হঠাৎ করে পেটের অনেক যন্ত্রণা অনুভব করলেন এবং তাৎক্ষণাৎ ডাক্তারের কাছে গেলেন ডাক্তার সাহেব আপনাকে একটি টেস্ট করানোর কথা বললেন। ডাক্তারের কথামতো রোগী যদি এই টেস্ট করায় এবং করার ফলে যদি টেস্টের রিপোর্ট খারাপ আসে তাহলে সেটা কিভাবে কমাবে এই প্রশ্ন অনেকেই করেন। অসুস্থ হলে চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে তাই সবার প্রথমে যে কাজটি আমরা পড়তে বলবো সেটা হচ্ছে আপনাকে চিকিৎসা করাতে হবে সুস্থ হওয়ার জন্য। সাধারণত এই টেস্টের মাধ্যমে লিভার ফাংশনের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা আছে এটা ধারণা পাওয়া যায় তবে কি সমস্যা হয়েছে সেই ধারণা পাওয়ার জন্য পুনরায় অন্যান্য টেস্ট করতে হবে।
এই অন্যান্য টেস্ট গুলোর মধ্যে যদি সাধারণ রোগ যেমন জন্ডিস অথবা লিভার ইনফেকশনের মতন সমস্যা দেখা দেয় তাহলে দুশ্চিন্তার কোনই কারণ নেই। যারা এই ধরনের রোগে আক্রান্ত হয় তাদের ক্ষেত্রে পরামর্শ হচ্ছে ঔষধের চেয়ে নিজের অভ্যাসের পরিবর্তন করতে হবে এবং যেকোনো ধরনের ভাজাপোড়া খাওয়ার থেকে দূরে থাকতে হবে। জন্ডিস রোগীদের ক্ষেত্রে অবশ্যই রেস্ট এর প্রয়োজন রয়েছে এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেয়ে অল্প দিনের মধ্যেই পুরোপুরি সুস্থ হওয়া যায়। তবে যাদের জটিল রোগ হয়ে থাকে যেমন লিভার সিরোসিস থেকে লিভার ক্যান্সার এই ধরনের রোগের ক্ষেত্রে প্রচুর পরিমাণে চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে যেটা বলে শেষ করা যায় না।
SGPT কিসের টেস্ট এরকম প্রশ্ন যদি কেউ করে থাকে তাহলে তার প্রশ্নের উত্তরে আমরা বলতে পারি এটা হচ্ছে আপনার লিভারের একটি টেস্ট। আপনার পাকস্থলীতে কোন ধরনের সমস্যা হয়েছে কিনা সে সমস্যাগুলো একেবারে চিহ্নিত করতে একটি আদর্শ টেস্ট হচ্ছে SGPT টেস্ট। প্রাথমিক পর্যায়ে বাইরে থেকে সামান্য একটি টেস্টের মাধ্যমে লিভারের সার্বিক অবস্থা যাচাই করার জন্য এই টেস্ট ব্যবহার করা হয় যেটা প্রত্যেকটি রোগ নির্ণয়ের প্রথম এবং প্রধান টেস্ট।
SGPT টেস্ট কিভাবে করে
সাধারণত যাদের এই টেস্ট করানোর প্রয়োজন রয়েছে তারা অবশ্যই চিকিৎসকের কাছ থেকে সঠিক পরামর্শ নিয়েছেন তারপরও যদি আপনার জানতে ইচ্ছে হয় তাহলে আমরা ঠিক একই কথা বলব। অর্থাৎ আপনাকে শুধুমাত্র ব্লাড স্যাম্পেল প্রদান করতে হবে প্যাথলজিতে এবং অপেক্ষা করতে হবে টেস্টের রিপোর্টের জন্য। ল্যাবে যারা উপস্থিত আছেন তারা ব্লাড সাম্পল কালেকশন করে তার মাধ্যমে সঠিক প্রক্রিয়াতে রিপোর্ট তৈরি করে এবং সেই রিপোর্ট পাওয়া যায় 1 থেকে 2 ঘন্টার মধ্যে। তাই আশা করছি আপনারা খুব সহজে বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।
SGPT কমানোর ঔষধ
সাধারণত যে কোন ধরনের রোগ নির্ণয়ের জন্য এটা প্রাথমিক পর্যায়ের একটি টেস্ট তাই এখানে যদি সাধারণ কোন রোগ হয় যেমন জন্ডি স তাহলে আপনাকে জন্ডিসের চিকিৎসা করাতে হবে। খুব বেশি হলে এক মাস এর মধ্যে জন্ডিস ভালো হয়ে যাবে তারপরে আপনার SGPT এমনিতেই কমে আসবে। তবে বড় কোন রোগ হলে এখানে সহজে কম হওয়ার কোন আশঙ্কা নেই এর জন্য প্রয়োজন ভালো মানের চিকিৎসা এবং ভালো মানের পরামর্শ। আশা করছি বিষয়টি আপনারা পরিষ্কার ভাবে বুঝতে পেরেছেন।
SGPT টেস্ট করানোর সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া
একজন রোগী যখন পেটের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যাবে চিকিৎসক সাভার প্রথমে যে টেস্ট করাতে বলবে সেই টেস্টের নাম হচ্ছে SGPT। তার কারণ হচ্ছে এই টেস্ট করলে রোগীর পাকস্থলীর সার্বিক অবস্থা চিহ্নিত করা যায় এবং সেখানে কোন ধরনের সমস্যা বা কোন ধরনের রোগ হয়েছে কিনা সেটা জানা যায়। যদি টেস্টের রিপোর্ট ভালো থাকে তাহলে চিকিৎসা করা সাধারণ চিকিৎসা দেয় যেমন ধরুন গ্যাস অথবা অন্যান্য সাধারণ চিকিৎসা যার ফলে এটার কষ্ট দূর হয়ে যায়। তবে বড় কোন ধরনের সমস্যা দেখা দিলে এই টেস্টের মান অতিরিক্ত হবে এবং যার ফলে পুনরায় সঠিক রোগ নির্ণয়ের জন্য আবার অন্যান্য টেস্ট করে সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে হবে।