আপনি যখন একটি ঔষধ খেতে যাবেন তখন অবশ্যই আপনার মাথায় একটা জিনিস বারবার ঘুরপাক খাবে সেটা হচ্ছে এই ওষুধের সঠিক কার্যকারিতা। আবার অনেকেই রয়েছে যারা ওষুধের সঠিক পরিচিতি না জেনে ওষুধ খাওয়ার চেষ্টা করে তাদের জন্য সবসময় মনে এক ধরনের চিন্তা ঘুরপাক খায় এটা কি সত্যিই ভালো ঔষধ কিনা। কি পরিমাণে ওষুধ খেলে সুস্থ হওয়া যাবে এরকম অনেক ধরনের প্রশ্নের উত্তর আপনারা আমাদের এখান থেকে পাবেন। ডক্সিক্যাপ সাধারণত কোন কাজে আসে সে সম্পর্কে আমরা আপনাদের সঙ্গে আজকে আলোচনা করব।
এই ওষুধের সাধারণত সঠিক ব্যবহার জানতে হলে অবশ্যই আপনারা আমাদের সঙ্গেই থাকবেন শেষ পর্যন্ত এর পাশাপাশি আপনারা আরও জানতে পারবেন এই ওষুধের কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে কিনা। আপনি যখন এই সকল কিছু জানতে পারবেন তখন নিঃসন্দেহে সঠিকভাবে ওষুধ সেবন করবেন এবং নিজে সুস্থ থাকবেন। তাহলে চলুন মূল আলোচনার দিকে যাওয়া যাক।
ডক্সিক্যাপ এর কাজ কি
একটি ঔষধ অনেকভাবে কাজ করে যেমন ডক্সিসাইক্লিন হাইড্রোক্লোরাইড এর মূল উপাদান আজকে আমরা এই ডক্সি সাইক্লিন হাইডোক্লোরাইড এর কার্যকারিতা সম্পর্কে জানলেই ঔষধের কার্যকারিতা সম্পর্কে জানতে পারব। সাধারণত বিভিন্ন ধরনের নিউমোনিয়া বিভিন্ন ধরনের ইনফ্লুয়েঞ্জার এবং বিভিন্ন ধরনের সাইনোসাইটিস এই ধরনের পরিচিত রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে ডক্সিসাইক্লিন হাইড্রোক্লোরাইড। আই যারা এই ধরনের উপসর্গ নিয়ে ডাক্তারের কাছে যাবে তখন অবশ্যই ডাক্তার রোগীর সঙ্গে পরামর্শ করার পরে অন্যান্য ঔষধের পাশাপাশি ডক্সিক্যাপ ট্যাবলেট তাকে খাওয়ার পরামর্শ দেবেন।
এখানেই শেষ নয় এছাড়াও আরো কিছু গুরুতর সমস্যা আছে যেমন বলতে গেলে টনসিলাইটিস অনেকের ক্ষেত্রে ফ্যারেনজাইটিস এই ধরনের সমস্যা সমাধানের জন্য এই ওষুধের ব্যবহার আমরা লক্ষ্য করেছি। কিছু ব্যতিক্রম ধর্মী রোগের চিকিৎসার জন্য এটা ব্যবহার করা হয় যেমন ট্রাভেলার্স ডায়রিয়া অর্থাৎ বিভিন্ন জায়গাতে বেড়ানোর জন্য যদি কারো ডায়রিয়া হয়ে থাকে তাদের এই ধরনের ডায়রিয়ার প্রতিরোধ এবং চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হয় ডক্সিক্যাপ ট্যাবলেট।
এখানেই শেষ নয় আরো কিছু রোগ আছে যেগুলো আপনাদের কাছে অতি পরিচিত এবং এই রোগের বিরুদ্ধে এই ওষুধটি অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আপনাকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে আপনি এই ওষুধ কেন খাচ্ছেন এবং কতটুকু খাচ্ছেন।
ডক্সিক্যাপ খাওয়ার সঠিক পরিমাপ
সঠিক মাথায় কোন ঔষধি যদি না খাওয়া হয় তাহলে ডাক্তারকে বা ওষুধের দোষ দিয়ে কোন লাভ হবে না অবশ্যই আপনাকে সঠিক মাথায় ঔষধ খেতে হবে। সাধারণত প্রথম দিনে ২০০ মিলিগ্রাম এবং তারপরে সাত থেকে দশ দিনের জন্য প্রতিদিন ১০০ মিলিগ্রাম করে ওষুধের মাত্রা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে প্রাথমিক রোগ গুলোর ক্ষেত্রে। একজন রোগী যখন বিভিন্ন ধরনের সমস্যা নিয়ে ডাক্তারের কাছে যায় ডাক্তারের প্রথম কাজ হচ্ছে তার সঠিক রোগ নির্ণয় করা এবং সে যদি সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় করতে পারে তাহলে অবশ্যই এই প্রাথমিক মাত্রা তাকে খেতে বলবে।
তবে যাদের গুরুতর সমস্যা আছে তাদের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে প্রথম দিনে ২০০ মিলিগ্রাম এবং তারপরে সাত থেকে ১০ দিনের জন্য প্রতিদিন ১০০ মিলিগ্রাম করে খাওয়ানোর অনুমতি দেওয়া হয়। এটা বৃদ্ধি করে ২০০ মিলিগ্রাম ও করা যেতে পারে। যারা ব্রণ সমস্যায় ভুগছেন তাদের এই ব্রণ ভালো করার জন্য প্রতিদিন ১০০ মিলিগ্রাম করে ওষুধ খেতে হবে।
ডক্সিক্যাপ দাম ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
সাধারণত বিভিন্ন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখতে পাওয়া যায় তার মধ্যে অন্যতম গুরুতর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হচ্ছে পেটের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা। পেটের সমস্যার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের এলার্জিক রিএকশন আসতে পারে তবে অবশ্যই এটা হবে না যখন কিনা আপনি সঠিকভাবে ঔষধ খাবেন। যেকোনো ধরনের পরামর্শ নেওয়ার জন্য ভালো ডাক্তারের কাছে গেলে অবশ্যই সেখান থেকে ভালো পরামর্শ আপনি পাবেন।