ব্লাড ক্যান্সার কত প্রকার

সাধারণত ব্লাড ক্যান্সারকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে আজকের এই আর্টিকেল থেকে আমরা ব্লাড ক্যান্সার সম্পর্কে অনেক তথ্য সংগ্রহ করবো। সাধারণত ব্লাড ক্যান্সারকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা হয়েছে সেই ভাগগুলো ক্যান্সারের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য এবং কারণ এর উপর ভিত্তি করেই করা হয়েছে। ব্লাড ক্যান্সার এমন একটি জটিল রোগ যে রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর রোগীর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা খুব কম থাকে। তারপরেও যদি রোগী বেঁচে থাকতে পারে তাহলে সেটা একেবারেই অবিশ্বাস ও ব্যাপার তার কারণ হচ্ছে এটা প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে চিকিৎসা করা যায়।

ব্লাড ক্যান্সার কয় ধরনের এরকম প্রশ্নের উত্তরে আমরা বিভিন্নভাবে একে প্রকারভেদ বা ভাগে ভাগ করতে পারি। আজকের আর্টিকেল থেকে আমরা ব্লাড ক্যান্সারের বিভিন্ন ধরনের ভাগ বা বিভিন্ন ধরনের প্রকাশ সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব যেগুলো অবশ্যই এই সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে আমাদের সাহায্য করবে। চলুন জানার চেষ্টা করি ব্লাড ক্যান্সার সম্পর্কে তার কারণ হচ্ছে এই তথ্যগুলো যেন অত্যন্ত জরুরী এবং এই ব্লাড ক্যান্সার সম্পর্কে আমাদের সমাজে সচেতনতা গড়ে তুলে যাতে শুরু থেকেই আমরা এটা প্রতিরোধ করতে পারি।

ব্লাড ক্যান্সার প্রধানত কয় প্রকার

যদি প্রধানত ব্লাড ক্যান্সারের প্রকারভেদ নিয়ে কথা বলতে হয় তাহলে বলতেই হয় যে এটা তিন ধরনের। তিন ধরনের ব্লাড ক্যান্সার প্রধানত হয়ে থাকে আজকে আমরা এই তিন ধরনের ব্লাড ক্যান্সার সম্পর্কে আপনাদের হালকা ধারণা দেবো আশা করছি আপনারা এখান থেকে সে সম্পর্কে ধারণা পাবেন।

লিউকেমিয়া এটি এক ধরনের ব্লাড ক্যান্সার যেখানে সিলেট রক্তকণিকার পরিমাণ লোহিত রক্তকণিকা তুলনায় বেশি। এই অবস্থাতে যদি কোন রোগের ব্লাড ক্যান্সার ধরা পড়ে তাহলে সেটাকে বলা হয় লিউকেমিয়া ব্লাড ক্যান্সার। সাধারণত খুব আস্তে আস্তে এর উপসর্গ দেখা যায় এবং কিছু সময় পরে বেশ মারাত্মক হয়ে ওঠে এই ব্লাড ক্যান্সার।

লিম্ফোমা ব্লাড ক্যান্সারের আরেকটি ধরন যেখানে কোন ব্যক্তির শরীরে একটি লিম্ফোসাইট অস্বাভাবিক বিকাশিত হয় যার কারণে এখানে ব্লাড ক্যান্সার ছড়াতে পারে এবং এই অবস্থাকে লিম্ফোমা ব্লাড ক্যান্সার বলা হয়ে থাকে। এই ধরনের ব্লাড ক্যান্সারের ক্ষেত্রে সাধারণত ঔষধ বা রেডিয়েশন থেরাপির মাধ্যমে চিকিৎসা সম্ভব। অষ্টপাচারের মাধ্যমে পুরোপুরি সুস্থ হওয়া সম্ভব এটা থেকে।

ভালো হচ্ছে তিন নাম্বার ব্লাড ক্যান্সার যেটা সাধারণত এমন এক ধরনের ক্যান্সার কে বোঝায় যেখানে রক্ত রসগোষ প্রভাবিত হয় এবং এর ফলে ব্যক্তির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে শুরু করে।যখন একজনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে শুরু করে তখন তার শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ একইসঙ্গে বাড়তে থাকে এইভাবেই এই ক্যান্সার তার বিস্তৃতি লাভ করে।

সাধারণত ব্লাড ক্যান্সার কত ধরনের

যদি রক্ত কণিকার হিসেবে ব্লাড ক্যান্সারকে প্রকারভেদ করা হয় তাহলে সহজ ভাষায় রক্ত কণিকার হিসাবে ব্লাড ক্যান্সার কে তিন ভাগে ভাগ করা যায় এবং সেই তিনভাগের একটি হচ্ছে লোহিত রক্ত কণিকা দ্বারা যে ব্লাড ক্যান্সার হয় বা লোহিত রক্তকণিকার কারণে যে ব্লাড ক্যান্সার হয় সেটাকে বলা হয় লোহিত রক্তকণিকা দ্বারা ছড়ানো ব্লাড ক্যান্সার।

এছাড়াও প্লেটলেট এর মাধ্যমে ও শ্বেত রক্তকণিকার মাধ্যমেও এই ব্লাড ক্যান্সার ছড়িয়ে যায় এটা হচ্ছে ব্লাড ক্যান্সার ছড়ানোর আর দুইটি মাধ্যম। এই তিন ভাবে ব্লাড ক্যান্সার ছড়াতে পারে যেটা সত্যিই অস্বাভাবিক ব্যাপার তবে অবশ্যই খেয়াল করতে হবে কোন ধরনের ব্লাড ক্যান্সার কতটুকু কার্যকরী।

ব্লাড ক্যান্সার এর কয়েকটি ধরন

সাধারণত ব্লাড ক্যান্সার কেমন অবস্থা তাতে আছে তার উপর নির্ভর করে এটাকে দুইটা ভাগে ভাগ করা হয়েছে প্রথম ভাগ কে বলা হয়েছে একিউট ব্লাড ক্যান্সার যেটা সাধারণ পর্যায় কে নির্দেশ করে। এ অবস্থাতে রোগী শারীরিক অবস্থা অনেক ভালো থাকে এবং চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। আরেকটি যে ভাগ করা হয়েছে সেখানে বলা হয়েছে ক্রনিক ব্লাড ক্যান্সার যেটা অত্যন্ত সাংঘাতিক অবস্থা এই অবস্থাতে খুব জরুরি হয়ে যায় চিকিৎসা করা এবং এখান থেকে সুস্থ হয়ে ফিরে আসা সম্ভাবনা খুব কম থাকে।