আজকে আমরা আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব ফলিক অ্যাসিড এর মাধ্যমে যে ট্যাবলেটগুলো তৈরি করা হয় সেই ট্যাবলেট এর সঠিক কার্যকারিতা। সাধারণত ফলিক এসিড আলাদাভাবে বিভিন্ন ট্যাবলেট তৈরি হয় এবং এর পাশাপাশি সমন্বয়ে কিছু ট্যাবলেট তৈরি করা হয়। এই ট্যাবলেটগুলোর কার্যকারিতা সম্পর্কে বলতে গেলে ফলিক এসিড এর সঙ্গে বিশেষ কিছু ওষুধ মিলে এক ধরনের প্রস্তুতি তৈরি করা হয়। ফলিক এসিড এবং জিংক এর সমন্বয়ে যদি কোন ঔষধ তৈরি করা হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে বলা যেতে পারে জিংক হচ্ছে মানবদেহের পুষ্টির জন্য একটি অত্যাবশ্যকীয় ক্ষুদ্র মৌলিক উপাদান।
এটা মানব শরীরে বিভিন্ন ধরনের এনজাম জড়িত কাজে বা এনজাইম ব্যবস্থাপনায় ব্যবহার করা হয়। আবার যদি জিংক এর উপকারিতা সম্পর্কে আমরা একটু খেয়াল করি তাহলে দেখব এই জিংকের যদি ঘাটতি আমাদের শরীরে দেখা দেয় তাহলে বিভিন্ন জায়গাতে বিভিন্ন ধরনের ক্ষদের সৃষ্টি হতে পারে। এগুলো সাংঘাতিক কিছু রোগ যেগুলো আমরা সহজেই অবহেলা করে কিন্তু আস্তে আস্তে এগুলো বৃদ্ধি পেতে পারে তাই আমাদের সবসময় সতর্ক থাকতে হবে।
ফলিক অ্যাসিড ট্যাবলেট কি কাজ করে
ফলিক এসিডের কাজ বলে শেষ করা যাবে না আমাদের শরীরে ফলিক এসিডের অভাবের কারণে সাধারণত ফলিক এসিডের ট্যাবলেট খাওয়ার নির্দেশনা দেয় একজন ডাক্তার। একজন রোগী যখন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয় এবং তার শরীরে যদি ফলিক এসিড ঘাটতি জনিত উপসর্গ দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই অন্যান্য ঔষধের সঙ্গে ফলিক এসিড ট্যাবলেট খাওয়ার পরামর্শ দিবেন একজন চিকিৎসক। এখানে যে রোগ গুলো দেখে বোঝা যাবে তার ফলিক এসিডের ঘাটতি রয়েছে তার মধ্যে প্রধান হচ্ছে চামরাই ক্ষত হবে। এছাড়াও চুল পড়ে যাওয়া অত্যন্ত বড় এক ধরনের সমস্যা ফলিক এসিড ঘাটতির কারণে।
কিছু কিছু রোগীর ক্ষেত্রে দীর্ঘ ডায়রিয়া অর্থাৎ ডায়রিয়া ভাল হয় না এমন সমস্যার জন্য ফলিক এসি ট্যাবলেট ব্যবহার করা হয় আবার রোগ সংক্রমণ প্রবণতা বৃদ্ধি পেলে অর্থাৎ যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে আসতে থাকে তাদের জন্য ফলিক এসি ট্যাবলেট ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও মাতৃগর্ভে থাকা অবস্থাতে জ্ঞান বৃদ্ধির বিকাশ হওয়ার ইত্যাদির সম্ভাবনা থাকে রোগীদের এই ধরনের সম্ভাবনা থেকে বাঁচানোর জন্য মূলত ফলিক এসিড ট্যাবলেট ব্যবহার করা হয়। তাই অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এই ফলিক এসি ট্যাবলেট এর সঠিক ব্যবহার করতে হবে যেটা অল্প পরিসরে হলেও আমাদের জন্য সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান।
ফলিক অ্যাসিড ট্যাবলেট খাওয়ার সঠিক নিয়ম
ফলিক এসিড খাওয়ার সঠিক মাত্রা এবং সেবনবিধি সম্পর্কে বলতে হয় যে দৈনিক একটি ট্যাবলেট অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এই ফলিক এসিড খেতে হবে। সাধারণত কোন রোগীর শরীরে যদি ফলিক এসিডের ঘাটতি ধরা পড়ে তাহলে ফলিক এসিড ট্যাবলেট প্রতিদিন একটা করে খাওয়া যেতে পারে। তবে সবার প্রথমে যেটা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ কাজ সেটা হচ্ছে রোগ নির্ণয় করা অর্থাৎ রোগীর শরীরে ফলিক এসিডের ঘাটতি আছে কিনা সেটা নির্ণয় করা এবং সেটা নির্ণয় করবে ডাক্তার। এবং রোগীর শারীরিক কন্ডিশনের উপর নির্ভর করে এই প্রতিদিন একটি করে ট্যাবলেট কত দিন পর্যন্ত খেতে হবে তাও নির্ধারণ করে দেবে একজন ডাক্তার তাই আশা করছি চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া আপনারা কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন না।
ফলিক অ্যাসিড দাম ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
এর পাশাপাশি কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া অবশ্যই আমাদের মাথায় রাখতে হবে যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো খুব বেশি গুরুতর না হলে অনেক কষ্টদায়ক। পেটের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা অনেকের ক্ষেত্রে জ্বর আসতে পারে অনেকের শ্বাসকষ্ট হতে পারে। এ সমস্যা গুলো যদি বেশি হয় তাহলে অবশ্যই বাড়িতে বসে থাকলে চলবে না ঔষধ খাওয়া বন্ধ করে দিতে হবে এবং খুব দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। আপনি যত দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাবেন আপনার সুস্থ ও সম্ভাবনা ততই বেশি থাকবে।