আমাদের শরীরের জন্য লিভার কতটা গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ সেটা আমরা সকলেই জানি। কিন্তু সেখানে যদি কোন ধরনের সমস্যা হয় তাহলে সেই সমস্যা আমাদের জন্য গুরুতর সেটাও আমরা জানি। সাধারণত জন্ডিস একটি সাধারণ রোগ যেটা প্রাথমিক পর্যায়ে থাকলে রোগীর কোন ধরনের সমস্যা হয় না। কিন্তু এই জন্ডিস যদি সময়মতো নিয়ন্ত্রণের না রাখা যায় তাহলে সেটা আস্তে আস্তে লিভারের ওপর আক্রমণ করতে পারে। যেটা সত্যি ভয়ান।
সাধারণত এই অবস্থাতে রোগীর রক্তে বিলিরুবিনের পরিমাণ এতটাই অনিয়ন্ত্রিত পর্যায়ে চলে যায় যে সেটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না লিভার। এই বেলেরুবি ন বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে লিভার তার সাধারণ ক্রিয়া-কলাপ করতে পারে না এবং আস্তে আস্তে জন্ডিসের আক্রান্ত হয়। তবে এর পেছনে বড় কিছু রোগ দায়ী আছে অর্থাৎ এই বড় অসুখগুলোর কারণেও সাধারনত লিভার জন্ডিস হয়ে থাকে।
সাধারণত আমরা সকলে অবগত আছি যে হেপাটাইটিস বি অথবা হেপাটাইটিস সি এছাড়াও হেপাটাইটিসের যে সমস্যাগুলো রয়েছে প্রত্যেকটি সমস্যাই লিভার কেন্দ্রিক। সাধারণত যারা এই ভাইরাস ের আক্রান্ত হন তাদের ক্ষেত্রে লিভার জন্ডিস হওয়ার সম্ভাবনা সব থেকে বেশি। প্রথমত এই ভাইরাসগুলোতে আক্রান্ত হলে রোগীরা বুঝতে পারেন না তারপর যখন বুঝতে পারেন তখন সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করেন না।
এছাড়াও আরো কিছু মুখ্য কারণ আছে লিভার জন্ডিসের আক্রান্ত হওয়ার যেমন সিরোসিস। সাধারণত দীর্ঘস্থায়ী আঘাত বা রোগের কারণে লিভার ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায় এবং এর ফলে সেখানে বিভিন্ন ধরনের ব্যথা এবং বিভিন্ন ধরনের ডিজিজ তৈরি হয়। এর কারণেও সাধারণত লিভারের সমস্যা হতে পারে। লিভার যন্ত্রের সম্পর্কে আরো কিছু তথ্য আমাদের কাছে আছে আশা করছি আপনারা আমাদের সঙ্গে থেকে সে তথ্যগুলো সংগ্রহ করতে আগ্রহী হবেন।
লিভার জন্ডিস হলে করণীয়
লিভার জন্ডিস হলে সবার প্রথমে যেই কাজটি আপনি করতে পারেন সেটা হচ্ছে এর সঠিক রোগ নির্ণয়। আমরা সাধারণত রোগের কথা আগে চিন্তা না করে চেষ্টা করে তার চিকিৎসা ব্যবস্থা এটা একেবারে ভুল। এই অবস্থা তো অবশ্যই আপনাকে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী কিছু নির্দিষ্ট ঔষধ খেতে হবে যেটা আপনার লিভারের ক্ষয়ক্ষতি রোধ করবে।
এই অবস্থাতে অবশ্যই একটি সুন্দর লাইফস্টাইল আপনাকে গ্রহন করতে হবে যে সুন্দর লাইফস্টাইল আপনাকে আপনার লিভার কে সুন্দর রাখতে এবং আপনার শরীরকে সতেজ রাখতে সাহায্য করবে। আপনি যদি এই পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করতে পারেন এবং নিয়মিত হেপাটাইটিস রোগের চিকিৎসা করাতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন। তবে আরেকটি বিষয় না বললেই নয় সেটা হচ্ছে লিভার জন্ডিসের চিকিৎসা যদি সঠিকভাবে সঠিক সময়ে না হয় তাহলে সেটা মৃত্যুর ঝুঁকি বয়ে আনতে পারে।
লিভার জন্ডিস হলে কি হয়
লিভার জন্ডিস হলে সাধারণত রোগীর অনেক সমস্যা হতে পারে বিশেষ করে খাওয়ার হজম করতে এবং সেই সংশ্লিষ্ট কাজগুলো করতে। একজন রোগের লিভারে আক্রান্ত হওয়ার পরে তার কি কি সমস্যা হতে পারে সেটা নির্ভর করছে তার প্রাথমিক লক্ষণের উপর এবং সেই লক্ষণগুলো নিয়ে আমরা নিচে আলোচনা করছি।
লিভার জন্ডিস এর লক্ষণ
সাধারণত এই ধরনের রোগীদের প্রচন্ড পরিমাণে পেটে ব্যথা হয় এবং এটা শুধুমাত্র পেটে ব্যথা না পেশি ব্যথা হতে পারে। প্রচুর বমি হয় এবং অনিয়ন্ত্রিত বমি এবং বমি হওয়ার সময় অনেক ক্ষেত্রে রোগী অনেক ব্যথা অনুভূত হতে পারে। রোগের এমন মনে হয় যে খুব ক্ষুধা পেয়েছে কিন্তু যখন খেতে বসে তখন আর বেশি কিছু খেতে পারে না খাওয়ার পর পর পেটে জ্বালাপোড়া এবং পেট ভারী ভারী ভাব এবং অস্বস্তি ভাব অনুভূত হয়।
এছাড়াও একেবারে খাওয়া কমে যাওয়া এবং একেবারে ওজন কমে যাওয়ার মতন সমস্যা হতে পারে লিভার জন্ডিসের কারণে। এই সমস্যাগুলোর সঙ্গে একই সঙ্গে সাধারণ জন্ডিসের যে উপসর্গগুলো রয়েছে সেগুলো অবশ্যই শরীরে ফুটে উঠবে যার মাধ্যমে আপনি নিশ্চিত ভাবে বলতে পারেন লিভার জন্ডিস হয়েছে।