সাধারণত এটা একটি ঔষধের উপাদান যার মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানি বিভিন্নভাবে ঔষধ তৈরি করে। এ্যামলোডিপিন বিসাইলেট হচ্ছে এর সম্পূর্ণ নাম। আজকে আমরা এই ওষুধের সঠিক নির্দেশনা সম্পর্কে অবগত হব। অনেকের কাছে এটা অত্যন্ত পরিচিত আবার অনেকের কাছে অত্যন্ত অপরিচিত তাই চলুন সবার জন্য এ বিষয়টি একেবারে পরিষ্কার করে এবং নতুন একটি ধারনা তৈরি করি। সাধারণত একজন রোগী যখন ডাক্তারের কাছে যাবে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা নিয়ে ডাক্তারের প্রধান কাজ হবে তার রোগ নির্ণয় করা। রোগ নির্ণয় করা হয়ে গেলে তাকে অবশ্যই কিছু ঔষধ দেবে।
আজকের এই ঔ ওষুধের প্রধান যে কার্যকারিতা আছে সেটা হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের হাইপারটেনশনের জন্য ব্যবহার করা হয়। তবে কোন ধরনের হাইপারটেনশনের জন্য এটা ব্যবহার করতে হবে সেটা চিকিৎসক ভাবে বুঝবেন এবং আপনার হাইপার টেনশন জনিত কোন সমস্যা আছে কিনা সেই রোগ নির্ণয় চিকিৎসা করবেন। অবশ্য আপনাকে এই বিষয়ে ধারণা নিতে হলে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে এবং আমাদের এই তথ্য গুলো ভালোভাবে জানতে হবে।
এ্যামলোডিপিন কি কাজ করে
এ্যামলোডিপিন সাধারণত এসেনশিয়াল হাইপারটেনশন রোগের বিরুদ্ধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এখন আপনি যদি বলেন এসেন্সিয়াল হাইপারটেনশন কি তাহলে সেই প্রশ্নের উত্তর আমাদের কাছে রয়েছে। সাধারণত এটা হাইপার টেনশনের চিকিৎসায় অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে এবং অন্যান্য এন্টিহাইপারটেনশিপ ঔষধের সঙ্গে এটা ব্যবহার করা হয় সাহায্যকারী চিকিৎসায়। এছাড়াও এনজাইনা পেট্রোরিস নামক রোগের জন্য এটা ব্যবহার করা হয়। এ ধরনের রোগের উপসর্গ নিয়ে যদি কেউ ডাক্তারের কাছে আসে তাহলে অবশ্যই অন্যান্য ওষুধের সঙ্গে এ্যামলোডিপিন ঔষধ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হবে।
সাধারণত দীর্ঘস্থায় হাইপারটেনশন ও এনজাইনা পেট্রোরস চিকিৎসা এটা ব্যবহার করা হয় এবং এই চিকিৎসাগুলো অত্যন্ত সূক্ষ্ম এক ধরনের চিকিৎসা। এটা খালি চোখে দেখে বোঝা যায় না রোগীর মানসিক কমিশনের উপর নির্ভর করে ডাক্তারেরা অনেকক্ষণ ধরে একজন রোগীর সঙ্গে কথা বলেন। অনেক প্রশ্ন অনেক জিজ্ঞাসা অনেক উত্তর এর মাঝে সিদ্ধান্ত নিতে হয় রোগীর সাধারণত এই ধরনের সমস্যা হয়েছে কিনা। ডাক্তার যদি সঠিক রোগ নির্ণয় করতে পারে তাহলে অবশ্যই এ্যামলোডিপিন গ্রুপের বিভিন্ন ধরনের ঔষধ তাকে খেতে বলবেন।
এ্যামলোডিপিন খাওয়ার সঠিক পরিমাণ
আপনি হয়তো এর একটি ব্যবহার সম্পর্কে অবগত আছেন কিন্তু উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান আপনাকে সুযোগ করে দিয়েছে বেশ কয়েকটি ব্যবহার এবং সঠিক মাত্রা সম্পর্কে জানান। সাধারণত হাইপারটেনশনের জন্য যদি এ্যামলোডিপিন ঔষধ ব্যবহার করা হয় তাহলে সাধারণ মাত্রা হবে দৈনিক ৫ মিলিগ্রাম। যদি বয়স্ক রোগী রয়ে থাকে তাহলে এর মাত্রা আরো কম হতে পারে অর্থাৎ ২.৫ মিলিগ্রাম দৈনিক বয়সকে রোগীদের ক্ষেত্রে এর শুরুর মাত্রা হতে পারে। এটা আস্তে আস্তে বৃদ্ধি করা যাবে তবে বৃদ্ধি করতে সর্বোচ্চ দৈনিক 10 মিলিগ্রাম পর্যন্ত বৃদ্ধি করা যাবে। আপনারা হয়তো বুঝতে পেরেছেন আমরা কি বোঝাতে চেয়েছি অর্থাৎ দিনে সর্বনিম্ন ২.৫ মিলিগ্রাম এবং সর্বোচ্চ ১০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত এ্যামলোডিপিন ঔষধ খাওয়ার নির্দেশনা রয়েছে।
এটা খাওয়ার আগে এবং পরে যেকোনো সময় খাওয়া যেতে পারে অবশ্যই পানির সঙ্গে এটা আপনাকে খেতে হবে। সাধারণত যেসকল রোগীদের যকৃতে সমস্যা আছে সেই সকল রোগীদের জন্য অবশ্যই চিকিৎসকের মাধ্যমে এর ব্যবহারের মাত্রা নির্ধারণ করতে হবে তার কারণ হচ্ছে এখানে অতিরিক্ত মাত্রায় ওষুধ ব্যবহার করা খুব একটা সুবিধা নয়।
এ্যামলোডিপিন দাম ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে বলতে গেলে এখানে বিভিন্ন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে তার মধ্যে মাথাব্যথা থেকে শুরু করে ঘুম ঘুম ভাব আমাদের কাছে পরিচিত কিছু প্রতিক্রিয়া। অতিরিক্ত জ্বর আসা এবং এলার্জির মতো সমস্যা হয় হতে পারে এছাড়াও বারবার প্রসব করার ইচ্ছা এবং অলসতা জাগা এদের মধ্যে কিছু প্রতিক্রিয়া। বিভিন্ন ধরনের কোম্পানি বিভিন্নভাবে এ্যামলোডিপিন উপাদানের মাধ্যমে ঔষধ তৈরি করেন তাই এখানে সঠিক দাম বলা সম্ভব হবে না তবে এ্যামলোডিপিন ট্যাবলেটের দাম 2.49 টাকা থেকে 3.50 টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে।