণ হচ্ছে এগুলোতে ওষুধের মান সঠিক বজায় থাকে এবং এখান থেকে সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।