বাংলাদেশ হচ্ছে কৃষি প্রধান দেশ এবং সেই কৃষি প্রধান দেশে আমাদের কাছে সবথেকে মূল্যবান আমাদের কৃষক এবং কৃষকের জমিতে থাকা ফসল। মানুষ অসুস্থ হলে যেমন ওষুধের প্রয়োজন আছে এবং বেড়ে ওঠার জন্য জানানো মন পুষ্টিগুলো এবং ভিটামিনের প্রয়োজন আছে ঠিক ফসলের ক্ষেত্রেও একই। আজকে আমরা তেমনি একটি ঔষধের কথা আলোচনা করতে যাচ্ছি। কার্বেন্ডাজিম কোন কোন ফসলের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে এবং এটা ফসলের কি উপকার করে সে সম্পর্কে আপনারা জানতে পারবেন।
বাংলাদেশ হচ্ছে একটি কৃষি প্রধান দেশ আমাদের প্রত্যেকের আদি পুরুষটা এই দেশে কৃষি কাজ করে তার জীবিকা নির্বাহ করত। কিন্তু এখন বাংলাদেশের জীবিকা নির্বাহের অনেক পরিবর্তন হয়েছে এবং বাংলাদেশ এখন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শিল্প খাত নিয়ে বেশি ব্যস্ত। তারপরও দেশের অভ্যন্তরে যে চাষাবাদ হয় তা থেকে দেশের মানুষের খাবারের চাহিদা পূরণ হওয়া আবশ্যক তা না হলে অর্থনীতিতে এর প্রভাব পড়তে পারে। কিভাবে অর্থনীতিতে প্রভাব পড়তে পারে সেটা আমরা সকলেই অবগত আছি।
কার্বেন্ডাজিম কোন ফসলে ব্যবহার করা হয়
প্রত্যেকটি জিনিসের আলাদা আলাদা কাজ আছে তাই আপনি সকল ঔষধ সকল ধরনের শস্য তে ব্যবহার করতে পারবেন না। সাধারণত ধান, ভুট্টা, দানাদার ফসল, লাউজাতীয় সবজি, সিম জাতীয় সবজি, সুগারবিট, আপেল, তামাক ও বিভিন্ন ফলমূল যেমন, কলা, আনারস, আম, লেবু, স্ট্রবেরি, ইত্যাদিতে এই ওষুধটি ব্যবহার করা যায়।
কার্বেন্ডাজিম এর কাজ কি
সাধারণত এটি প্রবাহমান হওয়ার কারণে গাছের পাতায় প্রয়োগ করলে সমস্ত গাছে ছড়িয়ে পড়ে। আপনি যখন গাছের পাতায় এই জিনিসটি প্রয়োগ করতে যাবেন তাহলে অবশ্যই খেয়াল করবেন সমস্ত গাছে এটা ছড়িয়ে পড়েছে কিনা। এর পাশাপাশি আপনি যদি গাছের গোড়ায় এটি প্রয়োগ করেন তাহলে শিকড়ের মাধ্যমে গাছে গোড়ায় ছড়িয়ে পড়বে এটি। তাই সেখানে যে ধরনের ছত্রাক জন্ম নিতে চাচ্ছে সেই ছত্রাগুলো জন্মের আগে সেখানে ধ্বংস করে দেবে এই ওষুধ। মূলত ছত্রাক ধমও নেই এই কাজটি বেশি কাজ করে এছাড়াও আরো অসুখ আছে যেগুলোর বিরুদ্ধে কাজ করে।
পাতা পোড়া, পাতার দাগ , মিলডিউ , পচা নিয়ন্ত্রণের নিয়ন্ত্রণে এটি ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়াও বীজ শোধনে অর্থাৎ বীজ সংরক্ষণের ক্ষেত্রে বীজ শোধনের অনেক বড় ভূমিকা রাখে এই ঔষধ। এছাড়াও গাছের অ্যানথ্রোকনোলজ জাতীয় অসুখ মোকাবেলা তে এই ঔষধটি সবথেকে বেশি কার্যকরী। রোগ হওয়ার প্রাথমিক পর্যায়ে আপনাকে এই ওষুধটি প্রয়োগ করতে হবে এবং আপনি শুরুর দিকে এটা প্রয়োগ করলে বেশি ফলাফল পাবেন বলে আশা করা যায়।
কার্বেন্ডাজিম প্রয়োগ মাত্রা
প্রত্যেকটি ওষুধের রয়েছে নির্ধারিত প্রয়োগ মাত্রা এবং এই প্রয়োগ মাত্রার কম প্রয়োগ করলেও আপনি উপকার পাবেন না এবং বেশি পড়লে তো আপনাকে অবশ্যই ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। প্রত্যেকটি সর্ষের ক্ষেত্রে যদি সেখানে অতিরিক্ত মাত্রায় ভিটামিন অথবা অতিরিক্ত মাত্রায় সার অথবা অতিরিক্ত মাত্রায় কীটনাশক প্রয়োগ করা হয় তাহলে দেখবেন সেই শস্য একেবারেই নষ্ট হয়ে গেছে। তাই সতর্কতার সঙ্গে এই জিনিসটা আপনাকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে চলুন জানি সঠিক মাত্রা।
প্যাকেটের গায়েই সঠিক মাত্রা নির্ধারণ করে দেওয়া থাকে তবে নিজ শোধনের ক্ষেত্রে ১ লিটার পানিতে দুই গ্রাম এই ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়াও বীজ বা রাইজোম অথবা টিউবার শোধনের কমপক্ষে ১৫ মিনিটের জন্য এটা রাখতে হয়।
বাজারে এই গ্রুপের ওষুধটি বিভিন্ন কোম্পানি বিভিন্ন নামে বাজারে এনেছে। তাই এখানে যদি আমরা আলাদাভাবে সেই নামের তালিকা গুলো তুলে ধরতে চাই তাহলে অনেক বড় একটি তালিকা তৈরি হবে। আশা করছি আপনারা এই ওষুধ সম্পর্কে যথেষ্ট ধারণা পেয়েছেন এছাড়াও এর বাইরে যদি আপনার কোন সমস্যা থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করবেন। কৃষি প্রধান দেশে কৃষকদের পাশে থাকতে আমরা সবসময় তৈরি আছি তাই যেকোনো ধরনের সমস্যায় আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।