কিডনির পয়েন্ট যদি বেশি থাকে তাহলে অবশ্যই চেষ্টা করতে হবে সেই পয়েন্ট নিয়ন্ত্রণ করতে। নিয়মিত সেই পয়েন্ট পরিমাপ করতে হবে এবং দেখতে হবে সেটা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে কিনা। আপনি যদি সঠিকভাবে কিডনির পয়েন্ট নিয়ন্ত্রণ না করতে পারেন তাহলে সেটা আপনার জন্য ক্ষতির কারণ। কিডনিতে পয়েন্ট নিয়ন্ত্রণ করতে হলে কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত সে সম্পর্কে আজকে আলোচনা করা হবে।
কেউ ইচ্ছে করে অসুস্থ হতে চায় না কিন্তু হঠাৎ করে যখন কেউ অসুস্থ হয়ে যায় তখন চেষ্টা করে সেই অসুখ থেকে পুরোপুরি সুস্থ হতে। সুস্থ হওয়ার জন্য অবশ্যই তাকে চেষ্টা করতে হবে নিয়মমাফিক এবং নিয়ম মেনে সব কিছু করতে। যাদের কিডনিতে সমস্যা আছে এবং যাদের কিডনির পয়েন্ট বেশি তাদের ক্ষেত্রে কিডনির পয়েন্ট নিয়ন্ত্রণে রাখা অনেক বড় ব্যাপার। সেই বড় ব্যাপারকে আপনি খুব সহজেই ছোট করতে পারেন কিছু নিয়মের মাধ্যমে আজকে আমরা সেই বিষয়ে জানার চেষ্টা করতে পারব।
রক্তে ক্রিয়েটিনিন মাত্রা নিয়ন্ত্রণের প্রাকৃতিক উপায়
রক্তের পয়েন্ট নিয়ন্ত্রণে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হচ্ছে কিডনিকে বিশ্রাম দেওয়া। আপনি যতটা বেশি কিডনিকে। এই বিষয়ে সবার প্রথমে যে কাজটি করতে হবে একজন ভালো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অধীনে আপনাকে চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। আপনি যখন তার অধীনে চিকিৎসা গ্রহণ করবেন অবশ্যই আপনাকে নিয়মিত রক্তের এই পরীক্ষা করে সেটা নিশ্চিত হতে হবে আপনার পয়েন্ট কত আছে। কিডনির পয়েন্ট নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে সবার প্রথমে নিজের খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন করতে হবে।
যে খাবারগুলো খেলে কিডনির সমস্যা হবে আপনাকে সেই খাবারগুলো একেবারেই বর্জন করতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে চিনি। চিনি এমন একটি ক্ষতিকারক উপাদান যেটা আপনার ডায়াবেটিস বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে এবং যার ফলে আস্তে আস্তে সেটা কিডনি সমস্যা তৈরি করবে। এছাড়াও কিছু খারাপ জিনিস আছে যেমন বিভিন্ন ধরনের ধূমপান এবং মধ্যপান। আপনি এই জিনিসগুলো যতই সেবন করবেন আপনার শরীরের জন্য ততই ক্ষতি। তা আপনি যদি আপনার কিডনির পয়েন্ট নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান বা কমাতে চান তাহলে এই খাবারগুলো সবার প্রথমে বর্জন করুন।
ক্রিয়েটিনিন কমানোর খাবার
এর পাশাপাশি একটি বিষয় আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে খাবারগুলো যখন খাবেন তখন যেন পরিমিত পরিমাণে খাবার হল খাওয়া হয়। একজন সুস্থ মানুষের পক্ষে প্রতিদিন দশ থেকে বার গেলাস পানি খেতে হবে। আপনি যখন প্রতিদিন নিয়ম অনুযায়ী এই ১০ থেকে ১২ ক্লাস পানি খাবেন তখন দেখবেন এমনিতেই আপনার কিডনির পয়েন্ট কমে এসেছে।এছাড়াও কিছু কিছু ক্ষেত্রে শুধুমাত্র খাবার আপনাকে বাঁচাতে পারবে না আপনাকে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে যে নিয়মগুলো আপনাকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে। নিয়মের মধ্যে রয়েছে শারীরিক পরিশ্রম। যাদের কিডনির পাথর জনিত সমস্যা আছে এবং এর কারণে কিডনির পয়েন্ট বেশি আছে তাদের ডাক্তাররা কিছু ব্যায়াম করতে পারেন যেই ব্যায়ামগুলো করলে অবশ্যই পাথরগুলো বেরিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এইভাবে আস্তে আস্তে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
ক্রিয়েটিনিন কমানোর ঔষধ
মূলত এটা কমানোর আলাদাভাবে কোন ঔষধ নেই। এমন কোন ঔষধ নেই যে আপনাকে ঔষধ খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আপনার ক্রিয়েটিনিন কমে যাবে। তবে হ্যাঁ কিডনিকে ভালো রাখার জন্য কিছু ঔষধ আছে ওষুধগুলো নিয়মিত সেবনের ফলে এবং কিছু নিয়ম আছে যে নিয়ম গুলো পুঙ্খানুপু রূপে মানার ফলে আপনার কিডনির অবস্থা ভালো হবে যার কারণে কিডনির পয়েন্টও কমে আসবে।
মোট কথা বলতে গেলে কিডনি এমন একটি অঙ্গ যেটা নিয়ে কোন ভাবে কোন ধরনের ছেলে খেলা বা কোন ধরনের অবহেলা করা যাবে না। এটা যেকোনো সময় ড্যামেজ হতে পারে এবং হলে সঙ্গে সঙ্গে রোগী মারা যাবে। সবসময় সতর্ক অবস্থানে থাকতে হবে এই ধরনের রোগীগুলোকে নিয়ে। আশা করছি কিডনির সমস্যার গুরুত্ব আপনারা বুঝতে পেরেছেন।