সাধারণত আমরা অনেকে জানি আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ রোধে ব্যবহার করা হয় এন্টিবায়োটি। আজকে আমরা তেমন একটি এন্টিবায়োটিক ক্যাপসুল সম্পর্কে জানব যেটা এস কে এফ ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেড বাজারজাতকরণ করছে। সাধারণত আমরা সকলে অবগত আছি যে বিভিন্ন ধরনের ঔষধ উপাদান আমাদের শরীরে বিভিন্নভাবে কাজ করে তাই এন্টিবায়োটিক এর ক্ষেত্রেও বিভিন্নভাবে বিভিন্ন অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করতে পারে। আজকে লিন্ডাম্যাক্স ১৫০ মিলিগ্রাম ক্যাপসুল সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
সবার প্রথমে আমরা আপনাদের এই ক্যাপসুল এর সঠিক কার্যকারিতা সম্পর্কে ধারনা দেব এরপরে আমরা আপনাদের জানাবো কি পরিমানে এই ঔষধ খাওয়া আপনার জন্য ভালো হবে। আপনি যদি অতিমাত্রায় ওষুধ খেয়ে ফেলেন তাহলে কিভাবে বুঝবেন এবং তার জন্য কি করা উচিত এই ধরনের বিস্তারিত তথ্য থাকছে আমাদের এই আর্টিকেলে তাই আশা করছি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আপনারা আমাদের সঙ্গে থাকবেন।
লিন্ডাম্যাক্স ১৫০ মিলিগ্রাম ক্যাপসুল এর কাজ কি
সবার প্রথমে বলতে হয় গ্রাম পজিটিভ ব্যাকটেরিয়া দ্বারা যদি আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণের সৃষ্টি হয় সেই সকল সংক্রমণের জন্য প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারবে এই ক্যাপসুল। আরেকটু সহজ ভাষায় আপনাদের বোঝাচ্ছি যেমন মনে করুন উচ্চ শ্বাসনালী সংক্রমণ নিম্ন শাসনালী বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ। আপনারা নাক থেকে ফুসফুস পর্যন্ত যে ধরনের সমস্যাগুলো হয়ে থাকে সেই প্রত্যেকটি সমস্যার সংক্রমণ রোধে লিন্ডাম্যাক্স ১৫০ মিলিগ্রাম অত্যন্ত কার্যকরী একটি ক্যাপসুল। এখানেই শেষ নয়, আমরা আরো জানতে পেরেছি যে ত্বক ও কোমল কলার সংক্রমণে অর্থাৎ আমাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে যদি কোন ধরনের ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ দেখা দেয় তার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ডাক্তারেরা এই ক্যাপসুল নির্দেশ করতে পারে।
এর পাশাপাশি অস্থি ও অস্থি সন্ধির বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ থেকে শুরু করে পেলভিক সংক্রমণ এবং উদরের অভ্যন্তরীণ সংক্রমনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে এই লিন্ডাম্যাক্স ১৫০ মিলিগ্রাম ক্যাপসুল। আমরা আরো জানতে পেরেছি দাঁতের সংক্রমণ প্রতিরোধে এই ক্যাপসুল অত্যন্ত কার্যকরী । সহজ ভাষায় আমরা চেষ্টা করলাম আপনাদের ক্যাপসুলের কার্যকারিতা সম্পর্কে জানাতে আশা করছি আপনারা এখান থেকে এই বিশেষ ক্যাপসুল এর গুরুত্ব সম্পর্কে অবগত হতে পারলেন। আপনার যদি এই ধরনের শারীরিক সমস্যা থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যাবেন এবং ডাক্তার যদি আপনাকে এই ঔষধ খাওয়ার নির্দেশ দেয় তাহলে কোন ভাবেই এই ঔষধ মিস করবেন না একেবারে নিয়মমাফিক ঔষধ খাবেন সুস্থ হওয়ার জন্য।
লিন্ডাম্যাক্স ১৫০ মিলিগ্রাম খাওয়ার নিয়ম
সাধারণত যাদের তীব্র সংক্রমণ রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে ১৫০ মিলিগ্রাম থেকে ৩০০ মিলিগ্রাম 6 ঘন্টা পর পর ডাক্তাররা খাওয়ার পরামর্শ দিবেন। ঔষধে যে উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে সেই উপাদানের ব্যবহারের বিধি অনুযায়ী আমরা জানতে পারি অতি তীব্র সংক্রমণের ক্ষেত্রে এই ঔষধ ৩০০ মিলিগ্রাম থেকে ৪৫০ মিলিগ্রাম 6 ঘন্টা পর পর একজন রোগীকে খাওয়ানো যেতে পারে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী। অবশ্যই আপনি ক্যাপসুল পানির সঙ্গে খাবেন পানির সঙ্গে খেলে এই ক্যাপসুল সঠিক জায়গাতে গিয়ে কার্যকারিতা দেখাতে পারবে ।
শুধুমাত্র এখানেই শেষ নয় এর পাশাপাশি পাউডার সল্যুশন আছে যেগুলোর ব্যবহার আলাদাভাবে করতে হয় অনেকের ক্ষেত্রে বিভিন্ন রোগের উপর ভিত্তি করে ডাক্তারের আর বিভিন্ন মাত্রায় ঔষধ সেবনের কথা বলে। এক মাস থেকে ১৬ বছরের শিশুদের জন্য ২০ থেকে ৪০ মিলিগ্রাম প্রতি কেজিতে তিন থেকে চারটি সমবিভক্ত মাত্রায় খাওয়াতে হবে। তবে শিশুদের ক্ষেত্রে একটু কষ্ট আপনাকে করতে হবে এবং এর জন্য বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।
লিন্ডাম্যাক্স ১৫০ মিলিগ্রাম দাম ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
আমরা জানতে পারি যে অন্যান্য ওষুধের নাই ঠিক একই ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে তবে অনেকের ক্ষেত্রে অন্যনালির আলসার এর মতন খারাপ রোগ হওয়ার সম্ভাবনা আছে এর পাশাপাশি বমি বমি ভাব ডায়রিয়া হওয়া চর্ম রোগের মতন সমস্যা দেখা দিতে পারে যে কোন ধরনের রোগের ক্ষেত্রে। গর্ভ অবস্থায় কোনোভাবেই এই ঔষধ নির্দেশিত নয়। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী এস কে এফ ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেড এর লিন্ডাম্যাক্স ১৫০ মিলিগ্রাম ক্যাপসুল এর বর্তমান বাজার মূল্য ৮ টাকা।