বিলিরুবিনের পরিমাণ কমানোর ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে ধৈর্য ধরতে হবে। এটা অনেক বড় ধৈর্যের খেলা। যার যত বেশি ধৈর্য আছে সে ততটাই সুস্থ হতে পারবে। আরেকটা বিষয় হচ্ছে যারা অতিমাত্রায় ব্যস্ত থাকেন তাদের ক্ষেত্রে এই বিলিরুবিন কমানো অনেক কষ্টসাধ্য ব্যাপার বিশেষ করে যারা পরিবারের একমাত্র উপার্জন করা ব্যক্তি। যদি পরিবারের এরকম প্রধান কেউ এরকম সমস্যায় পড়ে তাদের পক্ষে বাড়িতে বসে থাকা সম্ভব হয়না যার কারণে খুব সহজে এটাকে কমানো যায় না।
দুঃখজনক হলেও এটাও এটাই বাস্তবতা যদি আপনি সুস্থ থাকতে চান তাহলে অন্তত কয়েক দিনের না খেয়ে হলেও আপনাকে বাঁচাতে রেস্ট করতে হবে এটাই হচ্ছে বিলিরুবিন কমানোর সবথেকে উত্তম পন্থা। এর জন্য অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ আপনি নিতে পারেন কিভাবে অন্য উপায়ে এই রোগকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় এছাড়াও কতটুকু বিশ্রাম নিলে পুরোপুরি সুস্থ হওয়া যাবে সেটা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে ডাক্তারের সঙ্গে কথা বললে।
বিলিরুবিন কমানোর ঔষধ
সাধারণত এটা কোন ধরনের রোগ নয়, যার জন্য ঔষধ দেওয়া হয় না। এটা মূলত কিছু কারণে রক্তে একটি উপাদান বৃদ্ধির কারণে হয়ে থাকে এবং সেই উপাদানের নাম হচ্ছে বিলিরুবিন। তবে এটা যদি দীর্ঘদিন ধরে একজন রোগীর শরীরে সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে সেটা সেই রোগীর লিভারের বিভিন্ন সমস্যা তৈরি করতে পারে। এই লিভার সমস্যার মধ্যে লিভার ক্যান্সার অন্যতম। লিভারের কার্যক্ষমতা কে কমিয়ে আনবে এবং লিভারকে সংক্রমণ করবে এরকম সমস্যা যদি কারো হয় তাহলে অবশ্যই সে ক্ষেত্রে ঔষধ আছে।
সেটা লিভারের সমস্যা সমাধান করার জন্য ঔষধ সরাসরি বিলিরুবিন কমানোর জন্য ঔষধ নয়। সাধারণ পর্যায়ে যদি এর মাত্রা থাকে তাহলে স্বাভাবিক কিছু নিয়ম মেনে পুরোপুরি সুস্থ হওয়া যায় আলাদাভাবে কিছু করতে হয় না বা কোন ওষুধ খেতে হয় না।
বিলিরুবিন বেড়ে গেলে কি খাবেন
এই অবস্থাতে খাওয়ার প্রতি অবশ্যই নজর দিতে হবে এবং কিছু নিয়ম মেনে খাবার খেতে হবে। কোনভাবেই এই অবস্থাতে আজেবাজে খাবার খাওয়া যাবেনা যেমন যারা ধূমপান করেন অথবা অ্যালকোহল সেবন করেন এই অবস্থাতে সেগুলো একেবারেই বর্জন করতে হবে তা না হলে সুস্থ হওয়া অসম্ভব।
এছাড়াও এই অবস্থাতে একেবারেই তেল চলবে যুক্ত খাবার খাওয়া যাবে না যতক্ষণ না পর্যন্ত সেই রোগীর সুস্থ হচ্ছে। চেষ্টা করতে হবে এমন ভাবে খাবার তৈরি করতে শুধুমাত্র আলাদাভাবে রোগীর জন্য যেখানে মসলা তেল চর্বির পরিমাণ থাকে একেবারেই কম। আয়তক্ষেত্রে এগুলো বাদ দিয়েও খেলে সব থেকে ভালো হয়। এছাড়াও তরল জাতীয় খাবার বেশি খেতে হবে চেষ্টা করতে হবে ভাতের ক্ষেত্রে ভাত যাতে নরম হয় অথবা বিভিন্ন ধরনের সুপ বা এই জাতীয় খাবার বেশি বেশি খেতে।
পানি খাওয়ার ক্ষেত্রেও বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে অনেকেই মনে করেন এই অবস্থাতে যত বেশি পানি পান করা যাবে যত বেশি আখের রস খাওয়া যাবে ততটাই ভালো। অবশ্যই এগুলো শরীরের জন্য উপকারী কিন্তু অতিরিক্ত মাত্রায় পানি বা অতিরিক্ত মাত্রায় আখের রস সরাসরি আপনার এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণে কাজ করে এরকম বিজ্ঞানসম্মত কোন প্রমাণ এখনো হয়নি। আপনি এগুলো খেতে পারেন একেবারে পর্যাপ্ত এবং পরিমিত পরিমাণে।
বিলিরুবিন বেড়ে গেলে কি করবেন
রক্ত যদি বিলিরুবিনের পরিমাণ বেড়ে যায় তাহলে বিশ্রামে চলে যেতে হবে উক্ত ব্যক্তিকে। এই অবস্থাতে যে যত বেশি বিশ্রাম করবে এবং যে যত বেশি খাবারকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে সে তত তাড়াতাড়ি সুস্থ হবে। কিছু কিছু গবেষক তো এই সমস্যাকে কোন ধরনের রোগ মানতে নারাজ তারা শুধু বলেন এগুলো হচ্ছে এমন সমস্যা যেগুলো মানুষের অভ্যাস পরিবর্তন এর কারণে হয়ে থাকে যা অভ্যাসের পরিবর্তন এর সাথে সাথে ভালো হয়ে যায়। আশা করছি বিষয়টি আপনারা বুঝতে পেরেছেন।