একটি দম্পতি যখন বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় তখন তারা মোটামুটি একটি পরিকল্পনা করে। অবশ্যই সেই পরিকল্পনাতে সবথেকে ওপরে এবং সব থেকে বড় পরিকল্পনা হচ্ছে সন্তান। সময় মত সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য তারা সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করে চেষ্টা করে অভিভাবক হওয়ার। এই প্রচেষ্টায় অধিকাংশ মানুষই সফল হয় এবং সফল হওয়ার সময়ে তাকে অনেক কিছুই খেয়াল করতে হয়। একজন স্ত্রী যখন গর্ভধারণ করে তার শরীরের অনেক পরিবর্তন হয় বিশেষ করে তার নিয়মিত যে ঋতুচক্র ছিল সেটা বন্ধ হয়ে যায় যেটা অনেক বড় একটি পরিবর্তন।
তবে এছাড়াও আরো কিছু বিশেষ লক্ষণ আছে যে লক্ষণগুলো বোঝা যায় গর্ভবতী মায়েদের গর্ভে সন্তান আসলে। আজকে আমরা এই লক্ষণগুলো নিয়ে আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব আশা করছি আপনারা শেষ পর্যন্ত থাকবেন এবং এই জ্ঞান মূলক প্রশ্নের উত্তর গুলো জানবেন। আর হ্যাঁ আপনাদের কাছে অনুরোধ থাকছে আপনারা যদি আলাদাভাবে কিছু জানতে চান তাহলে অবশ্যই সে সম্পর্কে আমাদের অবগত করতে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে একটু আমাদের জানাবেন।
গর্ভধারণের লক্ষণ
প্রথমেই গর্ভধারণ হলে সঙ্গে সঙ্গে মাসিক বন্ধ হয়ে যাবে। যেই তারিখে মাসিক হওয়ার কথা ছিল সেই তারিখ অতিক্রম হয়ে যাওয়ার পরেও মাসিক হওয়ার কোন সম্ভাবনাই থাকবে না। এ সময় গর্ভবতী মা নিজে বুঝতে পারবে তার মাসিক বন্ধ হয়ে গেছে তবে অনেকের ক্ষেত্রে যদি কোন ধরনের সমস্যা থাকে তাহলে এটা বন্ধন নাও হতে পারে। আমি অনেককে দেখেছি যাদের কিছু সমস্যা ছিল এবং সমস্যার কারণে মাসিক বন্ধ না হয়েও তারা গর্ভবতী হয়েছিল কিছুদিন যাওয়ার পরে তারপরে এটা বন্ধ হয়েছিল।
এরপরে যে পরিবর্তন একজন গর্ভবতী মা বুঝতে পারবে সেটা হচ্ছে তার শরীরের একটা আলাদা অনুভব। তার শরীর ভারী হতে শুরু করবে মনে হবে স্তন দুটির ওজন বেড়ে গেছে এবং সেগুলো ব্যথায় ভরে গেছে। এছাড়াও পেটের ওজন বৃদ্ধি বা পেট বড় হয়ে যাওয়ার মতন অনুভূতি গর্ভবতী মায়ের হতে শুরু করবে।
আরো কিছু সমস্যা যেটা উপসর্গ হিসেবে দেখা দেয় সেটা হচ্ছে ঘনঘন প্রস্রাব হওয়া। এটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া তার কারণ হচ্ছে এই অবস্থাতে সঠিকভাবে হাইজিন মেন্টেন করতে পারেনা গর্ভবতী মা যার কারণে প্রস্রাবের ইনফেকশন হতে পারে এবং ঘন ঘন প্রস্রাব হতে পারে। অনেকের ক্ষেত্রে সঙ্গে সঙ্গে খাওয়ার প্রতি অনিহা সৃষ্টি হতে পারে এবং যার কারণে ক্ষুধামন্দা এবং অনেকের বমি বমি ভাব লাগতে পারে খাবারের কারণে। সাধারণত এই লক্ষণ গুলোই গর্ভবতী মায়েদের ক্ষেত্রে প্রাথমিক অবস্থাতে দেখা দেয়।
প্রেগনেন্সি টেস্ট পজিটিভ বোঝার উপায়
টেস্ট পজিটিভ বোঝার উপায় হচ্ছে প্রেগন্যান্সি টেস্ট করার জন্য যে কাঠি আপনি ব্যবহার করেছেন সেখানে দুইটা দাগ আশা। অবশ্য একটু খেয়াল করলে দেখবেন সেখানে স্পষ্ট দুইটি দাগ এসেছে কিনা যদি দুইটি দাগের না আসে অথবা স্পষ্ট দুইটি দাগ না হয় তাহলে অবশ্যই আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য। তবে এই সময়টুকু কেন জানিনা অতিক্রম করতেই চায় না তার পরেও ধৈর্য সহকারে আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে অন্তত সাত দিন।
প্রেগনেন্সি টেস্ট কিভাবে করবেন
এই টেস্ট করানোর দুটি পদ্ধতি আছে একটি হচ্ছে বাড়িতে নিজে নিজে আরেকটি হচ্ছে প্যাথলজিক্যাল ল্যাবে। আপনি যদি বাড়িতে নিজে নিজে করতে এক্সপার্ট হন তাহলে অবশ্যই করাবেন তার কারণ হচ্ছে বাড়িতে করালে সবার আগে আপনি নিজেই নিশ্চিত হতে পারবেন আপনার প্রেগনেন্সি জার্নি সম্পর্কে। এরপরে আরো ভালোভাবে নিশ্চিত হওয়ার জন্য অবশ্যই প্যাথলজিক্যাল ল্যাবে আপনাকে এই টেস্ট করাতে হবে এছাড়াও বাচ্চার পজিশন ঠিক জায়গাতে আছে কিনা সেটা জানার জন্য ছোট্ট করে একটা আলট্রাসনোগ্রাফি করিয়ে নেওয়া ভালো। এটা বাচ্চার মা এবং বাচ্চাকে অনেক বড় সুরক্ষা দিবে যেটা বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে আমি বলছি।