ঘন ঘন প্রস্রাব কিসের লক্ষণ

ঘনঘন প্রস্রাব কিসের লক্ষণ এ প্রশ্নের উত্তরে উত্তর একটি হবে না উত্তর ১ এর অধিক হবে। তার কারণ হচ্ছে ঘনঘন প্রস্রাব একেবারেই স্বাভাবিক কারণে হতে পারে আবার এমন কিছু জটিল রোগের কারণে হতে পারে যেটা মরণঘাতি। তাই এখানে যদি আমরা এক কথায় উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করি তাহলে হয়তো ভুল হতে পারে। আর আমরা বরাবরের মতো চেষ্টা করি চিকিৎসা নিয়ে কোন ভুল তথ্য আপনাদের সামনে তুলে না ধরতে।বেশ কয়েকটি কারণে ঘন ঘন প্রস্রাব হতে পারে সেই কারণগুলো আমরা খুব সুন্দর ভাবে আলাদা আলাদা করে আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম। চলুন ঘন ঘন প্রসাব হওয়ার কারণগুলো খুঁজে বের করার চেষ্টা করে এবং আপনার লক্ষণের সঙ্গে মিলিয়ে দেখে এটার কোন সমাধান পাওয়া যায় কিনা।

ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার স্বাভাবিক যে কারণ তার মধ্যে একটি হচ্ছে প্রস্রাবে ইনফেকশন। প্রসাবে ইনফেকশন বলতে সঠিক সময় প্রস্রাব না করা অর্থাৎ প্রস্রাব ভিতরে ধরে রাখা এবং অল্প পানি পান করা দায়ী। বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে এ বিষয়টি বেশি হয়ে থাকে যার কারণে তাদের প্রসবের ইনফেকশন বেশি হয়। তবে এটা নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই এটা একেবারে স্বাভাবিক ব্যাপার আপনি যদি সঠিক পরিমাপে পানি পান করেন এবং সঠিক সময় প্রস্রাব করতে যান তাহলে এটা এমনিতেই ভালো হয়ে যাবে।

ঘন ঘন প্রস্তাব হবার বড় যে কারণ আছে তার মধ্যে একটি হচ্ছে ডায়াবেটিস। ডায়াবেটিসের লক্ষণ গুলোর মধ্যে এটি হচ্ছে একটি তাই অবশ্যই যাদের ঘনঘন পোস্টার হয় তাদের যদি ডায়াবেটিসের অন্য কোন লক্ষণ এর সঙ্গে দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই ডায়াবেটিস পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হতে হবে কি কারণে এই ঘন ঘন প্রস্তাব হচ্ছে।

আরো বড় করো লক্ষণের কারণে ঘন ঘন প্রস্তাব হতে পারে সেটা হচ্ছে কিডনি রোগ। কিডনির বিভিন্ন ধরনের রোগ আছে এবং প্রত্যেক রোগের উপসর্গ হিসেবে ঘন ঘন প্রস্তাব হাওয়া কে উপসর্গ হিসেবে ধরা হয়। কিডনির প্রাথমিক উপসর্গ গুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া তাই তাদের ঘনঘন প্রস্রাব হয় এবং এর সঙ্গে কিডনি রোগের অন্য উপসর্গ যেমন পাজরে ব্যথা বা প্রসবের সঙ্গে লাল রক্ত বের হওয়া এ ধরনের সমস্যা থাকে তাহলে দেরি না করে দ্রুত পরীক্ষা করুন।

ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার প্রতিকার

ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার প্রতিকার করতে সবার প্রথমে যে অভ্যাসটি আপনি গড়ে তুলতে পারেন সেটা হচ্ছে প্রতিদিন অন্তত ১০ থেকে ১২ ক্লাস পানি পান করা। ১০ থেকে ১২ ক্লাস পানি পান করলে অবশ্যই সেটা আপনার শরীরের পানির ঘাটতি পূরণ করবে। শুধুমাত্র যে পানির ঘাটতি পূরণ করবে এমন নয় এর পাশাপাশি এটা এমন একটি উপকার করবে যার মাধ্যমে আপনার কিডনি সঠিকভাবে কাজ করতে পারবে যার কারণে অন্য কোন সমস্যা গুলো যেগুলো হওয়ার সম্ভাবনা থাকে সেগুলো এমনিতে ভালো হয়ে যাবে।এছাড়া ঘনঘন পোস্টার হওয়া প্রতিকার করতে যে অভ্যাসটি আপনি গড়ে তুলতে পারেন সেটা হচ্ছে নিয়মিত তরল জাতীয় খাবার বেশি খাওয়া। তন জাতীয় খাবার আপনি যত বেশি খাবেন তত আপনার শরীর ভালো থাকবে এবং আপনার প্রস্রাবের ইনফেকশন অথবা ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার প্রবণতা থাকবে না।

ঘন ঘন প্রস্রাব হলে কি ঔষধ খাব

ঘন ঘন প্রস্রাবের ক্ষেত্রে যদি প্রস্রাবের ইনফেকশন এবং সেটা যদি অনেক বেশি হয় তাহলে কিছু অ্যান্টিবায়োটিক খেতে হবে। এর পাশাপাশি নিয়মিত দশ থেকে বারো গ্লাস পানি পান করার অভ্যাস আপনি গড়ে তুলতে পারেন সেটা যে কোন ধরনের পানি হতে পারে। যদি ঘনঘন প্রস্রাব ঠিক না হয় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন তার কারণ হচ্ছে এটা বড় কোন রোগের লক্ষণ যেটা সাধারণ চোখে দেখা যাবে না।