ক্যান্সার কত প্রকার এই প্রসঙ্গে যদি বলতে হয় তাহলে ক্যান্সার সম্পর্কে সব থেকে বড় তথ্য নিয়ে বসতে হবে। তার কারণ হচ্ছে পৃথিবীতে আবিষ্কৃত বড় বড় রোগের মধ্যে ক্যান্সার হচ্ছে সব থেকে বড় যার বিরুদ্ধে লড়াই করার ঔষধ এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয়নি। ক্যান্সার এমন একটি সমস্যা যেখানে অনিয়ন্ত্রিত কোষ বিভাজন সৃষ্টি হয় এবং যে কোর্সগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ক্ষতিকারক জীবাণু থাকে। ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি এবং সেখান থেকে মৃত্যুর ঝুঁকির রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি।
যদি ক্যান্সারের প্রকারভেদ সম্পর্কে বলতে হয় তাহলে বর্তমানে বিশ্বে প্রায় 200র বেশি ক্যান্সার রয়েছে। ২০০ প্রকারের বেশি এই ক্যান্সারের প্রত্যেকেই প্রত্যেকের থেকে আলাদা। মানে কোন ক্যান্সারের জীবাণু অন্য কোন ক্যান্সারের জীবাণুর সঙ্গে মিলবে না অর্থাৎ আপনি যদি একটি ক্যান্সারের চিকিৎসা অন্য ক্যান্সারের চিকিৎসা দিয়ে করতে চান তাহলে সেটা সম্ভব নয়।
২০০ প্রকারের বেশি ক্যান্সারের প্রত্যেক ক্যান্সারে আলাদা আলাদা এবং এদের চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে আলাদা। বর্তমানে বিশ্বের সবথেকে বেশি জায়গাতে ক্যান্সার নিয়ে গবেষণা চলছে যাতে করে এখান থেকে রোগ মুক্তির কোন উপায় পাওয়া যায়।
ক্যান্সার হলে কতদিন বাঁচে
ক্যান্সার হলে একজন রোগী কতদিন বাঁচবে এরকম প্রশ্ন অনেকেই করেন। সাধারণত ক্যান্সারের কয়েকটি ধাপ রয়েছে এবং ক্যান্সার যখন শনাক্ত হয় সেই ধাপের উপর নির্ভর করে রোগীর বেঁচে থাকার সবকিছু। সাধারণত এমন অনেক মানুষকে খুঁজে পাওয়া যাবে যারা ক্যান্সার থেকে সম্পূর্ণ সুস্থ হতে পেরেছেন এবং রোগ মুক্ত হয়ে নতুন জীবনযাপন শুরু করেছেন। কিন্তু পৃথিবীতে এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম শুধুমাত্র প্রাথমিক পর্যায়ে যাদের ক্যান্সার ধরা পড়ে এবং যারা সঠিকভাবে অর্থ খরচ করে ক্যান্সারের চিকিৎসা করাতে পারেন তাদের জন্যই এটা সম্ভব।
ক্যান্সারের চিকিৎসায় ক্যান্সারের পর্যায়ে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। ক্যান্সারের যে পর্যায়গুলো রয়েছে চিকিৎসার মাধ্যমে যদি প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যান্সার ধরা পড়ে তাহলে খুব সহজে চিকিৎসা করে সুস্থ থাকা যায়। তবে যদি সুস্থ থাকা না যায় তবে ঠিকঠাক এটা বলা যাবে না যে সে কতদিন বাঁচে তার কারণ হচ্ছে বাঁচা মারা একমাত্র আল্লাহ তাআলার হাতে। আল্লাহতালা যেদিন চাইবেন মৃত্যুবরণ করাবেন তাই এখানে সঠিকভাবে বলা যাবে না কে কত দিন বেঁচে থাকবে।
ক্যান্সার এর স্টেজ কয়টি
ক্যান্সারের স্টেজ মোট চারটি। এক থেকে চার পর্যন্ত এই স্টেজগুলোর প্রত্যেকের ধরন আলাদা আলাদা। সাধারণত ক্যান্সার আমাদের শরীরের অভ্যন্তরে হয় বলে আমরা সহজে বুঝতে পারি না প্রাথমিক দিকে যদি বুঝতে পারি তাহলে সেটা সবথেকে ভালো ব্যাপার। বেশিরভাগ রোগীর ক্ষেত্রেই থাকি ক্যান্সার তৃতীয় পর্যায়ে অথবা চতুর্থ পর্যায়ে ধরা পড়ে তখন করার আর কিছুই থাকেনা।তবে যখন এই ক্যান্সার গুলো প্রথম এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ধরা পড়বে তখন অবশ্যই ভালো চিকিৎসা এবং কেমোথেরাপি ও রেডিওথেরাপি এছাড়াও অপারেশনের মাধ্যমে খুব সুন্দর ভাবে এর চিকিৎসা করা যাবে। তাই ক্যান্সার রোগে যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাদেরকে বলব ধৈর্য ধরতে এবং আল্লাহ তাআলার উপর ভরসা রাখতে।
টিউমার ক্যান্সারের লক্ষণ
টিউমার অবশ্যই ক্যান্সারের লক্ষণ তবে সব টিউমার এর মাধ্যমে ক্যান্সার হয় এটা ভুল ধারণা। বেশ কয়েক ধরনের টিউমার মানব শরীরে হয়ে থাকে কিন্তু প্রত্যেকটি টিউমার ক্যান্সারের জন্য দায়ী এটা ভুল ধারণা। আরেকটি বড় ব্যাপার হলো প্রত্যেকটি টিউমারকে আপনি যদি সঠিক সময়ে অপসারণ না করেন এবং মানব শরীরে বাড়তে দেন তাহলে সেটা আস্তে আস্তে ইনফেকশন ছড়াবে এবং যার কারণে ক্যান্সার হতে পারে।
মাথায় রাখতে হবে টিউমার অবশ্যই আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকারক একটি জিনিস তার কারণ হচ্ছে এটা হচ্ছে অতিরিক্ত মাংস কোষ যেটা আমাদের শরীরের বিভিন্ন পুষ্টি গ্রহণ করে বেড়ে ওঠে এবং আমাদের শরীরেই ক্ষতি করে। তাই যেকোনো ধরনের টিউমার থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করতে হবে।