একজন ব্যক্তি যখন অসুস্থ হয়ে যান তখন সবার প্রথমে তিনি নিজেই বুঝতে পারেন। মানুষের শরীর এত সুন্দর ভাবে নিয়ম মেনে চলে যে সেখানে যদি কোন অনিয়ম হয় তাহলে সেটা বোঝার উপায় আছে। যার শরীরে সমস্যা হয়েছে তিনি বুঝতে পারে এবং কি সমস্যা হয়েছে তার একটি আচও করতে পারে। আমরা সাধারণত আপনাদের সঙ্গে আজকে যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে এসেছি সেটা হচ্ছে লিভারের বিভিন্ন ধরনের রোগ আছে সে রোগ গুলো বোঝার জন্য প্রাথমিক অবস্থা দেখুন লক্ষণগুলো আমরা খুঁজে পাবো।
একজন লিভার আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে সবার প্রথমে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এটা নিশ্চিত করা তার লিভারের কোন সমস্যা হয়েছে কিনা। প্রাথমিকভাবে যে লক্ষণ গুলো দেখা যাবে সেগুলো আমাদের পরিপাক প্রক্রিয়াকে একটু ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। স্বাভাবিক খাওয়া-দাওয়াতে হঠাৎ করে কেন জানিনা পেটে অত্যাধিক যন্ত্রণা বা পেতে অত্যাধিক ব্যথা হচ্ছে।
লিভারের সমস্যার উপসর্গ
আপনি যে খাবারগুলো আগে খেতেন সেই খাবারগুলো এখন খেতে পারছেন না সেই খাবারগুলো খেতে গেলে কেন জানি না গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বেড়ে যাচ্ছে এবং মনে হচ্ছে পেট জ্বলছে। বিহারের সমস্যায় আরো কিছু সমস্যা দেখা যেতে পারে সেটা হচ্ছে ঘন ঘন বমি হওয়া বা বমি বমি ভাব হওয়া। এই সমস্যাগুলো যখন বোঝা যাবে তখন একটু সতর্ক অবস্থায় নিয়ে যেতে হবে এবং চেষ্টা করতে হবে ভালো খাবারের মধ্যে যেতে।
তারপরেও যদি সমস্যার সমাধান না হয় তাহলে আরো কিছু উপসর্গ আপনি খুঁজবেন যেমন মনে করুন আপনার বদহজম হতে পারে। অথবা অল্প খাওয়াতেই হঠাৎ করে পেট যেন মনে হচ্ছে ভর্তি হয়ে গেল এবং পেট ভারী ভারী হয়ে গেল। এই সমস্যা যদি দেখা যায় তাহলে অবশ্যই সেটা চিন্তার আর যদি হঠাৎ করে এই অবস্থাতে কারো ওজন কমে যায় তাহলে তো এটা সত্যিই দুশ্চিন্তার। এই উপসর্গ গুলো যদি পাওয়া যায় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে এবং তার পরামর্শ অনুযায়ী আপনাকে সুস্থ হওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
লিভারের সমস্যার প্রতিকার
লিভারের প্রাথমিক যে সমস্যাগুলো রয়েছে সেগুলো সাধারণত কিছু নিয়মের মধ্যে দিয়েই ভালো করা যায়। আপনি হয়তো লিভারের অনেক রোগের কথা শুনেছেন কিন্তু আমি আপনাকে বলব লিভারের বেশিরভাগ রোগের ক্ষেত্রে আপনাকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে আপনার খাবার। আপনি যত দ্রুত এই খাবারগুলোকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবেন এবং সঠিক খাবার খাবেন দেখবেন আপনি তত দ্রুত সুস্থ হয়েছেন।
ভালো খাবারের মধ্যে অবশ্যই আপনাকে বর্জন করতে হবে খারাপ খাবার। খারাপ খাবারের মধ্যে বর্তমান বিশ্বে জনপ্রিয় প্রস্তুত করা খাবার গুলো একটি এবং প্যাকেটজাত খাবার হচ্ছে আরেকটি। প্যাকেটজাত খাবার যে খাবারগুলো খেতে অনেক ভালো লাগে কিন্তু সেই খাবারগুলো তৈরিতে প্রচুর পরিমাণে কেমিক্যাল এবং প্রচুর পরিমাণে রঙের ব্যবহার করা হয়। অনেক খাবারে তো টেস্টিং সল্ট ব্যবহার করা হয় যেটা লিভার ক্যান্সারের সবথেকে বড় শত্রু।
এই সমস্যাগুলো থেকে আপনি যখন নিজেকে ঠিক করবেন তখন দেখবেন লিভারের সমস্যা আস্তে আস্তে চলে গেছে। লিভারকে ভালো রাখতে আমরা যে পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করি সেই পদক্ষেপের ভালো দিক হচ্ছে এটা আমাদের পুরো শরীরকেই ভালো রাখে তাই আপনি যদি একমাত্র নিজের লিভারগের যত্ন করতে পারেন তাহলে আপনি একই সঙ্গে পুরো শরীরের যত্ন করতে পারছেন এটা হয়তো অনেকেই ভেবে দেখেনা।
আমরা প্রতিনিয়ত আমাদের এই ওয়েবসাইটে এমন কিছু তথ্য নিয়ে আসার চেষ্টা করি যে তথ্যগুলো আমাদের আশেপাশে থাকা সত্ত্বেও সে সম্পর্কে আমাদের কোন জ্ঞান নেই। আমরা কখনোই আমাদের লেখাগুলিতে কোন কঠিন শব্দ ব্যবহার করিনা সহজ ভাষায় এবং বাংলা ভাষায় আমরা এতটা ছোট আকারে এই তথ্যগুলো উপস্থাপন করি যে আপনারা যে কেউ এই সম্পর্কে ধারণা পাবেন এবং বুঝতে পারবেন।