লিভার জন্ডিস এর লক্ষণ কি

সাধারণ পর্যায়ে অবশ্যই আমাদের রোগ নির্ণয় করার প্রাথমিক লক্ষণগুলো বা উপসর্গগুলো জেনে রাখা উচিত। কার কি সমস্যা হয় সেটা কেউ বলতে পারে না তাই আপনি যদি সব বিষয়ে ভালো একটি ধারণা রাখেন তাহলে সেটা আপনার জন্য উপকারী হবে। আজকে আমরা কথা বলছি লিভার জন্ডিস নামক একটি রোগ নিয়ে যেটা যেকোনো মানুষের যে কোন বয়সেই হতে পারে।

তবে এটা হওয়ার মুখ্য যে কারণ আছে সেটা সম্পর্কে বলতে গেলে আমার মনে হয় সাধারণত অবহেলাই হচ্ছে এর মুখ্য কারণ। দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক অসুস্থতা এবং দীর্ঘদিন ধরে জন্ডিস শরীরের ভেতরে রাখা এবং হেপাটাইটিস বি এর সঠিক চিকিৎসা না করার অবহেলার কারণে মূলত এই জন্ডিস হয়ে থাকে। লিভার জন্ডিস অত্যন্ত সাংঘাতিক একটি সমস্যা যে সমস্যা সমাধানে অবশ্য আপনাকে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে তবে প্রাথমিক অবস্থাতে এটা ধরতে পারাটা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ।

কিভাবে বুঝবেন লিভার জন্ডিস হয়েছে

আমরা এখানে কয়েকটি উপসর্গের কথা বলব যে উপসর্গ গুলো যদি একইসঙ্গে একজন মানুষের শরীরে দেখা যায় তাহলে লিভার জন্ডিসের পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া উচিত তার কারণ হচ্ছে এটা অনেক বড় একটি লক্ষণ। তাহলে চলুন একজন রোগীর কোন কোন সমস্যা হতে পারে সে সম্পর্কে অবগত হয়।

এই অবস্থাতে সাধারণত ত্বকের রং হলুদ হয়ে যাবে যেটা জন্ডিসের সাধারণ লক্ষণ তবে এই ক্ষেত্রে এটা দেখা যাবে এবং এর সঙ্গে চোখের সাদা অংশ হলুদ হয়ে যাওয়া এবং শরীরের রং হলুদ হয়ে যাওয়ার মতন সমস্যা দেখা যাবে।

কারো প্রস্রাব এবং মলের রং একেবারে ফ্যাকাশে এরকম সমস্যা হতে পারে লিভার জন্ডিসের ক্ষেত্রে এবং লিভার আশেপাশে চুলকানি তৈরি হতে পারে। রোগীদের ক্ষেত্রে ক্ষুধা মন্দা সৃষ্টি হবে যেটা স্বাভাবিকভাবেই হতে পারে তবে এর সঙ্গে যদি অতিরিক্ত বমি এবং পেটে জ্বালাপোড়া ও অসহ্য যন্ত্রণা তৈরি হয় তাহলে অবশ্যই এটা লিভার জন্ডিসের একটি পূর্ব লক্ষণ।

লিভার জন্ডিসের ক্ষেত্রে আরও কিছু লক্ষণ দেখা যায় যেমন খেতে বসলে হাওয়া অল্প হওয়া এবং মনে হয় অল্পতেই পেট ভরে যায়। এত অল্প খাওয়ার পরেও যখন আপনি উঠবেন তখন আপনার কেন জানি না মনে হবে পেট অনেক ফুলে উঠছে এবং পেট নিয়ে অনেক বেশি অসুবিধা হচ্ছে। অনেকের ক্ষেত্রে এই যন্ত্রণা ব্যথা তলপেট অথবা পাঁজরের দিকেও চলে যেতে পারে। সাধারণত এই উপসর্গগুলো দেখা গেলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

লিভার জন্ডিস হলে করণীয়

লিভার জন্ডিস হলে সাধারণত যে পদক্ষেপ গুলো আপনি গ্রহণ করতে পারেন সেটা হচ্ছে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাওয়া। এই জন্ডিসের ঘরোয়া কোন চিকিৎসা নেই অর্থাৎ লিভারে যদি জন্ডিস আক্রান্ত করে তাহলে সেটা খুবই সাংঘাতিক একটি রোগ যার কারণে ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে তাই বাড়িতে বসে থেকে কোন লাভ নেই। আপনাকে অবশ্যই পুনরায় সবকিছু ভালোভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নির্দিষ্ট ঔষধ খাওয়া শুরু করতে হবে।

যদি বড় ধরনের কোন সমস্যা না হয় তাহলে অবশ্যই এটা নিশ্চিত ভাবে আপনি বলতে পারেন যে লিভার জন্ডিস খুব তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে যাবে। তবে আক্রান্ত ব্যক্তিকে নিশ্চিত করতে হবে সুস্থ হওয়া পর্যন্ত সম্পন্ন বিশ্রাম যেটাকে বলা হয় শয্যাশায়ী অবস্থায় থাকা এটা নিশ্চিত করতে হবে। যদি এইভাবে যদি নিজেকে সময় দিতে পারে তাহলে অবশ্যই লিভার জন্ডিস থেকে পুরোপুরি সুস্থ হতে পারবে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই।

লিভার জন্ডিস এর ঔষধ

লিভার জন্ডিসের যে ঔষধ গুলো রয়েছে তার মধ্যে সবার প্রথমে দেওয়া হয় ভ্যাকসিন যে ভ্যাকসিন গুলো সাধারণত হেপাটাইটিস রোগের ভ্যাকসিন। এরপরে রোগের শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় বিভিন্ন ধরনের নির্দিষ্ট ঔষধ দেওয়া হয় যেগুলো অবশ্যই খুবই গুরুত্বপূর্ণ।