দ্রুত হাই প্রেশার কমানোর উপায়

যাদের হাই পেশার আছে তাদের হঠাৎ করেই হাই প্রেসার বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বিশেষ করে যখন গরম অতিরিক্ত পরে এবং সে ব্যক্তি যদি অতিরিক্ত চিন্তা বা টেনসনে থাকে বা অতিরিক্ত পরিশ্রম করে তখন হঠাৎ করে হাই প্রেসার বৃদ্ধি পেতে পারে। এই অবস্থাতে যদি হাইপ্রেশার নিয়ন্ত্রণ করা না যায় তাহলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা করতে পারে। বড় ধরনের দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচাতে অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে কিভাবে হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করা যায়।সাধারণত হঠাৎ করে যে হাই প্রেসার বৃদ্ধি পায় সেটা অস্বাভাবিক কারণে হয়ে থাকে তাই এখানে অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে পরিবারের কারো যদি এরকম সমস্যা হয় তাহলে আপনি কি করবেন। আজকের এই আর্টিকেলে মূলত এই বিষয়ে আলোচনা করা হবে এবং বেশ কয়েকটি পদ্ধতি জানানো হবে যেগুলো থেকে ঘরোয়া উপায়ে হাই প্রেশার নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। যদি এগুলোর মাধ্যমে সেটা নিয়ন্ত্রণ করা না যায় তাহলে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।

হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি

দ্রুত হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সর্বপ্রথমে যে কাজটি করতে হবে সেটা হচ্ছে রেস্ট। সেই ব্যক্তি যে কাজটি করছিল বা যে জায়গাতে ছিল সেখানে পুরোপুরি রেস্টে চলে যেতে হবে হাই প্রেসার যদি অত্যাধিক মাত্রায় হঠাৎ করে বেড়ে যায়। সবার প্রথমে এই কাজটি নিশ্চিত করতে হবে।তারপরে যে কাজটি করতে হবে সেটা হচ্ছে হাই প্রেসার পরিমাপ করা অর্থাৎ হঠাৎ করে বেড়েছে কতটা বেড়েছে সেটা যদি পরিব্যাম না করেন তাহলে সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় করা যাবে না যেটা চিকিৎসা ক্ষেত্রে বাধা। সবার প্রথমে পরিমাপ করতে হবে হাই প্রেসার কতটা বৃদ্ধি পেয়েছে।এই অবস্থাতে রোগীর মাথাতে ঠান্ডা পানি ঢালা যেতে পারে। ঠান্ডা পানি ঢাললে কিছুটা শরীরের তাপমাত্রা কমে আসে যেটা হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তবে পরিস্থিতি যদি এমন হয় যে হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে রোগী আবার ঠান্ডাতে কাঁপতে শুরু করে তাহলে পানি ঢালা যাবেনা বিশেষ করে শীতকালে এই কাজটি করা যাবে না। এরপরেও যদি না কমে তাহলে দ্রুত হাসপাতালে আনতে হবে।

দ্রুত হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণের ঔষধ

দ্রুত হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করতে হলে হাই প্রেসার এর যে ওষুধ সেই ব্যক্তি খাচ্ছিল সেই ওষুধ একটি খাইয়ে দিতে হবে। অবশ্যই ওষুধ খাওয়ানোর পূর্বে সেই ব্যক্তির হাই প্রেসার মাপতে হবে যদি সত্যি সেটা হায় থাকে তাহলে অবশ্যই ওষুধ খাওয়াতে হবে। ওষুধের পাশাপাশি কিছু ঘরোয়া জিনিস আছে যেগুলো অনেকেই খাওয়ানোর কথা বলে থাকেন।সাধারণত টক জাতীয় জিনিস খেলে প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকে সেই ধারণা থেকে অনেকে মনে করেন এই অবস্থাতে যদি বাড়িতে লেবু থাকে তাহলে কয়েকটি লেবু রস চিপে গ্লাসে নিয়ে সেটা সে ব্যক্তিকে খাইয়ে দিলে ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে আস্তে আস্তে।

আবার অনেকে বলে থাকেন বাড়িতে যদি তেতুল থাকে তাহলে সেই তেতুলের রস দিয়ে একগলা শরবত তৈরি করে সেই শরবত সেই ব্যক্তিকে খাওয়ালে সেটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। আপনারা এগুলো করতে পারেন তবে একটি বিষয় সবসময় মাথায় রাখবেন যদি এটা নিয়ন্ত্রণের না আসে এবং রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে তাহলে কোন ভাবে বাড়িতে রাখা যাবে না। এ অবস্থাতে যতটা দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে নিয়ে আসতে হবে।

ব্লাড প্রেসার হলে কোন খাবার খাবেন

যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে তাদের ক্ষেত্রে সাধারণত এমন খাবার বেছে নেওয়া উচিত যে খাবারগুলোতে সোডিয়াম এর সংখ্যা বেশি থাকে। এই অবস্থাতে কোনভাবে অত্যাধিক ভাজাপোড়া এবং অত্যাধিক চর্বি জাতীয় খাবার খাওয়া যাবেনা। চেষ্টা করতে হবে সুষম খাবার খেতে যেখানে সঠিক পুষ্টিগুণ থাকে এবং সেটা শরীরের ক্ষতি না করে।এছাড়াও কিছু ঘরোয়া জিনিস আছে যেগুলো অনেকে খাওয়াতে চাই।