মানব শরীরের বিভিন্ন অংশে বিভিন্নভাবে টিউমার দেখা দিতে পারে। এ টিউমার গুলো এতটাই সাংঘাতিক যে তারা ক্যান্সারের ভাইরাস বহন করে। আমরা যদি সঠিক সময়ে টিউমারের চিকিৎসা করতে না পারি তাহলে হতে পারে টিউমার থেকে ক্যান্সার হতে পারে। সব সময় চেষ্টা করতে হবে সঠিক সময়ে টিউমারের চিকিৎসা করতে যাতে সমাধান পাওয়া যায়। তবে টিউমারের চিকিৎসার ক্ষেত্রে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল সবার আগে বুঝতে পারা টিউমার কিভাবে হয়েছে।
সাধারণত বিভিন্ন ধরনের টিউমারের লক্ষণ বিভিন্ন ধরনের তাই আপনাকে অবশ্যই এই লক্ষণ গুলোর মাধ্যমে বুঝতে হবে টিউমার হয়েছে কিনা। যেমন টিউমার হলে যে অংশে টিউমার হবে সেই অংশে প্রচন্ড ব্যথা হবে। যে অঙ্গে এই টিউমার হবে সেই অংশের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা কমে আসবে তাই বোঝা যাবে সেই অংশে কোন গন্ডগোল হয়েছে। এছাড়াও টিউমার হলে অস্বাভাবিকভাবে ওজন কমে আসে। এবং বিভিন্ন ধরনের আরও অন্যান্য সমস্যার সৃষ্টি হয় যেমন তলপেটে ব্যথা থেকে শুরু করে বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া। অনেক সময় শরীরের বিভিন্ন অংশে দুর্বলতা এবং খিচুরি দেখা দিতে পারে।
ব্রেন টিউমারের প্রাথমিক লক্ষণ
ব্রেন টিউমার অত্যন্ত সাংঘাতিক একটি ঘটনা। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ব্রেন টিউমার স্বাভাবিক পর্যায়ে ধরা পড়েনা এবং যখন ধরা পড়ে সেখান থেকে বেঁচে ফেলা যায় না। বিভিন্ন গবেষণা থেকে উঠে এসেছে যে ব্রেন টিউমারের সাধারণত দুটি ধরন আছে। তবে আপনি বাইরে থেকে কিভাবে বুঝবেন কারো ব্রেন টিউমার হয়েছে কিনা অথবা ব্রেন টিউমারের যে লক্ষণ বা উপসর্গগুলো আছে সেগুলো কি কি সে সম্পর্কে এখন আলোচনা করব।ব্রেন টিউমারের প্রাথমিক লক্ষণ হল মাথাব্যথা এবং চোখে ঝাপসা দেখা। স্বাভাবিকভাবে এগুলো অন্য কারণে হতে পারে তবে এর সঙ্গে আরো কিছু উপসর্গ আছে। এই উপসর্গগুলো যখন একসঙ্গে দেখা দিবে তখনই কেউ নিশ্চিত ভাবে বলতে পারে তার ব্রেন টিউমার হয়েছে কিনা।
ব্রেন টিউমারের আরো কিছু লক্ষণের মধ্যে মাথা ব্যথা হওয়া এবং তার সঙ্গে এই মাথাব্যথা খুব ভোরের দিকে শুরু হয়। অনেক সময় এর কারণে খিচুনি হতে পারে এবং সেটা বিভিন্ন স্থানে শুরু হতে পারে এবং পুরো শরীরে ছড়িয়ে যেতে পারে।এই সমস্যার কারণে মস্তিষ্কের ভেতরে পিটুইটারি গ্ল্যান্ডে টিউমার হলে রোগীর দৃষ্টিশক্তি কমে যায়। দেখা গেছে যে রোগীর এমন পরিস্থিতি হয় যেখানে সামনের অংশটুকু দেখতে পেলেও পরের অংশটুকু সে দেখতে পায় না এভাবে আস্তে আস্তে সে অন্ধ হতে পারে।
ব্রেনের সামনের অংশে যদি টিউমার হয় সে ক্ষেত্রে এই ধরনের রোগীরা স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলতে পারে এবং আস্তে আস্তে সে একেবারেই এতটাই স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলেছে তার পূর্বে জীবনে কিছু মনে রাখতে পারে না।ব্রেন টিউমারের আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ হচ্ছে শরীরের ভারসাম্য হারিয়ে ফেলুন অর্থাৎ ব্রেন এবং চোখ যখন অকার্যকর হয়ে যায় তখন শরীরে কোন ভারসাম্য থাকে না বিশেষ করে হাঁটার সময় এই বিষয়গুলো বোঝা যায়।অনেক সময় রোগীর টিউমারের কারনে শরীরের বিভিন্ন অংশ প্যারালাইজড হয়ে যেতে পারে। এছাড়া রোগীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হতে পারে ব্রেন টিউমারের কারণে ।
পেটের টিউমারের প্রাথমিক লক্ষণ
পেটের টিউমারের মধ্যে সবথেকে প্রথমে যে লক্ষণ দেখা দেবে সেটা হচ্ছে পেটে যন্ত্রণা । পেটের যন্ত্রণার সঙ্গে যে উপসর্গ দেখা দেবে সেটা হচ্ছে হালকা বমি বমি ভাব এবং বমি হওয়া। এছাড়াও পেটে যদি টিউমার হয় তাহলে পেটের স্বাভাবিক কার্যক্রমতা কমে আসবে অর্থাৎ পেটে হজম শক্তি কমে যাবে এবং অনেক সময় এর কারণে ডায়রিয়া অথবা কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে। এছাড়াও অস্বাভাবিকভাবে পেটের টিউমারের কারণে বমির সময় রক্ত ওঠা অথবা পায়খানার রাস্তায় রক্ত বের হওয়ার মতন প্রবণতা দেখা দিতে পারে। পেটে টিউমার আছে কিনা তার জন্য অবশ্যই আপনাকে বড় ধরনের পরীক্ষা করতে হবে এই সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হলে।