লিভোস্টার সিরাপ এর কাজ কি

সবার প্রথমে চলুন এই সিরাপের সঠিক পরিচিতি সম্পর্কে জানা যাক। এই সিরাপ তৈরিতে মূলত ব্যবহার করা হয়েছে লিভোসালবিউটামল। স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেড শুধুমাত্র এর পাশাপাশি আপনি ১ মিলিগ্রাম এবং দুই মিলিগ্রামের ট্যাবলেট ফরম্যাট পেয়ে যাবেন। এটা ছিল এর পরিচিতি এখান থেকে আমরা একটু হলেও ধারণা পেলাম এই ঔষধ কেমন সেই সম্পর্কে। আমরা এখন আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানার চেষ্টা করব এই লিভোস্টার সম্পর্কে।

সবার প্রথমে আমরা এই আর্টিকেল থেকে জানার চেষ্টা করব এই সিরাপের সঠিক কার্যকারিতা বা কোন কোন রোগের বিরুদ্ধে এটা কাজ করতে পারে সে সম্পর্কে। সাধারণত কিছু কমন ডিজিজ রয়েছে যেগুলোর বিরুদ্ধে এই সিরাপ অত্যন্ত কার্যকরী। আমরা এর সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব এর পাশাপাশি দীর্ঘদিন এই সিরাপ খাওয়ার ফলে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে কিনা সে সম্পর্কেও জানার চেষ্টা করব।

লিভোস্টার সিরাপের কার্যকারী থাকি

সাধারণত আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি বয়স্ক ব্যক্তি ও ছয় বছর এর উর্ধ্বে শিশুদের জন্য ব্যংকোস্পাজম ও রিভারসিবল অবসট্রাক্টিভ এয়ার ওয়েস ডিজিজের চিকিৎসা ও প্রতিরোধের জন্য নির্দেশিত করা হয়। একজন রোগী যখন ডাক্তারের কাছে যাবেন অবশ্যই তাকে সবার প্রথমে নিজের সমস্যাগুলো ডাক্তারের সামনে উপস্থাপন করতে হবে। সে সমস্যাগুলো উপস্থাপন করার পরে ডাক্তারেরা যদি মনে করে তার শরীরে সাধারণত এই রোগের উপসর্গ বিরাজমান তারা চাইলে তাকে নির্দিষ্ট মাত্রায় এই লিভোস্টার খাওয়ার পরামর্শ দিতে পারেন। অত্যন্ত জরুরীদের সঠিক মাথায় ঔষধ খেতে হবে।

লিভোস্টার সিরাপ খাওয়ার সঠিক নিয়ম

ট্যাবলেট খাওয়ার মাত্রা যদি বলা হয় তাহলে 12 বছর ও তার থেকে বেশি বয়সের রোগীদের ক্ষেত্রে ১ থেকে ২ মিলিগ্রাম এর ট্যাবলেট দৈনিক তিনবার খেতে হবে। এছাড়াও যারা শিশু আছে অর্থাৎ যাদের বয়স ৬ থেকে ১১ বছরের মধ্যে তাদের ক্ষেত্রে এক মিলিগ্রামের ট্যাবলেট দৈনিক তিনবার খেতে হবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী।

সিরাপ অত্যন্ত কার্যকরী একটি অংশ এবং যাদের বয়স রোগী আছে তাদের ৫ থেকে ১০ মিলি লিটার দৈনিক তিনবার খাওয়াতে হবে। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই সিরাপ অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আপনাকে সেবন করতে হবে। শিশুদের ক্ষেত্রে যাদের বয়স ৬ থেকে ১১ বছরের মধ্যে রয়েছে তাদের পাঁচ মিলি দৈনিক তিনবার খাওয়াতে হবে। শিশুদের ক্ষেত্রে অবশ্যই একটি বিষয় আপনাদের লক্ষ্য রাখতে হবে সেটা হচ্ছে সঠিক পরিমাণ। অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এই পরিমাণ আপনাকে নির্ধারণ করতে হবে।

লিভোস্টার সিরাপের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া এবং দাম

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে যদি বলতে হয় তাহলে অবশ্যই এর বেশ কয়েকটি প্রশ্ন প্রতিক্রিয়া রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে অনিয়মিত হৃদ স্পন্দন। এছাড়াও অস্তিত্বের সাথে সূক্ষ্ম কাঁপুনি এবং মাংসপেশির সংকোচন হতে পারে। আমরা আরো জানতে পেরেছি যে এর কারণে পাকস্থলীর বিভিন্ন ধরনের সমস্যা এবং বিভিন্ন ধরনের ব্যথা অনুভূত হতে পারে।

গর্ভবতী অবস্থায় যদি কেউ এই ঔষধ খেতে চান তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে এই ওষুধ খেতে হবে। আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি মাতৃ যুদ্ধের নিশ্চয়তা হয় কিনা তা জানা যায়নি তাই এই ক্ষেত্রে এই বিষয়টি ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ব্যবহার করা উচিত নয়। যদি কেবলমাত্র দরখাস্ত ভুলের ঝুঁকির তুলনায় সম্ভাব্য সুবিধার পরিমাণ বেশি হয় তবেই কেবলমাত্র এই ঔষধ ব্যবহার করা উচিত বলে নির্দেশনা দেওয়া আছে।

লিভোস্টার সিরাপ এর সতর্কতা

যারা গুরুতর এজমা রোগী তাদের ক্ষেত্রে অবশ্যই এই শিরাতে ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এখানে এমন কিছু উপাদান আছে যেগুলো স্টোরয়েড এবং মূত্রবর্ধক ড্রাগ গ্রহনের দ্বারা এটি বৃদ্ধি পেতে পারে। এ সমস্ত ক্ষেত্রে সিরামের পটাশিয়ামের মাত্রা পর্যবেক্ষণ করা উচিত। সব মিলিয়ে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিলে সবথেকে ভালো হয় বলে আমরা মনে করি।