মাথা ঘোরা ও বমি কিসের লক্ষণ

বিভিন্ন ধরনের শারীরিক দুর্বলতা বিভিন্ন উপসর্গের মাধ্যমে দেখা যায়। আমাদের শরীর একটা নিয়মের মধ্য দিয়ে চলে সেই নিয়মের যদি কোন উল্টাপাল্টা হয় তাহলে সেটা আমাদের শরীর বোঝানোর চেষ্টা করে বিভিন্ন উপসর্গের মাধ্যমে। বিভিন্ন উপসর্গের মাধ্যমে যদি আমরা বুঝতে পারি শরীরের কোন সমস্যা হয়েছে তাহলে আমরা সেই রোগ থেকে মুক্ত হতে পারব। তবে যদি আমরা রোগমুক্ত হতে না পারি তাহলে সেটা আমাদের জন্য অনেক ক্ষতিকারক হবে তাই অবশ্যই আমাদের মাথায় এটা রাখতে হবে যে সাধারণত কোন রোগের লক্ষণ কি হতে পারে।

মাথা ঘোরা বা বমি বমি ভাব আলাদাভাবে যদি হয়ে থাকে সেগুলো আলাদাভাবে অন্য রোগ নির্দেশ করে তবে যদি মাথা ঘোরায় এবং বমি একইসঙ্গে হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই কিছু কিছু রোগ আছে যেগুলোর কারণে হতে পারে। হঠাৎ করে কারো যদি প্রেসার প্রচুর বৃদ্ধি পায় সে ক্ষেত্রে মাথা ঘোরায় এবং বমি বমি ভাব হতে পারে। এটা এক ধরনের রোগের নির্দেশনা করে।

অনেক মানুষের ক্ষেত্রে হঠাৎ করে মাথায় কোন জোরে আঘাত লাগলে সেই ক্ষেত্রে মাথা ঘোরা এবং তার সঙ্গে বমি বমি ভাব অনুভূত হতে পারে যেটা অত্যন্ত বড় ধরনের একটি সমস্যা। এছাড়াও রোগীদের ক্ষেত্রে মাথা ঘোরা এবং বমি বমি ভাব হতে পারে মাইগ্রেনের সমস্যার কারণে। অনেকের ক্ষেত্রে অত্যাধিক শারীরিক দুর্বলতার কারণেও যে রোগ গুলো হয়ে থাকে সেই রোগের পূর্বাভাস বা উপসর্গ আকারে মাথা ঘোরা এবং বমি বমি ভাব দেখা যেতে পারে একই সঙ্গে।

মাথা ঘুরা কোন রোগের লক্ষণ

মাথা ঘোরা অনেক সময় সাধারণ লক্ষণে হতে পারে আবার অনেক সময় বড় কোন রোগের কারণে হতে পারে। সাধারণ কারণে যদি কোন ব্যক্তির মাথা ঘুরে তাহলে সেটা হতে পারে শারীরিক দুর্বলতা। বাইরে থেকে দেখেও একজন ব্যক্তিকে ততটা শারীরিক দুর্বল না মনে হলো ভেতর থেকে যদি সে শারীরিক দুর্বল থাকে তাহলে যেকোনো সময় তার মাথা ঘোরাতে পারে এমনকি মাথা ঘুরে সে পড়ে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে শারীরিক দুর্বলতার কারণে।

তবে গুরুতর কারণে মাথা ঘোরার আরেকটি কারণ হতে পারে মাইগ্রেনের সমস্যা। যাদের অত্যধিক মাইগ্রেনের সমস্যা আছে এবং মাইগ্রেনের যন্ত্রণা যখন অনেক বেশি হয় তখন তাদের মাথা ঘোরার প্রবণতা দেখা দেয় এই অবস্থাতে মাইগ্রেনের চিকিৎসা করলে সেটা কমতে পারে। মাথা ঘোরা অনেক রোগীদের ক্ষেত্রে ভারসাম্যহীনতা নির্দেশ করে অর্থাৎ যাদের মানসিক সমস্যা সৃষ্টি হয় যেমন মনে করুন মানসিক ভারসাম্য হারানো এই ধরনের রোগীদের ক্ষেত্রেও মাথা ঘোরা প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে দেখা যেতে পারে। আর একটা বিষয় নিখুঁতভাবে পর্যালোচনা করতে হবে সেটা হচ্ছে আপনি এই অবস্থাতে কোন ঔষধ খাচ্ছেন কিনা তার কারণ হচ্ছে বিভিন্ন ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে মাথা ঘোরা স্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়া।

ঘন ঘন বমি কিসের লক্ষণ

ঘন ঘন বমি হওয়া বিভিন্ন কারণে হতে পারে। সাধারণ কারণে যদি ঘনঘন বমি হয় তাহলে সেটা হচ্ছে বদহজম। বদহজমের কারণে অনেক মানুষের ঘনঘন ভূমি হয় তবে আরো কিছু সাংঘাতিক সমস্যা আছে যার কারণে বমি হতে পারে। ঘন ঘন বমি হওয়ার বড় একটি অসুখের নাম হচ্ছে ফ্যাটি লিভার যেটার কারণে মানুষ অনেক কষ্ট করে।

যাদের সাধারণত লিভারের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা আছে তাদের ঘন ঘন বমি হতে পারে। অনেক রোগের ক্ষেত্রে কিডনি সমস্যার কারণে ঘনঘন বমি হতে পারে বিশেষ করে কিডনিতে যাদের পাথর আছে যাদের প্রস্রাবে ইনফেকশন আছে এই ধরনের রোগীদের ক্ষেত্রেও ঘন ঘন বমি হতে পারে। এছাড়াও হঠাৎ করে ডায়রিয়া বা ডিসেন্ট্রি এর কারণে ঘন ঘন বমি হতে পারে। তাই এই বিষয়ে অবশ্যই সতর্ক অবস্থানে থাকতে হবে প্রত্যেক রোগীকে কোনোভাবেই কোন কাজে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগা যাবে না।