চর্মরোগ কত প্রকার

সাধারণত মানব শরীরের ত্বকের ওপর বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ দেখা যায়। এখন পর্যন্ত এই চর্মরোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বা রোগীর অভিজ্ঞতা থেকে যেটা পাওয়া গেছে সেই হিসাবে আমরা আপনাদের কয়েকটি চর্ম রোগের ধরন জানানোর চেষ্টা করব। সাধারণত এগুলো সহজে বোঝা যায় না এর জন্য একজন চিকিৎসকের প্রয়োজন পড়ে। চিকিৎসা করা দেখলেই বুঝতে পারেন কোন চর্মরোগ কি জাতীয় চর্মরোগ বা কোন ধর্মের চর্মরোগ।

সাধারণত চর্মরোগ আমাদের শরীরে খুব অল্প উপসর্গ নিয়ে আসে কিন্তু আমরা এই উপসর্গগুলোকে যখন অবহেলা করে তখনই এই চর্মরোগ তার প্রভাব দেখাতে শুরু করে। আস্তে আস্তে এটা বৃদ্ধি পায় এবং এতটাই বৃদ্ধি পায় যে এই চর্মরোগ থেকে বাঁচার জন্য অনেক বেশি কষ্ট করতে হয় একজন রোগীকে। দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা করতে হয় এবং চিকিৎসা করতে করতে অনেক সময় সেই রোগীর বিরক্ত হয়ে যায় তারপরেও এর সমাধান হয় না।

কি কি ধরনের চর্মরোগ আছে

চরনগর থেকে বাঁচতে হলে সবার প্রথমে আপনাকে চর্মরোগ সম্পর্কে ধারণা নিতে হবে এরপরে বুঝতে হবে এই রোগের চিকিৎসার জন্য ধৈর্যের প্রয়োজন আছে। আজকে আমরা কয়েকটি সাধারণ চর্ম রোগের ধরন আপনাদের সামনে তুলে ধরব এবং সেই বিষয়ে আলোচনা করব আশা করছি আপনারা আমাদের সঙ্গে থাকবেন।

একজিমা

একজিমা অথবা এতো পিক ডার্মাটাইটিস হলো একটি দীর্ঘস্থায়ী চর্মরোগ যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে হতে পারে। এটার ক্ষেত্রে অবশ্যই বড় ধরনের চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে তা না হলে এটা আমাদের অনেক বড় ক্ষতি করতে পারে।

আমবাত
সাধারণত এই চর্মরোগকে বলা হয়ে থাকে ঔষধ বা খাদ্যের প্রতি অ্যালার্জির যে রিয়াকশন আছে সেখান থেকে। এটাতে সাধারণত ত্বক লাল লাল এবং গোটা গোটা হয়ে উঠবে হঠাৎ করে এবং চুলকানিও হবে।

ইম্প্যাটিগো
সাধারণত দুই থেকে ছয় বছর বয়সে বাচ্চাদের একটি ত্বকের সংক্রমণ যেটাকে ব্যাকটেরিয়ার কারণে ছড়ায় বলে বলা হয়ে থাকে। এটা চর্ম রোগের আরও একটি ধরন।

সোরিয়াসিস
এটা হচ্ছে একধরনের চর্মরোগ যা লাল লাল ছোপ যুক্ত এবং রুপোলি আশের মতো অংশ দ্বারা আচ্ছাদিত ত্বক হয়ে যায়। যে ধরনের চর্মরোগ গুলো আমাদের শরীরকে অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে তার মধ্যে এটা হচ্ছে একটি।

গোলকৃমি
সাধারণত এই ধরনের চর্মরোগ হচ্ছে একটি ছোঁয়াচে ছত্রাক জনিত সংক্রমণ যা শরীরের যে কোন অংশ দেখা দিতে পারে। সাধারণত হাত এবং পায়ের উপরে বা লাল রঙের খসখসে গোলাকার অংশ তৈরি হয় এর কারণে যেটা অনেক বিরক্তিকর।এছাড়াও চর্মরোগের আরো বিভিন্ন ধরনের ধরণ আমাদের দেশে দেখতে পাওয়া যায় যেমন মনে করুন পাঁচড়া, বলিরেখা, রোসেসিয়া, লাইকেন স্কেলোরসিস ইত্যাদি।

ব্যাকটেরিয়াজনিত চর্মরোগ

ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমেও প্রচুর পরিমাণে চর্মরোগ ছড়ায়। যদি ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে এই চর্মরোগ ছড়ায় তাহলে সেটা অনেক সাংঘাতিক ব্যাপার তবে ভয় কোন কারণ নেই অবশ্যই সঠিক সময় আপনি যদি চিকিৎসা করাতে চান তাহলে সেখান থেকে সুস্থ হতে পারবেন। তবে এই ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের সঠিক পরামর্শের প্রয়োজন রয়েছে তার কারণ হচ্ছে বাইরে থেকে বোঝা যায় না কোনটা সংক্রমিত হচ্ছে।

চর্ম রোগের অ্যান্টিবায়োটিক

চর্ম রোগের ক্ষেত্রে অবশ্যই এন্টিবায়োটিক এর ব্যবহার করা হয় তবে সেটা যদি খুব খারাপ পর্যায়ে চলে যায় তখন। আর খারাপ পর্যায়ে চলে যাওয়াটাই স্বাভাবিক ব্যাপার তার কারণ হচ্ছে যখন চর্মরোগ খুব একটা বেশি প্রভাব বিস্তার করতে পারেনা তখন আমরা এর চিকিৎসা করি না। যখন এই চর্মরোগ আমাদের জীবনকে নাজেহাল অবস্থায় নেতায় তখন ঠিকই আমরা ডাক্তারের কাছে যায় যার কারণে তখন চিকিৎসা করা অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করতে বাধ্য হন। সচেতন নাগরিক হিসেবে সবসময় অল্প সমস্যা কে সমাধান করার চেষ্টা করা উচিত তার কারণ হচ্ছে সমস্যা বড় হয়ে গেলে সেটা সমাধান করতেও অনেক বড় ভাবে চেষ্টা করতে হয়।