গনোরিয়া হলে কি কি সমস্যা হয়

গনোরিয়া হচ্ছে এক ধরনের যৌন রোগ। এটা সাধারণত অনিরাপদ যৌন মিলনের কারণেই হয়ে থাকে। আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে যদি অন্য কেউ যৌন মিলন করে এবং সেটা যদি অনিয়ন্ত্রিত হয় তাহলে অবশ্যই সেই সঙ্গীর ও গনোরিয়া হতে পারে। আজকে আমরা এই গনোরিয়া বিষয়ে বিস্তারিত আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব। আজকে আমরা আলোচনা করার চেষ্টা করবো সাধারণ ও পুরুষের ক্ষেত্রে কোন কোন উপসর্গ বা কোন কোন সমস্যা থাকলে এটা বোঝা যায়।এটা এক ধরনের রোগের নাম এবং নারী-পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রে এটা হয়ে থাকে যা অত্যন্ত কষ্টদায়ক যৌন রোগ। নাইজেরিয়া গনোরিয়া নামক একপ্রকার ব্যাকটেরিয়ার কারণে আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে মেলামেশার দুই থেকে দশ দিন পরে রোগের লক্ষণ দেখা যায়। সাধারণত ২০১৬ থেকে ২০১৭ সালে পুরুষদের মধ্যে গনোরিয়ার হার দ্বিগুণ হয়েছে তারপরে সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সেটা বর্তমানে নিয়ন্ত্রিত আছে।

যেসব লক্ষণে বোঝা যায় পুরুষের গনোরিয়া রোগ হয়েছে

বর্তমানে পুরুষদের মধ্যে এই রোগ ছড়ানো সংখ্যা সব থেকে বেশি তাই আজকে আমরা জানার চেষ্টা করব পুরুষদের কোন কোন লক্ষণে সেটা নিশ্চিতভাবে বলা যায় যে তার গনোরিয়া হয়েছে। পুরুষদের গনোরিয়া হওয়ার প্রধান লক্ষণ গুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে নিতম্বের চুলকানি। যদি মায়ো ক্লিনিকে তথ্য অনুযায়ী বলতে হয় তাহলে গন রিয়া মলদ্বারকে আক্রমণ করতে পারে যার ফলে মলদারিও চুলকানি ও ডিসচার্জ বা রক্তপাত হতে পারে। অনেকের ক্ষেত্রে ডায়রিয়া হওয়ার প্রবণতা এবং নিতম্বের প্রচুর পরিমাণে চুলকানি দেখা দেয়।

অনেক অনেক সময় দেখা যায় যে ব্যতিক্রম ভাবে কারো কারো গলা ব্যথা তৈরি হতে পারে। এটা সাধারণত ওরাল সেক্সের কারণে হয়ে থাকে যা গনোরিয়া ডেভলপ করতে অনেক বেশি সাহায্য করে। ওরাল সেক্সের মাধ্যমে এই ব্যাকটেরিয়া মুখে দিয়ে গলা অব্দি যেতে পারে যার কারণে গলা ব্যথা এবং লসিকা গ্রন্থির ফুলে যেতে পারে।এছাড়াও ডিসচার্জ হচ্ছে এই রোগের ইনফেকশনের সর্বাধিক কমন লক্ষণ এবং এটা পাতলা পায়খানার সঙ্গে ঘন ঘন হতে পারে। সিডিসি অনুসারে কোন পুরুষ ইনফেক্টেড হওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে তার ডিসচার্জ এর অভিজ্ঞতা হবে এবং ডিসচার্জ এর বর্ণ কিংবা পরিমাণ যাই হোক না কেন ডিসচার্জ প্রতিনিয়তই হোক না কেন বা অনিয়মিতই হোক না কেন সেটা হবে যা স্বাভাবিক ব্যাপার নয়।

গনোরিয়া রোগের চিকিৎসা

সাধারণত যদি প্রাথমিক পর্যায়ে এই রোগে ধরা পড়ে তাহলে পেনেছিলেন ব্যবহারের মাধ্যমেই এই রোগের চিকিৎসা করা যায়। সাধারণত প্যানে ছিলেন রেজিস্ট্রেট ব্যক্তিকে সেনসিটিভ ঔষধের চিকিৎসা দেওয়া যেতে পারে যাতে করে সে তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়। তবে যদি এর মাত্রা অনেক বেশি হয় সেই ক্ষেত্রে একমাত্র উপযুক্ত জীবাণুবিরোধী বা অ্যান্টিমাইক্রোরিয়াল ঔষধ বেশ ভালো কাজ করে। নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে এখান থেকে পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার জন্য।

গনোরিয়া প্রতিরোধে কিছু পদক্ষেপ

গনোরিয়া প্রতিরোধের ক্ষেত্রে যৌনসঙ্গে নির্বাচন অত্যন্ত সতর্ক এবং অত্যন্ত নিশ্চিত হয়ে করতে হবে। এক্ষেত্রে স্বামী স্ত্রী এর মধ্যে যৌন সম্পর্ক সীমিত থাকার চেয়ে বড় কোন সঠিক পদ্ধতি নেই যেটা সব দিক দিয়েই ভালো।যারা এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে তাদের ক্ষেত্রে রোগ সম্পূর্ণ নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত নতুন ভাবে যৌন মিলন করা যাবে না হোক সে তার স্বামী অথবা স্ত্রী হোক না কেন।

অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে হোমিওপ্যাথির মতো উপসর্গ অনুসারে গ্রহণ করলে রোগ প্রতিরোধ করা যাবে। এখানে রোগ পুনরায় আর ফিরে আসে না তাই একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের নিকট চিকিৎসা নিলে পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার ঘটনা অনেক দেখা গেছে।ওষুধ গ্রহণের দুই সপ্তাহ পরে চেষ্টা করতে হবে যাতে করে একটি পরীক্ষা করা হয় যে পরীক্ষার নাম ভিডি আর এল। এই পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যাবে পুরোপুরি সুস্থ হয়েছে কিনা।