শারীরিকভাবে বিভিন্ন ধরনের অসুস্থতা প্রায়ই আমাদের শরীরে হয়ে থাকে এই ধরনের অসুস্থতা থেকে বাঁচার জন্য চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজন রয়েছে। আজকে এমন একটা কমন রোগের বিষয়ে কথা বলব যে কমন রোগ আমাদের প্রায় সকলের হয় এবং এটার কারণে আমরা অনেক বেশি কষ্ট পাই। এলার্জি এমন একটি সমস্যা যেটা আমাদের শরীরের প্রত্যেকটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ হতে পারে এবং এটার প্রায় কয়েক হাজার ধরন আছে। আজকে আমরা জানার চেষ্টা করব সেই এলার্জি সম্পর্কে এবং এলার্জি সম্পর্কে নিশ্চিত ভাবে জানতে হলে আমাদের যেই বড় টেস্ট করতে হয় সেই টেস্ট সম্পর্কে।
IGE সাধারণত এমন একটি ল্যাব টেস্ট যে টেস্টের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যায় রোগীর শরীরে কি পরিমান এলার্জির উপাদান রয়েছে। সাধারণত এই টেস্টের মাধ্যমে রোগীর শরীরে রক্তে এই জিনিসটার উপাদানের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয় এবং এর পরিমাণ যত বেশি বৃদ্ধি পায় মিশে হওয়া যায় তার শরীরে অ্যালার্জি হওয়ার উপকরণ সবথেকে বেশি রয়েছে। আজকে আমরা এই বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করবো আশা করছি শেষ পর্যন্ত আপনারা আমাদের সঙ্গে থেকে সকল কিছু জানতে পারবেন।
IGE টেস্ট কিভাবে করে
অনেকে প্রশ্ন করে থাকেন IGE টেস্ট কিভাবে করে থাকে এবং তাদের প্রশ্নের উত্তরে আমরা বলতে পারি সাধারণত এই টেস্ট করার মূল উপাদান হচ্ছে আক্রান্ত রোগীর ব্লাড। সবার প্রথমে এলার্জির বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে যখন রোগীরা চিকিৎসকের কাছে যাবেন তখন অবশ্যই চিকিৎসকসা সাধারণ চিকিৎসার মাধ্যমে তার রোগ সারিয়ে তোলার চেষ্টা করবে। কিন্তু যখন সাধারণ চিকিৎসার মাধ্যমে এলার্জির প্রকো প না কমে তখন চিকিৎসকেরা চেষ্টা করে ভালো মানের চিকিৎসা দিতে এবং যার কারণে রোগীদের একটি মেডিকেল টেস্ট করানোর কথা নির্দেশ দেন। মূলত এই টেস্টের নামই হচ্ছে IGE টেস্ট যার মাধ্যমে অল্প কিছু পরিমাণ ব্লাড নিয়ে প্যাথলজিক্যাল ল্যাব এ পরীক্ষা করে রেজাল্ট দেওয়া হয়।
IGE বেশি হলে কি হয়
সাধারণত এই রোগে আক্রান্ত হলে অবশ্যই আপনাকে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে হবে। তবে নিজ অভিজ্ঞতা থেকে আপনাদের এটা জানাচ্ছি যে সারা জীবন ঔষধ খাওয়া সম্ভব হবে না এবং ওষুধের মাধ্যমে এই ধরনের এলার্জিক সমস্যা কখনোই সম্ভব হবে না পুরোপুরি নির্মূলের। তবে হ্যাঁ জীবনযাত্রার মান পরিবর্তনে এবং কিছু অভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে আপনি এই এলার্জিকে অনেকটাই নির্ভর করতে পারবেন। চলুন আজকে জানার চেষ্টা করি সেই বিষয়ে সবটুকু আশা করছি শেষ পর্যন্ত আপনারা আমাদের সঙ্গে থাকবেন।
সবার প্রথমে যে জিনিসটা আপনি বেশি করতে পারেন সেটা হচ্ছে সুতির পোশাক পরিধান করা। আপনি যেকোনো ধরনের পোশাক পড়ুন না কেন চেষ্টা করবেন একেবারে সুতির পোশাক যেগুলো আছে সেগুলো পরিধান করা। সাধারণত উল বা এই ধরনের পোশাক পরিধানের মাধ্যমে এলার্জি বেশি সৃষ্টি হয় তাই এই ধরনের পোশাকগুলো পরিধান থেকে নিজেকে বিরত রাখার চেষ্টা করুন। এছাড়া অনেক রোগীর ক্ষেত্রে আসবাবপত্র অপরিষ্কার থাকে অর্থাৎ আপনি যেই বেডরুমে থাকছেন সেই বেডরুমে যে আসবাব পত্রগুলোর সেগুলো সবসময় পরিষ্কার রাখতে হবে।
যেসব স্থানে ধুলো জমায় সেসব স্থান পরিত্যাগ করতে হবে এবং বন্ধ করে রাখতে হবে। আমরা বিভিন্ন সমস্যার জন্য যখন ঔষধ খায় তখন খেয়াল রাখতে হবে যেন এই ওষুধগুলো এলার্জির কারণ না হয় তাই এই ওষুধগুলো পরিহার করতে হবে।
রক্তে এলার্জি কমানোর উপায়
অনেকের বাড়িতে দেখা যায় যে বিভিন্ন লোমশ প্রাণী গৃহপালিত পশু হিসেবে পোষা হয় ঠিক যেমন বেড়াল অথবা কুকুর। প্রাকৃতিকভাবে এলার্জি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এই অভ্যাসগুলো পরিহার করতে হবে তার কারণ হচ্ছে এই অভ্যাসগুলোর কারণে এলার্জি প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পায়। আরেকটি অভ্যাস আপনাকে অনেক আরাম দিতে পারে এলার্জি থেকে আর সেই অভ্যাস হচ্ছে বাইরে যান যখন তখন অবশ্যই মুখে মাস্ক ব্যবহার করুন। নিয়মিত আপনি যদি এই অভ্যাসগুলো মেইনটেইন করতে পারেন তাহলে আশা করা যায় আপনার এলার্জি ৮০ থেকে 90% এমনিতেই কমে যাবে বাকিটুকু ঔষধের মাধ্যমে আপনাকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।