কি খেলে ব্লাড ক্যান্সার হয়

পৃথিবীতে প্রচুর পরিমাণে খাবার জিনিস আছে। এই খাবার জিনিসগুলো থেকে আমরা সব সময় ক্ষুধা নিবারণ করি এবং এই ক্ষুদা নিবারণের ফলে আমাদের শরীর সুস্থ থাকে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হলো এই খাবারগুলোর মধ্যে এমন কিছু খাবার আছে যে খাবারগুলো অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে ক্যান্সার বাসা বাঁধে।

আজকে আমরা জানার চেষ্টা করব কোন কোন খাবার আমাদের শরীরে ক্যান্সারের জন্য দায়ী থাকে। এ বিষয়গুলো সম্পর্কে আমরা যদি আগে থেকে সচেতন থাকি তাহলে এখন থেকেই এই খাবারগুলো আস্তে আস্তে বর্জন করার চেষ্টা করব যাতে অদূর ভবিষ্যতে আমাদের শরীরে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়। সচেতন নাগরিক হিসেবে এবং যারা নিজের পরিবারের ভবিষ্যৎ ভালো দেখতে চান তারা অবশ্যই এই খাবারগুলো সম্পর্কে জানবেন আজকের আমাদের এই আর্টিকেল থেকে।

কোন ধরনের খাবারে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে

ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে এমন খাবার আধুনিক যুগে পাল্লা দিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর যারা খাদ্য রসিক আছেন তারা তো এই খাবারগুলো দেখার পর আর মুখকে সামনে রাখতে পারেন না। তবে এখন সময় হয়েছে জানার তার কারণ হচ্ছে পৃথিবীতে ক্যান্সার আস্তে আস্তে বড় আকার ধারণ করছে। প্রতিনিয়ত ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে তাই আমরা যারা নিজের ভবিষ্যৎকে সুরক্ষিত রাখতে চায় তারা আজকের আর্টিকেল থেকে জানার চেষ্টা করব ক্যান্সারের ঝুঁকি আছে এমন কিছু খাবার সম্পর্কে।সাধারণত আধুনিক যুগে প্রসেস করা মিট প্রচুর পরিমাণে ব্যবহার করা হয়। মূলত খাদ্যের চাহিদা বৃদ্ধির কারণে বিভিন্ন ধরনের মাছ-মাংস বা ডিম প্রসেস করে রাখা হয় এবং সেটা বিভিন্ন দেশে সরবরাহ করা হয়। এই প্রসেস করা খাবারগুলো ক্যান্সারের জন্য সবথেকে বড় কারণ। বাস্তবিক অর্থে টাটকা জিনিস খাওয়া আর প্রসেস করা জিনিস খাওয়ার মধ্যে রয়েছে ব্যাপক পার্থক্য।প্রচুর পরিমাণে ভাজা এবং প্রচুর পরিমাণে তৈলাক্ত পদার্থ নিয়মিত খাওয়া ক্যান্সারের অন্যতম কারণ। এখানে এমন কিছু উপাদান পাওয়া যাবে যে উপাদান গুলো আস্তে আস্তে আপনার শরীরে ক্যান্সারের জীবাণুকে জন্ম দিতে সাহায্য করবে তাই অবশ্যই এগুলো থেকে দূরে থাকুন।

প্যাকেটজাত খাবার ক্যান্সার হওয়ার অন্যতম কারণ। প্যাকেটজাত খাবারগুলো সাধারণত এমন কিছু উপাদান এবং এমন কিছু কেমিক্যাল ব্যবহার করে তৈরি করা হয় যে কেমিক্যাল গুলো ক্যান্সারের জন্য অনেক ভালোভাবে দায়ী। এই যেমন ধরুন টেস্টিং সল্ট যেটা মূলত বিভিন্ন ধরনের চিপস এবং বিভিন্ন ধরনের মুখরোচক খাবারের প্যাকেট যাতে ব্যবহার করা হয় যেটা ক্যান্সারের অন্যতম কারণ হতে পারে।

আধুনিক যুগে আমরা অত্যাধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করে যে খাবারগুলো তৈরি করছি বা খাচ্ছি সেই খাবার গুলোর মধ্যে অনেক খাবারই আছে যেগুলো ক্যান্সারের জন্য দায়ী। তাই খাবারের ক্ষেত্রে অন্তত আধুনিকতা ছেড়ে প্রাকৃতি থেকে পাওয়া যায় এমন কিছু খাবার নিয়মিত খাওয়ার চেষ্টা করুন।

ক্যান্সার প্রতিরোধের উপায়

ক্যান্সার প্রতিরোধের ক্ষেত্রে আগে থেকে যে কাজটা আপনি করতে পারেন সেটা হচ্ছে একটি সুস্থ জীবন যাপন করা। একেবারে সাধারণ জীবন যাপন যেখানে জীবিকা নির্বাহের পাশাপাশি আপনি নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম এবং শারীরিক পরিশ্রম করবেন। নিজের পরিবারকে সময় দিবেন এবং সময় পেলে বেড়াতে যাবেন।এবং একেবারে টাটকা এবং নিজের চোখে দেখা আশেপাশ থেকে খাবার সংগ্রহ করে টাটকা টাটকা সেই খাবারগুলো খাওয়ার চেষ্টা করবেন। আর চেষ্টা করবেন যতটা সম্ভব খাবারের কাজে প্লাস্টিকে ব্যবহার কম করতে। আমরা অবগত আছি যে বিভিন্ন ধরনের মেলামাইন এবং বিভিন্ন ধরনের প্লাস্টিকের ব্যবহার দিন দিন যত বাড়ছে তত ক্যান্সারের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

সব সময় চেষ্টা করুন স্টিল বা অ্যালুমিনিয়াম এই জাতীয় পাত্রে খাবারের কাজগুলো সেরে নিতে অর্থাৎ রান্না থেকে শুরু করে খাওয়া পর্যন্ত এই পাত্র গুলো ব্যবহার করতে। এছাড়াও নিয়মিত চিকিৎসকের কাছে নিজের শরীরের চেকআপ করাতে যান অর্থাৎ আপনার শরীরে কোন সমস্যা হয়েছে কিনা সেই বিষয়ে জানার চেষ্টা করুন চিকিৎসকের মাধ্যমে।