ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার বেশ কয়েকটি কারণ আছে। যারা ঘন ঘন পোস্টার হওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন তাদেরকে বলব দুশ্চিন্তা করার আগে কেন ঘনঘন প্রস্রাব হচ্ছে সেই কারণটি খুঁজে বের করুন। এটা সবথেকে জরুরি ব্যাপার তার কারণ হচ্ছে ঘনঘন পোস্টার হওয়ার কারণ যদি আপনি খুজে না বের করতে পারেন তাহলে এটার প্রতিকার আপনি করতে পারবেন না এবং এটা থেকে মুক্তি ও পেতে পারবেন না।ঘনঘন পোস্ট হওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের কারণ হতে পারে যেমন মূত্রাশয়ের সংক্রমণ বা রোগ অনেক ক্ষেত্রে আঘাত এর কারণে ঘন ঘন প্রস্রাব হতে পারে। ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার কারণ হিসেবে আমরা প্রস্রাবের ইনফেকশন কে দায়ী করতে পারি প্রাথমিক পর্যায়ে। এ প্রসাবের ইনফেকশন সাধারণত রোগের বিভিন্ন খারাপ অভ্যাসের কারণে তৈরি হতে পারে যেমন পানি কম পান করা। পানি কম খেলে প্রসাবে ইনফেকশন হওয়ার স্বাভাবিক ব্যাপার অথবা সঠিক সময়ে প্রস্রাব চাপলে প্রস্রাব না করে ধরে রাখলে সেটাও প্রস্তাবের ইনফেকশন হওয়ার অন্যতম কারণ।
এছাড়াও ঘনঘন প্রস্তাব হওয়ার একটি বড় কারণ হচ্ছে কিডনি রোগ। আমরা সকলে অবগত আছি যে কিডনি রোগের সঙ্গে আমাদের প্রস্রাব কতটা জড়িত তাই যদি কারো ঘন ঘন প্রস্তাব হয় স্বাভাবিকভাবে কোন কিছু না মনে হলে পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে যদি চেক করা হয় তাহলে কিডনিতে সমস্যা ও দেখা দিতে পারে। তাই ঘনঘন প্রস্তাব হাওয়া কে স্বাভাবিক কোনো কারণ না ভেবে অবশ্যই পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন পড়ে।ঘনঘন প্রস্তাব হওয়ার কারণ হতে পারে ডায়াবেটিস। সাধারণত ডায়াবেটিসের পূর্ব লক্ষণ হিসেবে চিকিৎসা করা বলে থাকেন যদি ঘনঘন প্রস্রাব হয় তাহলে সেটা ডায়াবেটিসের লক্ষণ। তবে সবার ক্ষেত্রে সব বিষয়ে এক নাও হতে পারে ঘন ঘন প্রস্তাবের কারণ ডায়াবেটিস নাও হতে পারে। সবার আগে পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হতে হবে ঘন ঘন পোস্টার হবার কারণ।
গর্ভধারণের প্রথম দিকে ঘন ঘন প্রস্তাব হতে পারে। তা যারা গর্ভধারণের চেষ্টা করছেন তাদের গর্ভধারণের প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে ঘনঘন প্রস্রাব হতে পারে। পরীক্ষার মাধ্যমে এটা নিশ্চিত হতে হবে গর্ভধারণের কারণেই এই ঘন ঘন প্রস্রাব হচ্ছে কিনা।একটা বিষয় হচ্ছে যে কারো অভ্যাস আছে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা সেই হিসাবে ঘনঘন প্রস্তাব একেবারে স্বাভাবিক ব্যাপার। যত তাড়াতাড়ি আপনি পানি পার করবেন সেটা তত তাড়াতাড়ি প্রস্রাবে রূপান্তর হবে তাই ঘন ঘন প্রস্রাব হতে পারে।
ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার প্রতিকার
ঘনঘন প্রস্রাব হওয়ার প্রতিকার সম্পর্কে বলতে গেলে বলতে হয় সবার প্রথমে রোগ নির্ণয় করতে হবে এবং সেই রোগ নির্ণয় করার পরে প্রত্যেকটি রোগের ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা নিয়ম। প্রসবের ইনফেকশনের ক্ষেত্রে আপনাকে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে এবং কিছু অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করতে হবে যার ফলে এই রোগ থেকে আপনি মুক্তি পেতে পারেন।যদি কোন রোগীর কিডনির সমস্যার কারণে ঘনঘন প্রস্রাব হয় তাহলে তাকে কিডনির চিকিৎসা করতে হবে এবং কিডনির চিকিৎসায় সফল হতে পারলে ঘনঘন প্রস্রাব হয় এমনিতেই কমে যাবে। যাদের ডায়াবেটিসের কারণে ঘনঘন প্রসাব হয়েছে তাদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনলেই ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া কমে যাবে।
ঘন ঘন প্রস্রাব মানে কি ডায়াবেটিস
যাদের ডায়াবেটিস হয়নি তাদের প্রাথমিক কিছু লক্ষণ এর মধ্যে ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া একটি লক্ষণ। তবে সবার ক্ষেত্রে বিষয়টি এমন নয় যে ঘন ঘন প্রস্রাব হচ্ছে মানে তার ডায়াবেটিস হয়েছে। যদি কারো ঘন ঘন প্রস্রাব হয় তাহলে এই লক্ষণ ছাড়া অন্য লক্ষণ গুলো খোঁজার চেষ্টা করুন ডায়াবেটিসের জন্য যেমন মনে করুন শরীরের ওজন কমা। এছাড়াও ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হলে আরো কিছু লক্ষণ আছে যেগুলো ফলো করলে আপনি নিশ্চিত হতে পারবেন ডায়াবেটিস হয়েছে কিনা তাছাড়া ঘন ঘন প্রস্তাব হবার অন্য কারণে থাকতে পারে।