সাধারণত যখন জীবনে চলার পথে আমরা বিভিন্ন ধরনের চিন্তা ভাবনাই পড়ে যায় তখন মানসিকভাবে আমরা অনেক বেশি দুর্বল হয়ে যায়। বয়স যখন কম থাকে তখন এই চিন্তা-ভাবনা আমাদের শরীরে থাকে না কিন্তু বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন দায়িত্ব বিভিন্ন কর্তব্য পালন করতে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের চিন্তাভাবনা মাথায় ঢোকে। কিন্তু এই চিন্তা ভাবনা যখন অসুস্থতায় পরিণত হয় তখন অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজে। এই বিষয়গুলোকে কখনোই অবহেলা করা যাবে না এবং তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।
আপনি যত তাড়াতাড়ি চিকিৎসরকের কাছে যাবেন তখন তাড়াতাড়ি চিকিৎসক আপনাকে ভালো পরামর্শ দিতে পারবে। আজকের ট্যাবলেটটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই ধরনের চিকিৎসার ক্ষেত্রে যারা অনেকদিন ধরে মানসিক টেনশন এ ভুগছেন। ক্লোনাজিপাম ০.৫ ট্যাবলেট মূলত এক ধরনের প্রশান্তির সৃষ্টি করে যেটা আপনার মস্তিষ্কের সঙ্গে অত্যন্ত ভালো সক্ষতা গড়ে তোলে। আজকে আমরা এই ট্যাবলেটের সঠিক কার্যকারিতা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব এর পাশাপাশি আরো জানব ট্যাবলেট খাওয়ার সঠিক মাত্রা। এর বর্তমান বাজার মূল্য এর পাশাপাশি এর কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে কিনা সেই বিষয়েও জানার চেষ্টা করব আমাদের এই আর্টিকেল থেকে।
ক্লোনাজিপাম ০.৫ ট্যাবলেট এর কার্যকারিতা
প্রত্যেকটি ওষুধের ন্যায় এই ট্যাবলেটের রয়েছে আলাদা আলাদা কার্যকারিতা এবং যেটা জানতে পারলে আপনি অনেক আশ্চর্য হবেন। অনেকের মনে একটি ধারণা আছে যে এটা ঘুমের ওষুধ কিন্তু এটা সরাসরি ঘুম বাড়াতে কোনভাবেই আপনাকে সাহায্য করে না। এটা কিভাবে কার্যকরী হয়ে ওঠে আপনার শরীরের জন্য সেটা এখন জানবো। বিভিন্ন ধরনের প্যানিক ডিসঅর্ডারের জন্য এই ওষুধটি নির্দেশিত করা হয়। হঠাৎ করে ঘন ঘন আকসিক ভীত হলে বা এই ধরনের রোগের লক্ষণ দেখা দিলে যে সকল রোগীরা একটু বেশি ভয় পায় তাদের ক্ষেত্রে এই ঔষধ ব্যবহার করা হয়।
এখানেই শেষ নয় অনেক সমস্যার ক্ষেত্রে যেমন অ্যাপসের সিজার এর রোগের যাদের ক্ষেত্রে সাইসিনামাইড অকার্যকর তাদের ক্ষেত্রে এটি নির্দেশিত হতে পারে। এর পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে আপনি যদি এই ক্লোনাজিপাম ০.৫ ব্যবহার করেন তাহলে এখানে অনেক সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এই ঔষধ সাধারণত আপনার শরীরের রিলাক্স করবে বিভিন্ন ধরনের দুশ্চিন্তা এবং ভীতি দূর করানোর চেষ্টা করবে তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিকভাবে আপনাকে সেবন করতে হবে।
ক্লোনাজিপাম ০.৫ ট্যাবলেট এর মাত্রা ও সেবন বিধি
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই ঔষধ দীর্ঘ চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হয় তবে অবশ্যই এটা খেয়াল রাখতে হবে অতিরিক্ত মাত্রায় ঔষধ খেলে আপনার ক্ষতি হবে। প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যার জন্য প্রারম্ভিক মাত্রা হতে পারে ১.৫ মিলিগ্রাম দৈনিক তিনবার। এই মাত্রা আস্তে আস্তে বাড়ানো যেতে পারে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী। ডাক্তারের সঠিক পরামর্শ অনুযায়ী আপনি যদি সঠিকভাবে এটা মেইনটেইন করতে চান তাহলে দিনের সর্বোচ্চ মাত্রা ২০ মিলিগ্রাম। এছাড়াও যাদের প্যানিক ডিসঅর্ডার আছে তাদের ক্ষেত্রে প্রারম্ভিক মাত্রা হচ্ছে ০.২৫ মিলিগ্রাম দুইটি বিভক্ত মাত্রায় একদিনে। এদের ক্ষেত্রে দৈনিক সর্বোচ্চ মাত্রা এক মিলিগ্রাম।
শিশুদের ক্ষেত্রে এই ঔষধ ব্যবহার করা খুব একটা প্রয়োজন পড়ে না তারপরেও যদি প্রয়োজন পড়ে তাহলে অবশ্যই একজন শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে আপনি আগে যাবেন। এখানে সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় করা থেকে শুরু করে শিশুর ওজন এবং শারীরিক সুস্থতার ওপর নির্ভর করে ঔষধের পরিবার ঠিক করে দেওয়া সেই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের দায়িত্ব। এই কাজটুকু আপনি তাকেই করতে দেবেন তার কারণ হচ্ছে এটা সঠিকভাবে না করলে যেকোনো সময় আপনার শিশুর সমস্যা হতে পারে।
ক্লোনাজিপাম ০.৫ ট্যাবলেট এর দাম ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
অতিরিক্ত মাত্রায় কোন ঔষধই ভালো না আপনি যদি অতিরিক্ত মাত্রায় ওষুধ খান তাহলে আপনার বিভিন্ন ধরনের মানসিক অবসন্নতা দেখা দিতে পারে। মাথা ঘোরা এবং চলাচল অনিয়ন্ত্রিত হতে পারে। অনেকের ক্ষেত্রে বিষন্নতা, যৌন আকাঙ্ক্ষাবিদ্ধি, মাথা ঘোরা, খিঁচুনি ইত্যাদি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। বর্তমানে এই ঔষধ এর বাজার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতিবছের 6 টাকা।