চলে এলাম আপনাদের জন্য নতুন একটি তথ্য নিয়ে যেখানে আপনারা জানতে পারবেন D-Rise ক্যাপসুলের খুঁটিনাটি অনেক তথ্য। অনেকেই এই ক্যাপসুল সম্পর্কে কিছুই জানেন না বা কোনদিন এর নাম শুনেননি কিন্তু মহামারীর সময়কাল থেকে নতুনভাবে এই ক্যাপসুল আমাদের কাছে পরিচিতি পেয়েছে। বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যাল লিমিটেডের D-Rise ক্যাপসুল এর বেশ কয়েকটি ধারণা আছে বাজারে। বিভিন্ন রোগের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরন ব্যবহার করা যেতে পারে তার কারণ হচ্ছে কোন কোন রোগীর শারীরিক অবস্থা ভিন্ন হতে পারে অন্যদের থেকে।
আজকে আমরা এই ওষুধের সঠিক কার্যকর্তা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব এবং এই ওষুধ খাওয়ার সঠিক নিয়ম ও পরিমাপ সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব। আপনারা যারা এই বিষয়গুলো জানতে চাচ্ছেন তারা অবশ্যই ধৈর্য সহকারে আমাদের সঙ্গে থাকুন এই বিষয়ে জানার জন্য। আমরা আপনাদের শেষ পর্যন্ত এ বিষয়ে তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করব।
D-Rise ক্যাপসুল কি কাজ করে
এই ক্যাপসুল এর কার্যকারিতা সম্পর্কে বলতে গেলে সবার প্রথমে বলতে হয় যে যেসব মানুষের সূর্যালোকের সংস্পর্শে কম আসে এবং যাদের খাদ্যে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি রয়েছে তাদের দেহে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণের জন্য D-Rise ক্যাপসুল ব্যবহার করা হয়। আমাদের শরীরে যে ইমুইটি সিস্টেম আছে অর্থাৎ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার প্রধান হাতিয়ার হচ্ছে ভিটামিন ডি। আমাদের শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকলে আমরা সবসময় সুস্থ থাকবো এবং যেকোনো ধরনের রোগ হলে সেই রোগ আমাদের শরীরের ভেতর থেকে এমনিতেই অটোমেটিক্যালি প্রতিরোধ করতে পারবে। কিন্তু এ ভিটামিন ডি এর উৎস খুব কম অর্থাৎ খাবারের মধ্যে খুবই অল্প পরিমাণে ভিটামিন ডি আছে এবং ভিটামিন ডি এর বড় যে উৎস আছে সেটা হচ্ছে সূর্যের আলো। যেকোনো কারণে এই ভিটামিন ডি এর ঘাটতি শরীরে দেখা দিলে D-Rise ক্যাপসুল ব্যবহার করতে বলবেন চিকিৎসকেরা।
ভিটামিন ডি থ্রি পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম ও ফসফেট শোষণের মাধ্যমে মজবুত অস্থি ও দাঁত গঠনে অত্যন্ত ভালো ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও আরো কিছু রোগ প্রতিরোধে এটা কাজ করে যেমন অস্ট্রিও প্রেরোসিস প্রতিরোধে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই ঔষধ। এছাড়াও যে ধরনের রোগীদের গর্ভাবস্থায় ফ্রিএকলামশিয়া প্রতিরোধ করার প্রয়োজন রয়েছে বা উপসর্গ দেখে বোঝা যাচ্ছে প্রিএকলামশিয়া হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাদের এই বিষয়টি প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসাবে কাজ করে এই ক্যাপসুল। এছাড়াও গর্ভাবস্থায় শিশুদের পুষ্টির জন্য এবং স্তন্যদান কালে অতি প্রয়োজনীয় ঔষধ হচ্ছে এটা।
D-Rise ক্যাপসুল খাওয়ার সঠিক নিয়ম
এই ঔষধ অত্যন্ত শক্তিশালী একটি ঔষধ তাই সবসময় সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে কোনভাবেই অতিরিক্ত মাত্রা খাওয়া যাবে না। ভিটামিন ডি থ্রি এর ঘাটতি পূরণের জন্য প্রতি সপ্তাহে চার হাজার আয়ু সাত সপ্তাহ পর্যন্ত ব্যবহার করতে হবে। মেনটেনেন্স থেরাপি হিসাবে মাত্রা হতে পারে ৪০০০০ থেকে ২০০০০ আইয়ু পর্যন্ত। অস্ট্রি ওপেনসিস রোগীদের সহায়ক চিকিৎসায় প্রতি মাসে ২০০০০ আইউ খেতে হবে। শিশুদের ক্ষেত্রে যাদের বয়স ১২ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে তাদের ভিটামিন ডি থ্রি ঘাটতি জনিত চিকিৎসায় প্রতি দুই সপ্তাহে ২০০০০ আয়ু 6 সপ্তাহ পর্যন্ত এবং ভিটামিন ডি থ্রি ঘাটতি প্রতিরোধে প্রতি 6 সপ্তাহে ২০০০০ আয়ু।
D-Rise ক্যাপসুল এর দাম ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
খাওয়ার পরিমাপ দেখে হয়তো আপনারা বুঝতে পেরেছেন কতটা সতর্ক হতে হবে এই ওষুধ খেতে হলে। অতিরিক্ত মাত্রায় এই ঔষধ খেলে অনেকের পেটের সমস্যা হতে পারে অনেকের বমি বমি ভাব বা ডায়রিয়া হতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে শুরু করে ওজন কমা অনেকের অতিরিক্ত ঘাম থেকে শুরু করে পিপাসা বা মাথা ঘোরার মতন সমস্যা নিয়মিত হতে পারে। বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যাল লিমিটেড এর D-Rise ৪০ হাজার এর দাম বর্তমানে ৩৫ টাকা।