ফ্যাটি লিভারের বিভিন্ন ধরনের গ্রেড আছে। এখানে এই সমস্যাকে মোট তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়। চিকিৎসা করা রোগের শারীরিক অবস্থার ওপর নির্ভর করে এই তিনটি ভাগ করে দেন এবং এই তিনটি ভাগের চিকিৎসার পর্যায়ে তিন ধরনের হয়ে থাকে। যাদের ফ্যাটি লিভারের গ্রেড এক হয় তাদের ক্ষেত্রে কোন ধরনের চিকিৎসা হবে এবং যাদের দুই হয় তাদের কোন ধরনের চিকিৎসা হবে সেটা অত্যন্ত জরুরি ব্যাপার। তবে এর জন্য অবশ্যই জানতে হবে ফ্যাটি লিভার এক এরকম রোগী কারা বা তাদের বৈশিষ্ট্য কি সে সম্পর্কে।
সাধারণত ফ্যাটি লিভারের যারা প্রাথমিক পর্যায়ের রোগী আছেন তাদেরকেই বলা হয় ফ্যাটি লিভার ১। এ ধরনের সমস্যা যদি চিকিৎসা করা খুঁজে পান তাহলে অবশ্যই তাকে খুব সামান্য ঔষধ এবং কিছু নিয়ম বলে দেবেন যে নিয়ম মেনে চললে সেই পুরোপুরি এখান থেকে সুস্থ হতে পারবে। সাধারণত ফ্যাটি লিভার কে ক্যাটাগরাইজ করার জন্য একটি টেস্ট আছে যে টেস্টের মাধ্যমে বোঝা যায় ফ্যাটি লিভারের অবস্থান কোন জায়গাতে।
ফ্যাটি লিভারের গ্রেট গুলো কেমন
সাধারণত যাদের ফ্যাটি লিভারের সমস্যা আছে তাদের এই সমস্যার সমাধানের জন্য যখন চিকিৎসকের কাছে যান তখন চিকিৎসক বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হতে চান সঠিক সমস্যা কি হয়েছে। সঠিক সমস্যা যদি খুঁজে বের করা যায় তাহলে তার চিকিৎসা দেওয়া সহজ হয় তাই অবশ্যই একটু ধৈর্য ধরে সঠিক সমস্যা খুঁজে বের করার চেষ্টা করা উচিত।
সবার প্রথমে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করা হয় এবং আল্ট্রাসনোগ্রাফির মাধ্যমে দেখা যায় যে তার ফ্যাটি লিভার হয়েছে। তবে এখানে কোন গ্রেডে ফ্যাটি লিভার হয়েছে সেটার জন্য প্রয়োজন পড়ে আরেকটি পরীক্ষা। এরপরে যেই পরীক্ষা করা হয় সেই পরীক্ষার নাম ফাইব্রোস্ক্যান। এই পরীক্ষার মাধ্যমে সাধারণত এটা নির্ণয় করা যায়।
ফ্যাটি লিভার ১ এর চিকিৎসা কি
সাধারণত যাদের এই ধরনের সমস্যা আছে তাদের ক্ষেত্রে কিছু চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে যে চিকিৎসাগুলো অত্যন্ত জরুরী। আপনি যদি সঠিক সময়ে এর চিকিৎসা না করাতে পারেন তাহলে সেটা আপনার জন্য সাংঘাতিক সমস্যার কারণ হতে পারে। এই চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকের অবশ্যই রোগীদের কিছু পরামর্শ দেবেন যে পরামর্শ গুলো তাকে মানতে হবে সে যদি সেই পরামর্শ গুলো সঠিকভাবে না মানতে পারে তাহলে তার জন্য সেটা অনেক বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে।
অবশ্যই নিজের খাদ্যাভ্যাসের প্রচুর পরিবর্তন করতে হবে এর পাশাপাশি যে কাজগুলো করতে পারেন সেগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে দিনে অন্তত ৮ ঘন্টা ঘুমাতে হবে। আমাদের শরীরে যে কোন ধরনের অসুখ-বিসুখের জন্য সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ঘুম এবং আপনি যদি প্রতিদিন ৮ ঘন্টা ঘুম না পারতে পারেন তাহলে সেটা সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না।
এরপরে যে কাজটা আপনাকে করতে হবে সেটা হচ্ছে নিয়মিত তিন লিটার করে পানি খেতে হবে এবং এটা অত্যন্ত জরুরি ব্যাপার। এরপরে চেষ্টা করতে হবে যেন দীর্ঘক্ষন খালি পেটে না থাকা হয় সে বিষয়ে। অবশ্য এখানে ডায়েট চার্ট তৈরি করতে হবে যে ডায়েট চাটে আপনাকে ফলো করতে হবে যাতে দীর্ঘক্ষন ধরে খালি পেটে না থাকতে হয় আপনাকে এবং আপনি যেন কম খাওয়ার এই সুস্থ থাকেন।
ফ্যাটি লিভারের যে খাবারগুলো খাওয়া যাবেনা
সাধারণত যারা ফ্যাটি লিভার রোগে আক্রান্ত হয়েছেন তাদের আগে থেকেই যে খাবারগুলো খাওয়া উচিত ছিল না সেগুলো ফ্যাটি লিভার আক্রান্ত হওয়ার পরেও একই থাকে। অতিরিক্ত ভাজাপোড়া খাওয়া কখনোই শরীরের জন্য ভালো না এর সঙ্গে অতিরিক্ত ঘি বা মাখন এছাড়াও চিজ বা রেডি করা মাংস এগুলো শরীরের জন্য অত্যন্ত খারাপ জিনিস যেগুলো ফ্যাটি লিভার আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে একেবারে বন্ধ। এছাড়াও চিনি বা ময়দা আছে এমন খাবার বর্জন করা উচিত এছাড়াও যারা অ্যালকোহল সেবন করেন তাদের জন্য এই অবস্থাতে অ্যালকোহল সেবন করা পুরোপুরি বন্ধ।