জরায়ুর ক্যান্সারের লক্ষণ গুলো কি কি

বর্তমান বিশ্বে মেয়েদের মধ্যে সবথেকে আতঙ্কের রোগের নাম হচ্ছে জরায়ু ক্যান্সার। বিশেষ করে অসচেতনতা এবং অবহেলার কারণেই মূলত এই ক্যান্সার মানব শরীরে বাসা বাঁধে। তাই সহজ ভাষায় যদি এর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে চায় তাহলে আমাদের গণসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে এবং নিজের প্রতি যত্নবান হয়ে উঠতে হবে। আজকে আমরা জানার চেষ্টা করব এই মরণঘাতী জরায়ুর ক্যান্সার রোগের বিভিন্ন লক্ষণ যেগুলো আগে থেকেই চিহ্নিত করতে পারলে অনেক জীবন বেঁচে যাবে।

ক্যান্সারের চিকিৎসা এখন পর্যন্ত পৃথিবীতে আবিষ্কৃত হয়নি সেটা আমরা সকলে অবগত আছে কিন্তু এই ক্যান্সার যদি প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়ে তাহলে খুব সহজেই বেশ কয়েকটি চিকিৎসা পদ্ধতি একত্রিত করে এর চিকিৎসা করা হয় সেটাও আমরা জানি। তাই এই লক্ষণগুলো বা উপসর্গগুলো জানা অত্যন্ত জরুরি ব্যাপার যদি আপনি এগুলো জানেন তাহলে প্রাথমিক পর্যায়ে এগুলো ধরা সহজ হবে এবং মুক্তি পাওয়া যাবে ক্যান্সার থেকে।

জরায়ুর ক্যান্সার যেভাবে বোঝা যায়

জরায়ুর ক্যান্সার যেভাবে বোঝা যায় সে সম্পর্কে বেশ কয়েকটি উপসর্গ এখন আমরা আপনাদের সামনে বলবো আপনি আপনার সঙ্গে মিলিয়ে দেখতে পারেন। সাধারণত মেয়েদের ক্ষেত্রে অবহেলার কারণে জরায়ুর ক্যান্সার বিস্তার লাভ করে এবং এই অবহেলা থেকে মেয়েরা কোনভাবে নিজেকে মুক্ত করতে পারে না তার কারণ হচ্ছে বর্তমান সমাজ ব্যবস্থা। যাক আমরা লক্ষণগুলো নিয়ে কথা বলি আশা করবো এই লক্ষণগুলো জানার পরে আপনি নিজে থেকে সচেতন হবেন।মেয়েদের ক্ষেত্রে হঠাৎ করে খুদা কমে যাওয়ার প্রবণতা জরায়ুর ক্যান্সারের অন্যতম লক্ষণ। কোন কারণ ছাড়াই কেন জানি না খাওয়ার প্রতি অনীহা সৃষ্টি হয়েছে এরকম যদি হয়ে থাকে তাহলে আপনি জরায়ু ক্যান্সারের একটি লক্ষণ আপনার শরীরে খুজে পেলেন।

এই রোগের আরেকটি লক্ষণ হচ্ছে বমি বমি ভাব কিংবা বারবার বমি হওয়া। বমি তো অনেক কারণেই হতে পারে তবে যদি অন্যান্য উপসর্গ গুলোর সঙ্গে সঙ্গে বমি হওয়া উপসর্গ থাকে তাহলে অনেকেই মনে করতে পারেন জরায়ুর ক্যান্সারের আরো একটি লক্ষণ দেখা দিয়েছে।হঠাৎ করে পেটে ব্যথা এবং পেট ফুলে থাকা বিশেষ করে তলপেট। সাধারণত একটা দুইটা উপসর্গ দেখে এটা নিশ্চিতভাবে বলা যায় না রোগীর কি সমস্যা হয়েছে যার কারণে আপনাকে বেশ কয়েকটি উপসর্গ ফলো করতে হবে তাদের মধ্যে একটি হচ্ছে পেট ফুলে থাকা।

চার নাম্বার যে উপসর্গ দেখা দিতে পারে সেটা হচ্ছে বদহজম বা কোষ্ঠকাঠিন্য অনেকের ক্ষেত্রে গ্যাসের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এ অবস্থাতে যখন কেউ খাবার খেতে যাবে তখন অল্প খাবার খেয়ে তার পেট ভরে যাবে এমন মনে হবে এবং অল্প খাওয়ার খাবার খাবার পরে কেন জানিনা অস্বস্তি অনুভব হবে।এই সমস্যার ক্ষেত্রে যৌনাঙ্গের চারপাশে চাপ চাপ বোধ হয় এবং ঘন ঘন মূত্রত্য ত্যাগ হওয়া স্বাভাবিক ব্যাপার। যাদের জরায়ুর ক্যান্সার ধরা পড়বে তাদের ক্ষেত্রে এই উপসর্গ গুলো খুব ভালোভাবে বোঝা যাবে।

জরায়ুর ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে একটি বিষয় ঘটতে পারে সেটা হচ্ছে অতিরিক্ত ওজন হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়া আবার অতিরিক্ত ওজন হঠাৎ করে কমে যাওয়া এটা কার ক্ষেত্রে কেমন হবে আলাদাভাবে বলা যাবে না।এছাড়াও অতিরিক্ত ক্লান্তি এবং আরো অন্যান্য লক্ষণ ধরা পড়তে পারে এই ধরনের সমস্যার কারণে তবে যেটাই হোক না কেন মনে যদি সন্দেহ থাকে তাহলে চিকিৎসকের কাছে অবশ্যই যাবেন।

জরায়ু ক্যান্সার কি ভালো হয়

অবশ্যই এই ক্যান্সার ভালো হয় তবে এর জন্য ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীকে তার একটি অঙ্গ হারাতে হয়। যদি এই ক্যান্সার প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়ে এবং এটা যদি রক্তে ছড়িয়ে না পড়ে তাহলে অপারেশনের মাধ্যমে জরায় কেটে ফেলা হয় এবং কেমোথেরাপি এবং রেডিওথেরাপির মাধ্যমে তার জীবাণুগুলো মেরে ফেলা হয় যার মাধ্যমে ক্যান্সার থেকে সুস্থ হওয়া যায়।