ফ্যাটি লিভার এর লক্ষণ কি

ফ্যাটি লিভার খুব জটিল একটি সমস্যা এই সমস্যায় যারা পড়েছেন তারাই কেবলমাত্র এ সমস্যা উপলব্ধি করতে পারছেন। যারা ফ্যাটি লিভার নিয়ে অনেক সমস্যায় আছেন তাদের অবশ্যই ভালো একটি চিকিৎসা নেওয়া উচিত। তবে এখন পর্যন্ত যারা নিজে থেকে বুঝতেই পারেননি আপনার ফ্যাটি লিভার আছে তারা কোন কোন লক্ষণ দেখে বুঝতে পারবেন ফ্যাটি লিভার আছে সে সম্পর্কে এখন আলোচনা করব। আমাদের শরীর একটি নিয়মের মধ্য দিয়ে চলে।

সে নিয়মের যদি কোন পরিবর্তন হয় তাহলে অবশ্যই আমাদের শরীল সেটা আপনাকে জানান দেবে। কিছু উপসর্গ বোঝা যাবে যে উপসর্গের মাধ্যমে বোঝা যাবে যে শরীরের কি সমস্যা হয়েছে এবং তখনই সমাধান খুঁজে বের করার চেষ্টা করতে হবে। ঠিক পেটের অভ্যন্তরে ফ্যাটি লিভার হয়েছে কিনা সেটা আমরা আলাদাভাবে বুঝতে পারি না যার কারণে কিছু উপসর্গ ফলো করতে হয় যে উপসর্গ ফলো করলে আমরা বুঝতে পারি এটা হয়েছে কিনা।

সাধারণত সবার প্রথমে যে সমস্যা তৈরি হবে সেটা হচ্ছে খাদ্যাভ্যাস এবং খুদার পরিবর্তন। খাওয়ার প্রতি আগ্রহ কমে যাবে এবং প্রচুর পরিমাণে ক্ষুধা লাগবে কিন্তু খেতে বসলে আর ভালো লাগবে না। এছাড়াও বমি বমি ভাব এবং অস্বস্তি হতে পারে পেটে অর্থাৎ আপনি খেয়ে ওঠার পরে যতই কম খান না কেন মনে হবে কেন জানিনা অস্বস্তি মনে হচ্ছে। এ ছাড়াও ফ্যাটি লিভার আরো কিছু লক্ষণ আছে যেমন মনে করুন ঘন ঘন বদহজম। সাধারণত যাদের ঘন ঘন বদহজম হয় এবং পেতে কোন খাবার সহ্য হয় না তাদের ক্ষেত্রে ফ্যাটি লিভার হওয়া সম্ভাবনা বেশি থাকে।

অনেকের ক্ষেত্রে কোন কারণ ছাড়াই তলপেট অতিরিক্ত ভারই অনুভূত হলে ফ্যাটি লিভারের একটি লক্ষণ হিসেবে এটাকে বিবেচনা করা হয়। তলপেট এবং ওপর পেটে মাঝারি ধরণের ব্যথা অনুভূত হতে পারে। এই ব্যথা মাঝেমধ্যে হয় বিশেষ করে খাওয়ার পরে এই ব্যথা বেশি বেড়ে যায় এর কারণে অস্বস্তি সৃষ্টি হতে পারে। অনেক সময় ত্বকের সমস্যা থেকেও এটা বোঝা যায় যে ফ্যাটি লিভারের কারণে এটা হয়েছে যেমন ত্বক হলুদ ও চোখ হলুদ রঙের হয়ে যাওয়া।

ফ্যাটি লিভার থেকে মুক্তির উপায়

এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হলে সবার প্রথমে আপনাকে নিজের খাদ্যের পরিবর্তন করতে হবে এবং সেটা খুব ভালোভাবে করতে হবে। এজন্য একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ আপনাকে নিতে হবে আপনি কিভাবে আপনার খাওয়ার তালিকা টি সাজাবেন তার কারণ হচ্ছে এমন মানুষ অনেক খুঁজে পাওয়া গেছে যারা হুট করে ফ্যাটি লিভার সমস্যায় পড়ে নিজের খাবার পরিবর্তন করে আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে এবং চেষ্টা করতে হবে এখানে ভিটামিন এবং মিনারেলস প্রচুর পরিমাণে থাকে। অতিরিক্ত খাবার কখনোই খাওয়া যাবেনা। এছাড়াও ফ্যাটি লিভার থেকে বাঁচতে হলে আপনাকে তেল চর্বি পুরোপুরি ত্যাগ করতে হবে। শুধুমাত্র যে খাওয়া পরিবর্তন করতে হবে এমন না এর সঙ্গে সঙ্গে আপনাকে পরিবর্তন করতে হবে আপনার শারীরিক পরিশ্রম এবং ব্যায়াম। আপনি যদি এই জিনিসগুলো নিয়মিত করতে পারেন তাহলে অবশ্যই ফ্যাটিলিভার থেকে মুক্তি পেতে পারেন তবে অবশ্যই এখানে ফ্যাটি লিভারের যে কয়টি ধাপ আছে সেই কয়টি ধাপ সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ যদি প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়ে তাহলে অল্পতেই সুস্থ হওয়া যায়।

ফ্যাটি লিভার গ্রেড ১ মানে কি

ফ্যাটি লিভারের যে সমস্যা আছে সেই সমস্যা বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে ধরা পড়ে বিশেষ করে আল্ট্রাসনোগ্রাফির মাধ্যমে। কিন্তু আলট্রাসনোগাফির মাধ্যমে ধরা পড়ার পরে তার সঠিক গ্রেড নির্ণয় করার জন্য আলাদা একটি পরীক্ষা করা হয় অর্থাৎ লিভারে কি পরিমান চর্বি জমা আছে সেটা জানার জন্য। এই মানের উপর ভিত্তি করে সাধারণত ফ্যাটি লিভারের গ্রেড নির্ণয় করা হয় এবং প্রথমে যে গ্রেড নির্ণয় করা হয় সেটাকে বলা হয় ফ্যাটি লিভার ১। এটা সাধারন একটি পর্যায়ে যেখানে খুব অল্প প্রচেষ্টায় সুস্থ হওয়া যাবে।