এস জি পি টি কমানোর উপায়

আপনার লিভার ফাংশনে যদি কোন সমস্যা হয় তাহলে একটি মাত্র টেস্টের মাধ্যমে সেই সমস্যা সম্পর্কে জানা যায় সেটা হচ্ছে এসজিপিটি টেস্ট। যদি কোন ধরনের উপসর্গ দেখা দেয় তাহলে দ্রুত ডাক্তারের কাছে যেতে হবে এবং ডাক্তারের কাছ থেকে আপনাকে এই সমস্যার সমাধান খুঁজে নিতে হবে। যদি পরীক্ষার ফলাফল অনেক বেশি খারাপ আসে তাহলে অবশ্যই সেটা অনেক চিন্তার ব্যাপার তবে যদি পরীক্ষার ফলাফল খুব একটা খারাপ না সামান্য বেশি হয় তাহলে চিন্তার কোন কারণ নেই।

সামান্য বেশি হওয়ার রোগীদের ক্ষেত্রে কিছু অল্প পরিমাণে ঔষধ এবং কিছু খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করলেই এটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। কিন্তু যাদের এই পরীক্ষার মান অনেক বেশি তাদের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে একের অধিক ঔষধ দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা পরে এবং আরো অনেক টেস্ট করে দেখা হয় গুরুতর কোন সমস্যা হয়েছে কিনা।অনেকে জানতে চাই এই টেস্টের মাধ্যমে কোন কোন রোগ সম্পর্কে জানা যায় তাদের প্রশ্নের উত্তরে বলতে গেলে আপনার লিভারে যদি কোন ধরনের ছোট হোক বা বড় হোক যেকোনো ধরনের সমস্যার প্রথম এবং প্রধান টেস্ট হচ্ছে এসজিপিটি টেস্ট। সামান্য সমস্যা থেকে শুরু করে বড় গ্যাস্ট্রিক আলসার বা লিভার ক্যান্সার এই সকল ধরনের রোগের প্রাথমিক পরীক্ষার নাম হচ্ছে এসজিপিটি।

এটা কমানোর জন্য আপনাকে অবশ্যই আপনার খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন করতে হবে অর্থাৎ অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার বর্জন করতে হবে। যারা পাসপোর্ট এর খাবার খেতে পছন্দ করেন তাদের সবার প্রথমে এই অভ্যাস পরিত্যাগ করতে হবে। যারা মদ্যপান করেন তাদের অবশ্যই ত্যাগ করতে হবে এই অভ্যাস। এর পাশাপাশি ভালো কিছু খাওয়ার খাবার অভ্যাসও আপনাকে গড়ে তুলতে হবে অর্থাৎ এমন কিছু খাবার যে খাবার গুলো আপনার লিভার কে কোন ধরনের সমস্যা ছাড়াই সুস্থ রাখবে ‌

এর পাশাপাশি অবশ্যই আপনাকে নিয়মিত চেকআপ করাতে হবে ডাক্তারের কাছে গিয়ে। নিয়মিত ডাক্তারের কাছে গেলে পুনরায় আপনাকে এই টেস্ট করাতে বলবে এবং এই টেস্টের মাধ্যমে আপনি আস্তে আস্তে বুঝতে পারবেন আপনার লিভারের সমস্যা নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে কিনা। যেকোনো ধরনের রোগকে অবহেলা করা উচিত নয় তার কারণ হচ্ছে এই ছোট ছোট অসুখ থেকে একদিন বড় অসুখ জন্ম নেয় তাই আমরা সবসময় ছোটখাট অসুখকে অবহেলা করব না এবং ছোটখাটো অসুখ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য চেষ্টা করব।

এসজিপিটি টেস্ট কিভাবে করে

এই টেস্ট সাধারণত প্যাথলজিক্যাল ল্যাবের মাধ্যমে করা হয় এবং এর জন্য যে কাজটি করা হয় সেটা হচ্ছে রোগীর শরীর থেকে স্যাম্পলের জন্য অল্প পরিমাণে রক্ত নেওয়া হয়। সম্পূর্ণ টেস্ট এই রক্তের মাধ্যমে করা হয় যেটা সত্যিই অবাক করা ঘটনা শুধুমাত্র কয়েক ফোঁটা রক্ত আর এর মাধ্যমে এত গুরুত্বপূর্ণ একটি টেস্ট সম্পন্ন করা হয় যেটা আপনি ভাবতেও পারবেন না।

এসজিপিটি ইজিপিটি টেস্ট করতে কি লাগে

এই টেস্ট করতে কোন ধরনের পূর্ব প্রস্তুতির প্রয়োজন পড়ে না অর্থাৎ রোগী যে অবস্থাতেই থাকুক না কেন এই টেস্ট করাতে পারবে। এজন্য শুধুমাত্র ব্লাড স্যাম্পল দিতে হবে। প্যাথলজিক্যাল ল্যাবের মাধ্যমে ৩০ মিনিট থেকে এক ঘন্টার মধ্যে এই টেস্টের রিপোর্ট প্রদান করা যায়।

এসজিপিটি টেস্ট করতে কত টাকা লাগে

আপনারা যারা এই টেস্টের খরচ নিয়ে চিন্তায় আছেন তাদেরকে বলব খুবই সামান্য খরচ অর্থাৎ ২৫০ টাকা থেকে ৫৫০ টাকার মধ্যে বাংলাদেশের যেকোনো সরকারী বা অথবা বেসরকারি হাসপাতালে এই টেস্ট করানো যায়। তাই খরচের দিকে না তাকিয়ে কোন রোগের যদি এই টেস্ট করানোর প্রয়োজন পড়ে তাহলে দেরি না করে ঝটপট এই টেস্ট করিয়ে নিন তার কারণ হচ্ছে এর মাধ্যমে আপনি বড় রোগের লক্ষণ সম্পর্কে ধারণা পাবেন। সব সময় সুস্থ থাকার জন্য এই পদক্ষেপগুলো তাড়াতাড়ি নেওয়ার চেষ্টা করুন।