ফেক্সো এর কাজ কি Fexo 120mg Tablet

ফেক্সো আপনাদের কাছে পরিচিত না হলেও আমার কাছে ফেক্সো একটি পরিচিত ঔষধ। আমিও মানুষ তাই আমারও অসুস্থতা আছে এবং আমার এমন একটি অসুস্থতা আছে যার কারণে নিয়মিত আমাকে বেশ কিছুদিন ফেক্সো খেতে হয়েছিল। সম্পূর্ণ পারসোনাল অভিজ্ঞতা থেকে বলছি এখন পর্যন্ত আপনি আমার ঔষধের ড্রয়ারে ২-৩ পাতা ফেক্সো ১২০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট পাবেন। মনে থাকে না ওষুধের দোকানে গিয়ে এই ওষুধটি পরিবর্তন করিয়ে নিতে তাই হয়তো এটা পড়ে আছে।

যাইহোক এই ধরনের আবোল-তাবোল কথা না বলে চলুন মূল আলোচনার দিকে যাওয়া যাক এবং জানার চেষ্টা করি ফেক্সো ১২০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট এর মূল কার্যকারিতা। ফেক্সোফেনাডিন গ্রুপের ঔষধটি অত্যন্ত কার্যকরী বিভিন্ন উপায়ে। আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনারা ফেক্সো ১২০ সম্পর্কে যথেষ্ট ধারণা পাবেন। আমরা কয়েকটি ফেক্সো ১২০ এর সকল কার্যকারিতা আপনাদের সামনে তুলে ধরছি।

ফেক্সো এর সঠিক কার্যকারিতা কি

ফেক্সো ট্যাবলেট টি মূলত ফেক্সোফেনাডিন হাইড্রোক্লোরাইড এর ব্যবহারে তৈরি করা হয়েছে। আপনি বিভিন্ন মাত্রায় এই ওষুধটি ব্যবহার করতে পারেন। বলতো এই ওষুধের বর্তমান বাজার মূল্য প্রতিপিস ৮ টাকা এবং স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেডের একটি পণ্য হচ্ছে এটা। তবে অনেকের মনে প্রশ্ন যে এই অ্যান্টিহিস্টামিন জাতীয় ঔষধটি কেন ব্যবহার করা হয় এবং কোন রোগের বিরুদ্ধে এটা কার্যকরী হয়। এখানে সবার আগে আমি আমার নিজের অভিজ্ঞতা বলছি।

দীর্ঘদিন যাবত আমার অতিরিক্ত হাঁচি হতো যার কারণে আমাদের চোখ লাল হয়ে যেত এবং অনেক সময় দেখা যায় যে মাথা ব্যথার সৃষ্টি হতো। একই সঙ্গে আমার মাথার ত্বকে গুড়ি গুড়ি কি জানি বের হতো যার কারণে মাথার চুল পড়া শুরু হয়ে গেছিল সেই চুলকানির কারণে। ডাক্তারের কাছে আমি গেলে অন্যান্য ঔষধের সঙ্গে ডাক্তার সাহেব ফেক্সোফেনাডিন 120 মিলিগ্রাম ট্যাবলেট আমাকে সাজেস্ট করেন।

তারপর থেকে নিয়মিত প্রতিদিন একটি করে ট্যাবলেট আমি খেয়েছি পুরো ৩ মাস এবং তারপরে আমি হাসি থেকে এবং শরীরের চুলকানি থেকে সম্পূর্ণভাবে মুক্ত হতে পেরেছি। আরেকটি বড় ব্যাপার হলো এর পূর্বে আমি এন্টিহিস্টামিন জাতীয় ঔষধ গুলো খেয়েছি বা অ্যালার্জির ওষুধ গুলো খেয়েছে তাতে একটি জিনিস লক্ষণীয় যে সেই ধরনের ওষুধ গুলো খেলে আমার প্রচুর ঘুম পেত। কিন্তু যখন থেকে আমি ফেক্সোফেনাডিন ১২০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট খাওয়া শুরু করেছি তখন থেকে এই ওষুধ খাওয়ার ফলে অতিরিক্ত কোন ধরনের ঘুম অথবা ঝিমঝিম ভাব আমি অনুভব করিনি।

তাই বলা যায় যে শরীরের বিভিন্ন ধরনের এলার্জিক রিএকশন এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে ফেক্সোফেনাডিন জাতীয় হিস্টামিন। এই এন্টিহিস্টামিন আপনি ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া খাবেন না এবং অতিরিক্ত এন্টিহিস্টামিন খাওয়ার ফলে আপনার শরীরে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে তাই সবসময় সতর্কতার সঙ্গে ওষুধটি খাবার চেষ্টা করুন।

ফেক্সো ১২০ ট্যাবলেট এর খাওয়ার নিয়ম

প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে এটার খাওয়ার নিয়ম রয়েছে আলাদা ঠিক যেমন ২ থেকে ১১ বছর বয়সের শিশুদের জন্য ৩০ মিলিগ্রাম অথবা 5 মিলিমিটার জার্মানে দাঁড়ায় এক চা চামচ দৈনিক ২বার খাওয়ানো যেতে পারে। দ্বিতীয় কার্যকারিতা কমে গেলে তাদের ক্ষেত্রে ১ চামচ দৈনিক একবার খাওয়াতে হবে। যাদের বয়স ৬ থেকে ১১ বছরের মধ্যে তাদের দৈনিক ২বার ৬০মিলিগ্রাম বিভক্ত ভাবে খাওয়াতে হবে এবং যাদের বৃত্তীয় কার্যকারিতা কমে গেছে তাদের জন্য দৈনিক 30 মিলিগ্রাম খাওয়াতে হবে।

এছাড়াও যাদের বয়স ১২ বছরের বেশি তাদের জন্য ৬০ মিলিগ্রাম দৈনিক ২বার অথবা ১২০ মিলিগ্রাম দৈনিক একবার এছাড়াও বৃত্তীয় কার্যকারিতা কমে গেলে ৬০ মিলিগ্রাম দৈনিক একবার। তবে প্রত্যেকটি ঔষধ পরিবর্তন করার সুযোগ আছে তাই এখানে একজন ডাক্তারের কাছে গিয়ে আপনি আপনার ওষুধটি পরিবর্তন করিয়ে নিতে পারেন। আশা করছি আপনি আমাদের কথাটি বুঝতে পেরেছেন।