ইউনিমেড ইউনি হেলথ ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেড এর নেক্সিটাল ট্যাবলেট অত্যন্ত কার্যকরী একটি ট্যাবলেট। আমার ভাগ্য অনেক ভালো যে আমি এই ঔষধ নিয়ে আজকে লিখতে বসেছি তার কারণ হচ্ছে এত গুরুত্বপূর্ণ ঔষধ সম্পর্কে লিখতে পারাটা অনেক গর্বের ব্যাপার। আমরা একটি ওষুধের হয়তো একটা দিক সম্পর্কে অবগত থাকি কিছু কিছু ক্ষেত্রে দুইটা দিক সম্পর্কে অবগত থাকি। কিন্তু আমরা যখন একটা ওষুধের ১০ রকম কাজের কথা জানি তখন অবাক হয় একটি সামান্য ঔষধ এত ধরনের উপকার করে আমাদের শরীরে সেটা অভাবনীয়।
যারা মানসিক বিভিন্ন ধরনের হতাশা বা মানসিক বিভিন্ন ধরনের উদ্যেগ জনিত সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য এই ওষুধটি অত্যন্ত কার্যকরী। তাই যাদের কাছে এই ধরনের রোগী আছে তারা আমাদের আর্টিকেল ছেড়ে যাবেন না শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়বেন অবশ্যই আপনার উপকার হওয়ার মতন কোনো না কোনো তথ্য এখানে রয়েছে। আরেকটি সঠিক বিষয় আমাদের সম্পর্কে জেনে রাখুন আমরা কোনভাবেই ভুল তথ্য এখানে উপস্থাপন করি না আমরা শতভাগ সঠিক তথ্য উপস্থাপন করব এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আপনাদের সবসময় চিকিৎসা গ্রহণ করার কথা বলব।
নেক্সিটাল কি কাজ করে
এই ট্যাবলেট এমন একটি উপাদানের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে যেখানে বিভিন্ন ধরনের হতাশা জনক চিকিৎসায় এটা ব্যবহার করা হয়। আমরা যদি সহজ ভাষায় আপনাদের সামনে এর চিকিৎসার সম্পর্কে সবকিছু উপস্থাপন করি তাহলে বলতে হয় প্রধান হতাশা জনক পর্বে চিকিৎসা এটা ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও এমন কিছু রোগী আছে যাদের এগ্রোফোবিয়ার সাথে বা ছাড়াই প্যানিক ডিজঅর্ডার রয়েছে এরকম রোগীদের ক্ষেত্রেও নেক্সিটাল ঔষধ ব্যবহার করা হয়। আশা করছি এই অংশের মাধ্যমে আপনারা কিছুটা হলে ওষুধের কার্যকারিতা সম্পর্কে জানতে পারলেন একেবারে নিজের মাতৃভাষায় যেটা অন্য কোথাও আপনি হয়তো পেতেন না।
এছাড়াও সামাজিক উদ্যেগ ব্যাধির চিকিৎসা ও সাধারণ উদ্যেগ ব্যাধির চিকিৎসা এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসার জন্য এই ঔষধ গুলো অত্যন্ত কার্যকরী। আপনার কাছে যদি এমন কোন রোগী থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি এই ঔষধ তাকে খাওয়াতে পারেন তবে যেহেতু মানসিক সমস্যার রোগীর ক্ষেত্রে একটু সাবধানতা অবলম্বন করতে হয় তাই অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এর সঠিক মাত্রা আপনাকে নির্ধারণ করতে হবে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় আরেকটি রোগ আছে যাকে বলা হয় অফসেসিভ কম্পালসিভ ব্যাধি। এই গুরুত্বপূর্ণ সাংঘাতিক রোগের চিকিৎসাতেও নেক্সিটাল ঔষধ ব্যবহার করা হয়।
নেক্সিটাল খাওয়ার সঠিক নিয়ম ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
আপনি একটি জায়গাতে চাকরি করছেন সেই চাকরির সঠিক নিয়ম মেনে আপনি যদি চাকরি না করেন তাহলে কোন ভাবে সে চাকরি আপনাকে করতে দেবে না। ঠিক তেমন আপনি যদি সঠিক নিয়ম না মেনে ওষুধ খান তাহলে সেই ঔষধ আপনাকে কোনভাবে রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে দেবে না। আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি সঠিক মাত্রা রয়েছে এই ওষুধের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ দিনে ২০ মিলিগ্রাম। অর্থাৎ আপনি যেইভাবে এর মাত্রা সাজান না কেন দিনে আপনি ২০ মিলিগ্রামের বেশি ঔষধ কোনোভাবেই খেতে পারেন না বা কাউকে খাওয়ার পরামর্শ দিতে পারেন না।
আলাদাভাবে বোঝাতে গেলে প্রধান হতাশা জনক চিকিৎসার ক্ষেত্রে স্বাভাবিক মাত্রা হতে পারে ১০ মিলিগ্রাম এবং পরবর্তীতে এটা বৃদ্ধি করে ২০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত করা যেতে পারে। এখানেই শেষ নয় কিছুকিছু রোগের ক্ষেত্রে ৫ মিলিগ্রাম থেকে শুরু করা হয় এবং সেটা সর্বোচ্চ দিনে ২০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত করা যেতে পারে।
নেক্সিটাল দাম ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
প্রচুর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে তবে সাধারণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার গুলোর মধ্যে পেটের সমস্যা এবং এলার্জির সমস্যা রয়েছে। আপনি যদি মানসিক রোগীকে সুস্থ করতে চান এবং এই ওষুধের সঠিক ব্যবহার না করেন তাহলে সেই রোগী উল্টো এমন কিছু মানসিক রোগে আক্রান্ত হবে যে রোগ থেকে তাকে কখনোই আর মুক্ত করা যাবে না তাই সাবধান হন।