কিডনির পয়েন্ট কমানোর উপায়

আপনারা যারা দীর্ঘদিন ধরে কিডনি রোগে ভুগছেন তাদের কাছে কিডনি রোগ অনেক যন্ত্রণাদায়ক একটি ব্যাপার। এটা এমন একটি সমস্যা যেটাকে নিয়মিত নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে আপনি যদি এটাকে নিয়ন্ত্রণ না করতে পারেন তাহলে যে কোন সময় অনেক বড় বিপদে পড়তে পারেন। যারা কিডনি রোগী আছেন তাদের কাছে কিডনির পয়েন্ট নিয়ন্ত্রণ রাখা অনেক কষ্টসাধ্য ব্যাপার তারপরও তাদের এই কাজটি নিয়মিতই করতে যেতে হবে।এর জন্য অবশ্যই আপনাকে কিছু কষ্ট করতে হবে অর্থাৎ নিয়মিত কিছু নিয়মের মধ্যে থাকতে হবে যাতে করে এই নিয়মগুলো আপনি কখনোই ভুল না করেন।আপনি যদি এই নিয়ম গুলোর না মানতে পারেন তাহলে সেটা আপনার কিডনির জন্য সমস্যা হতে পারে তাই সবসময় বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে। আজকে আমরা আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব কিডনি র পয়েন্ট স্বাভাবিক মাত্রায় রাখতে হলে কে কি করতে হবে।

কিডনি পয়েন্ট পরীক্ষা করবেন কারা

সাধারণত সুস্থ মানুষের জন্য এই পরীক্ষাগুলোর কোন প্রয়োজন নেই কিন্তু এমন কিছু মানুষ আছে যারা সুস্থ থাকার পরেও তাদের কিডনির সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাদের অবশ্যই এই পরীক্ষাগুলো করাতে হবে। নিয়মিত পরীক্ষাগুলো করাতে হবে এবং নিয়মিত পয়েন্ট গুলো চেক করতে হবে তাহলেই সেই নিশ্চিত হতে পারবে সুস্থ আছে কিনা। সাধারণত এমন কিছু মানুষ আছে যাদের পক্ষে এই টেস্ট গুলো করানোর দরকার আছে।ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিয়মিত কিডনি চেক করা অত্যন্ত জরুরি ব্যাপার। একটি গবেষণা থেকে দেখা গেছে যে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের শেষ বয়সে কিডনি ড্যামেজ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে সব থেকে বেশি। তাই যারা নিয়মিত কিডনি পরীক্ষা করেন না তাদেরকে বলব নিয়মিত কিডনি পরীক্ষা করান তার কারণ হচ্ছে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য এটা জরুরী।

যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে এবং দীর্ঘদিন ধরে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ সেবন করছেন তাদের অবশ্যই কিডনির পরীক্ষা করাতে হবে।উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এই কিডনির পরীক্ষা গুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং অনেক সময় দেখা যায় যে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে যে ঔষধ গুলো খাওয়া হয় সেগুলোর কারণে উদ্ভিদ নিতে নানা অনেক সমস্যা হয়।কম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তি নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষার মধ্যে কিডনির পরীক্ষাটা সেরে ফেলতে পারেন। এছাড়া অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে যে পরিবারে কিডনির সমস্যার রেকর্ড আছে সেই পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকে নিয়মিত কিডনির পরীক্ষা করাতে হবে।

ক্রিয়েটিনিন নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ

প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে যে কাজটি আপনাকে করতে হবে সেটা হচ্ছে প্রোটিনে লাগাম দিতে হবে। অবশ্যই প্রোটিন আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান লাগামহীনভাবে আমাদের শরীরে প্রবেশ করতে থাকে তাহলে সেটা হতে পারে সমস্যার কারণ। এছাড়া আশ জাতীয় খাবার নিয়মিত খেলে আপনার শরীর থেকে ক্রিয়েটি নিন বের হতে সুবিধা হবে।

সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে পানি অর্থাৎ আপনাকে পরিমিত পরিমাণে পানি পান করতে হবে যাতে করে আপনার কিডনি সঠিকভাবে কাজ করতে পারে। আপনার কিডনি যখন সঠিকভাবে কাজ করতে পারবে তখন সেটা আপনার জন্য ভালো দিক হবে। এছাড়াও আরো কিছু কাজ আমরা করতে পারি সেটা হচ্ছে লবণ খাওয়া কমাতে পারে। লবনের যে সোডিয়াম আছে সেই সোডিয়াম আমাদের কিডনির অভ্যন্তরে প্রবেশ করে সেখান থেকে কিডনির পাথর তৈরিতে অনেক সাহায্য করে। প্রয়োজনের তুলনায় কখনোই অতিরিক্ত লবণ আমরা খাব না এবং যদি সম্ভব হয় তাহলে কম লবণ খেয়ে অভ্যাস গড়ে তুলবো।

ধূমপান বা অ্যালকোহল জাতীয় খাবার অত্যন্ত ক্ষতিকারক কিডনির জন্য তাই এই বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে। আমরা সবসময় জানি যে ব্যায়াম শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী জিনিস কিন্তু আপনি হয়তো এটা জানেন না ভারী যে ব্যায়ামগুলো রয়েছে সেগুলো অনেক ক্ষেত্রে কিডনির জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে তাই এই বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।