এজিথ্রোমাইসিন ৫০০ এর কাজ কি Azithromycin 500

সাধারণত সহজ ভাষায় আমরা আমাদের আর্টিকেল তৈরি করি। তাই শুরুতেই সহজ ভাষায় বলতে চাই এজিথ্রোমাইসিন হচ্ছে এক ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক। এর পুরো নাম হচ্ছে এজিথ্রোমাইসিন ডাইহাইড্রেট। এই একটি উপাদানের মাধ্যমে প্রত্যেকটি কোম্পানি বিভিন্ন পরিমাপে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক তৈরি করে। মহামারীর সময়ে এই ঔষধ বা এই উপাদানকে গোটা বিশ্ববাসীর কাছে নতুন ভাবে চেনানো হয়েছে তার কারণ হচ্ছে মহামারীর সময় বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ প্রতিরোধে এই এজিথ্রোমাইসিন ব্যবহার করা হয়েছে।

আজকে আমরা এই আয়োজিত মেশিনের বিভিন্ন কার্যকারিতা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব তার মধ্যে অন্যতম কার্যকারিতা হচ্ছে এজিথ্রোমাইসিন সংবেদনশীল অনুযায়ীব সমূহের দ্বারা সৃষ্ট সংক্রমণ সমূহ যেমন ব্রংকাইটিস থেকে শুরু করে নিউমোনিয়া এবং শ্বাসতন্ত্রের বিভিন্ন সংক্রমণ প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

এই রোগ গুলোর মধ্যে হতে পারে ব্রংকাইটিস, নিউমোনিয়া, শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ, ত্বক এর বিভিন্ন স্থানে সংক্রমণ, মধ্য কর্নের সংক্রমণ সাইনোসাইটিস, ফ্যারেনজাইটিস ও টনসিলাইটিস এর মত সমস্যা। এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা যেগুলোকে আমরা একেবারে অবহেলা করি এবং পরবর্তীতে যখন এগুলো বড় হয়ে যায় তখন খুব একটা সুবিধা হয় না বড় ধরনের অপারেশন অথবা বড় ধরনের চিকিৎসা করতে হয় তাই আগে থেকে আমরা সতর্ক হব এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী অবশ্যই এজিথ্রোমাইসিন খাব।

এজিথ্রোমাইসিন ৫০০ খাওয়ার নিয়ম

এজিথ্রোমাইসিন খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বলতে গেলে সাধারণত এটা মুখে খেতে হবে যদি পাউডার ব্যবহার করেন তাহলে প্রথম ধাপে পাউডারটি গরম পানি দিয়ে সঠিক পরিমাপে মিশ্রণ করে নিতে হবে। এবং তারপরে পুরোপুরি ঠান্ডা হওয়ার পরে সেটা মেশাতে হবে এবং খেতে হবে। এখানে খাদ্য গ্রহণের এক ঘন্টা পূর্বে অথবা দুই ঘন্টা পরে পানির সঙ্গে এই ঔষধ খাওয়া যাবে।

এজিথ্রোমাইসিন ৫০০ খাওয়ার সঠিক পরিমাণ

সঠিক মাত্রা হিসেবে বলতে গেলে প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে দৈনিক 500 মিলিগ্রাম করে সর্বোচ্চ তিন বার খাওয়াতে হবে। তবে এই মাত্রা যে কোন সময় উঠানামা করতে পারে তাই খেয়াল রাখবেন এবং দৈনিক ২৫০ মিলিগ্রাম করে সর্বোচ্চ তিন চার দিন খাওয়ানো যাবে শেষের দিকে।

যেহেতু এই ঔষধ বিভিন্ন বয়সের রোগীদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় তাই মাত্রা বিভিন্ন হতে পারে এই ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া সব থেকে উত্তম পন্থা। ছয় মাসের অধিক বয়সী শিশুর থেকে শুরু করে ছয় বছর পর্যন্ত শিশুদের জন্য এই এজিথ্রোমাইসিন ব্যবহার করা যাবে তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এবং শিশুর শারীরিক ওজনের উপর নির্ভর করে মাত্র নির্ধারণ করতে হবে। টাইফয়েড জ্বরের ক্ষেত্রে এই এজিথ্রোমাইসিন ব্যবহার করা হয়।

টাইফয়েড জ্বরের ক্ষেত্রে যদি এজেটোমেশিন ব্যবহার করেন তাহলে দৈনিক 500 মিলিগ্রাম করে সাত থেকে দশ দিন পর্যন্ত এই ঔষধ চিকিৎসা করতে হবে। যেহেতু এন্টিবায়োটিক সেহেতু হাতে গোনা কয়েকটা রোগ নয় বেশ কয়েকটা রোগের বিরুদ্ধে কাজ করতে পারে তাই বিভিন্নভাবে এই ওষুধের ব্যবহার আমরা লক্ষ্য করেছি।

এজিথ্রোমাইসিন ৫০০ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ও দাম

সব সময় ওষুধ খাবার খেতে একটা জিনিস লক্ষ্য রাখবেন সেটা হচ্ছে প্রত্যেকটি ঔষধ খাওয়ার ফলে শরীরে কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় যেগুলো সাংঘাতিক নাও হতে পারে তবে যদি সাংঘাতিক হয় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। আর এটা কনফার্ম যে আপনি যদি অতিরিক্ত মাত্রায় ওষুধ খান তাহলে অবশ্যই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেবে তার মধ্যে রয়েছে পেটের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা এবং পেটে ব্যথা। চুলকানির মতন পার্থপ্রতিকেও দেখা দিতে পারে আবার অনেকের ক্ষেত্রে মাথা ব্যথা বা বমি হতে পারে তাই বিষয়গুলো অবহেলা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করুন।

দামের কথা যদি বলতে হয় বিভিন্ন কোম্পানি বিভিন্নভাবে এই ঔষধ তৈরি করছে তাই এখানে সঠিক দাম বলাটা ঠিক হবে না। এজিথ্রোমাইসিন ৫০০ ট্যাবলেট বিভিন্ন কোম্পানি তৈরি করছে এখানে আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি এই ট্যাবলেট গুলোর সর্বনিম্ন দাম 25 টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৪০ টাকার মধ্যে রয়েছে।