বিকোজিন সিরাপ এর কাজ কি

আপনারা যদি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করেন তাহলে আপনার প্রয়োজনীয় প্রত্যেকটি ওষুধের তথ্য এখানে পাবেন। মনে করুন হঠাৎ করে আপনি অসুস্থ হলেন এখন কি ওষুধ খেতে হবে সে বিষয়ে কোনো ধারণা পাচ্ছেন না আপনি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে সে তথ্য পাবেন। সমস্যা নিয়ে ডাক্তারের কাছে গেছেন এবং ডাক্তার সাহেব প্রেসক্রাইব করেছে এবং প্রেসক্রিপশনে যে ওষুধগুলো লিখেছে সেগুলো কোন সমস্যার বিরুদ্ধে আপনাকে সাহায্য করবে সেগুলো জানার জন্য আপনি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন।

আজকে আমরা জানার চেষ্টা করব অত্যন্ত পরিচিত বিকোজিন-আই সিরাপ এর সঠিক কার্যকারিতা সম্পর্কে। সাধারণত এই সিরাপ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে আয়রন পলি ম্যালটোজ কমপ্লেক্স । এ সঙ্গে আরো ব্যবহার করা হয়েছে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স এবং জিংক। উপাদান গুলো দেখার পরে আপনি হয়তো অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন এই সিরাপ কতটা গুরুত্বপূর্ণ মানব শরীরের জন্য। আমাদের শরীরে এই উপাদান গুলোর যেকোনো একটি যদি ঘাটতি পরে তাহলে অবশ্যই আমরা অসুস্থ হব এবং সেই অসুস্থতার কারণে মূলত ডাক্তারের আমাদের এই সিরাপ খেতে বলে।

বিকোজিন-আই সিরাপ এর সঠিক কার্যকারিতা কি

আমরা উপরে আপনাদের খুব সুন্দর ভাবে জানিয়েছে যে এই ওষুধ তৈরিতে তিন ধরনের উপাদান ব্যবহার করা হয় এবং এই তিনটি উপাদান মানব শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনার শরীরে যদি বিভিন্ন সমস্যা বা উপসর্গ দেখে বোঝা যায় আপনার শরীরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স এবং জিংক এর ঘাটতি রয়েছে তাহলে অবশ্যই ডাক্তার আপনাকে বিকোজিন-আই সিরাপ খেতে বলবে। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের আরো অন্যান্য সমস্যার সমাধানের জন্য এই ওষুধটি অত্যন্ত কার্যকরী বলে আমি মনে করি।

একজন রোগী বিভিন্ন ধরনের সমস্যা নিয়ে ডাক্তারের কাছে গেল এবং ডাক্তার তার উপসর্গ গুলো দেখে এটা বুঝতে পারল যে তার শরীরে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স এবং জিংক এর ঘাটতি রয়েছে। আমরা জানি যে বিকোজিন-আই সিরাপ আইরন এবং ভিটামিন বি কমপ্লেক্স এবং জিংক এর সমন্বয়ে তৈরি। তাহলে অবশ্যই আপনি এটা নিশ্চিত হতে পারেন ডাক্তারেরা এই উপসর্গ আপনার শরীরে দেখা পেলে অবশ্যই এই জিনিসের ঘাটতি পূরণে অথবা প্রতিরোধমূলক চিকিৎসায় এটা ব্যবহার করা হয়। প্রতিরোধমূলক চিকিৎসার ক্ষেত্রে গর্ভকালীন ও স্তন্যদান কালীন সময় এটা নির্দেশনা করা হয়। তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে আপনাকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।

বিকোজিন-আই সিরাপ মাত্রাও সেবন বিধি

মাত্রা সম্পর্কে বলতে গেলে প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে ৫-১০ মিলি অর্থাৎ এক চা চামচ থেকে দুই চা চামচ দিনে তিনবার অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খেতে হবে। ওষুধ খাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আপনাকে ঔষুধ খেতে হবে যদিও এখানে একটি দিকনির্দেশনা আছে তারপরও সিদ্ধান্ত আপনাকে গ্রহন করতে হবে সঠিকভাবে। শিশুদের ক্ষেত্রে এক চা চামচ দিনে তিনবার অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী। শিশুদের ব্যাপারে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হয় প্রত্যেকটি অভিভাবক এর। তাই কোনভাবেই শিশুদের বেলায় ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবন করানো যাবে না।

যারা একেবারেই নবজাতক তাদের ক্ষেত্রে অবশ্যই এই ওষুধ খাওয়ানো যাবে তবে এই ক্ষেত্রে সঠিক দিকনির্দেশনা দিতে পারবে উপস্থিত শিশু ডাক্তার। আপনি যখন উপস্থিত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে চাইবেন তখন অবশ্যই ডাক্তার রোগীর শারীরিক অবস্থা এবং বাচ্চার ওজনের উপর নির্ভর করে আপনাকে ওষুধ খাওয়াতে বলবে যেটা হবে সঠিক দিকনির্দেশনা।

বিকোজিন-আই দাম ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

এটা স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যালস কোম্পানির একটি সিরাপ এবং এর বর্তমান এক বোতল সিরাপ এর দাম ৬০ টাকা। পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে বলতে গেলে এটার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া খুব কম আপনার শরীরে দেখা দেবে তবে তারপরও কিছু কিছু সমস্যা আছে যেটা কমন যেমন বমি বমি ভাব হওয়া অথবা বমি হওয়া। অনেকের ক্ষেত্রে কোষ্ঠকাঠিন্য অথবা ডায়রিয়া দেখা দিতে পারে আবার অনেকের এমন সমস্যা দেখা দিতে পারে যেটা গুরুতর হতে পারে। গর্ব অবস্থায় এবং স্তন্যদান কালে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এটা আপনি ব্যবহার করতে পারেন।