আপনি যদি আমাকে প্রশ্ন করেন এলার্জি কত ধরনের তাহলে আমি বলব এলার্জি মূলত চার ধরনের। তবে এই এলার্জির ধরন শরীর ভেদে বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে যেটা বলে শেষ করা যাবে না। অনেক সময় আমরা একটি জিনিস লক্ষ্য করে আসি বাড়িতে কোন মেহমান আসলে কোন জিনিস তাকে খেতে দিলে তার মধ্যে কোনো না কোনো জিনিস সে নিতে নারাজ হয় কারণ সে বলে তার এতে এলার্জি আছে। তার মধ্যে কিছু কিছু লোক বলে আমি চিংড়ি মাছ খাই না আমার চিংড়ি মাছের এলার্জি আছে আবার কেউ কেউ বলে আমার বেগুন খাই না আমি বেগুনে এলার্জি আছে।
সাধারণত ছোটবেলা থেকেই এই কথাগুলো থেকেই এলার্জি সম্পর্কে আমরা পরিচিত হয়ে এবং আস্তে আস্তে বড় হয়ে নিজের যখন এলার্জি হয় তখন বুঝতে পারে আসলে এলার্জি কি এবং সেটা কতটা সাংঘাতিক হতে পারে একজন রোগীর শরীরের জন্য। আমাদের যে ইমিউনিটি সিস্টেম আছে বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আছে সেটা যদি অস্বাভাবিক কোন বহিঃপ্রকাশ ঘটায় সেটাই মূলত অ্যালার্জি। আমরা যে খাবারগুলো খাই সেগুলো অবশ্যই আমাদের শরীরের ইউনিটি সিস্টেম ভালো রাখতে সাহায্য করে এবং আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখে কিন্তু আমাদের ইউনিটি সিস্টেম তো দেশেই খাবার গুলোকে শত্রু হিসেবে দেখে তাহলে সেই খাবারগুলোকে সবসময় তেরে বেড়ায় এবং সেটাই হচ্ছে এলার্জি।
এলার্জির লক্ষণ সমূহ কি কি
এলার্জির লক্ষণ সম্পর্কে যদি বলতে হয় তাহলে আপনাদের এটা নিয়ে নতুন ভাবে বলার কিছু নেই আপনারা খুব সহজে এলার্জির লক্ষণ সম্পর্কে নিজেই উপলব্ধি করতে পারবেন। চার ধরনের এলার্জির মধ্যে চারটি ধরনের কথা আমরা এখানে উল্লেখ করব আশা করছি আপনারা এখান থেকে চার ধরনের অ্যালার্জি সম্পর্কে ধারণা পাবেন।
ত্বকের সংস্পর্শে
পাহাড়ের মাধ্যমে
ইনজেকশনের মাধ্যমে
শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে
করে উল্লেখিত এলার্জির মধ্যে বর্তমানে সব থেকে বেশি হচ্ছে আহারের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এলার্জি যেটা বিভিন্ন ধরনের খাদ্যের মাধ্যমে আমরা খাওয়ার ফলে আমাদের ইউনিটি সিস্টেম তাকে শত্রু মনে করে তার বিরুদ্ধে লড়াই করতে শুরু করে এবং যেটা পরবর্তীতে এলার্জিতে রূপ নাই। এলার্জির সবথেকে বড় লক্ষণ হচ্ছে শরীরের বিভিন্ন স্থানে চুলকানি এর পাশাপাশি শরীরের ভেতরেও চুলকানি দেখা দিতে পারে শ্বাসকষ্টও হতে পারে এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের রেস বের হওয়া এবং গোল গোল চাকা চাকা বের হয় এগুলো এলার্জির লক্ষণ।
এলার্জি থেকে মুক্তি পাবার ঘরোয়া উপায়
এলার্জি থেকে মুক্তি পাওয়ার ঘরোয়া কিছু উপায় আছে তবে সবথেকে ভালো দিক হচ্ছে সবসময় নিজেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা এবং আপনি যেই ঘরে যেই স্থানে রয়েছেন সেটাকে সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা। আর একটু কষ্ট করে খেয়াল করবেন আপনি যে খাবারগুলো খাচ্ছেন সেই খাবারগুলোর মধ্যে যে খাবারগুলোতে অ্যালার্জি হয় সে খাবার গুলো একেবারেই বর্জন করুন। আস্তে আস্তে দেখবেন এই এলার্জি আপনার শরীরে কমতে শুরু করবে এবং আপনি আস্তে আস্তে সুস্থ হতে থাকবেন তবে অ্যালার্জি নিয়ন্ত্রণ সব থেকে বড় দিক হচ্ছে নিয়ম মানা। যে যত বেশি নিয়ম মানতে পারে সে তত বেশি অ্যালার্জি থেকে নিজেকে সুস্থ রাখতে পারে।
এলার্জি চিকিৎসা
এলার্জি চিকিৎসায় বহু লোক বহু সময় বহু টাকা শেষ করেছেন কিন্তু কোন সুরাহা করতে পারেননি। বাস্তব দিক দিয়ে বিবেচনা করলে এলার্জি শতভাগ নির্মূল হবে না এর জন্য অবশ্যই আপনাকে কিছু নিয়ম মানতে হবে যেখান থেকে আপনি ৫০% থেকে ৮০ পার্সেন্ট এলার্জি মুক্ত হতে পারবেন। তাই সবসময় চেষ্টা করুন নিজেকে নিয়মের মধ্যে এনে এলার্জি থেকে নিজেকে দূরে রাখতে।
এর পাশাপাশি আপনি কিছু ওষুধ খেতে পারেন যেগুলো থেকে এলার্জি দূরে থাকবে তবে সবথেকে ভালো দিক হচ্ছে নিয়মের মাধ্যমে থেকে কোন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়া এলার্জিকে দূরে রাখতে। এলার্জি কিছু সময় মরণ ঘাতি পারে তাই সবসময় সতর্ক থাকুন।