আজকে এমন একটি ট্যাবলেট নিয়ে আপনাদের সঙ্গে কথা বলব যেটা অনেকের কাছে অনেক অপরিচিত একটি ঔষধ। এস কে ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেডের Reelife ট্যাবলেট অনেকের কাছেই অপরিচিত। এই ট্যাবলেট তৈরিতে মূলত ২টি উপাদানের ব্যবহার করা হয়েছে। আপনারা যারা এই ট্যাবলেট সম্পর্কে কিছুই জানতেন না তারা আমাদের এখান থেকে একেবারে সহজ বাংলা ভাষায় অনেক কিছুই জানতে পারবেন । আশা করছি এই তথ্যগুলো আপনাদের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী তথ্য হবে।
এই ওষুধ সম্পর্কে আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি সাধারণত এটা মানসিক বিষন্নতা ও দুশ্চিন্তা রোধে কার্যকরী একটি ঔষধ। তাই যাদের বিভিন্ন ধরনের মানসিক বিষন্নতা এবং বিভিন্ন ধরনের দুশ্চিন্তা রয়েছে তারা কোনোভাবেই এই আর্টিকেল ছেড়ে যাবেন না। হতে পারে বিভিন্ন ধরনের জটিল সমস্যার কারণে দীর্ঘদিন ধরে আপনি ডাক্তারের কাছে রয়েছেন কিন্তু সঠিক সমাধান আপনাকে কেউ দিতে পারছে না। তবে আজকের এই আর্টিকেল থেকে অবশ্যই আপনি এমন কিছু সঠিক সমাধান পেতে পারেন যেটা আপনার জীবনকে পরিবর্তন করতে পারে।
Reelife কি কাজ করে
এই ওষুধ তৈরিতে যে মূল দুটি উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে তাদের ধর্ম অনুযায়ী যদি এর কাজের সক্ষমতার কথা বলা হয় তাহলে এই প্রিপারেশন মাঝারি থেকে তীব্র মানসিক বিষন্নতা প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। যে সকল রোগীর সাধারণত মাঝারি থেকে তীব্র মানসিক বিষন্নতা বা মানসিক উদ্বিগ্নতা এই ধরনের রোগে আক্রান্ত তাদের জন্য প্রথম চয়েজ হিসেবে Reelife ট্যাবলেট দেওয়া হয়ে থাকে। তবে এই ঔষধের সঠিক ব্যবহার করতে জানতে হবে এর জন্য একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে আপনাকে যেতে হবে।
অবশ্যই এই ঔষধ এর সঠিক চিকিৎসার কিছু নিয়ম রয়েছে যেমন চিকিৎসার প্রথম সপ্তাহ থেকে যে সকল লক্ষণসমূহ উন্নতি লক্ষ্য করা যায় সেগুলো হলো নিদ্রাহীনতা, এছাড়াও কিছু কিছু ক্ষেত্রে অপরাধবোধ বা মূল্যহীনতা অনুভব হতে পারে অনেকের ক্ষেত্রে উত্তেজনা ও মানসিক শারীরিক উদ্বিগ্নতার সৃষ্টি হতে পারে। তাই অবশ্যই সঠিক ডাক্তারের কাছে কি আপনি যখন এই চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে চাইবেন সেটাই হবে সঠিক।
এখানে ব্যবহৃত একটি উপাদান মস্তিষ্কের বিভিন্ন ধরনের সেরোটোনিন বাধা প্রদান করে। এর মাধ্যমে বিষন্নতা রোধে ভূমিকা পালন করে এই ঔষধ। তাই আপনি যদি বিভিন্ন দিন থেকে হয়ে যাওয়া বিষন্নতা বা দুশ্চিন্তা থেকে দূরে থাকতে চান তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত Reelife ঔষধ সেবন করুন।
Reelife খাওয়ার সঠিক মাত্রা ও নিয়ম
পর্যাপ্ত সেবন মাত্রা সম্পর্কে অবশ্যই এখানে কয়েকটি বিষয় বলার রয়েছে। এই ওষুধ খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এমন কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বিভিন্ন রোগের ক্ষেত্রে বিভিন্নভাবে দেখা দেয় সেগুলো অনেকেই ভয় পায়। তবে অবশ্যই এই বিষয়ে ভয় না পেয়ে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী প্রত্যেকটি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে প্রাথমিক পর্যায়ে তিন থেকে চারটি ট্যাবলেট বিভিন্ন রোগের ক্ষেত্রে বিভিন্নভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে প্রত্যেক রোগের ক্ষেত্রে তিন থেকে চারটি ট্যাবলেট ব্যবহার করা যাবে এমন নয় এবং প্রত্যেকটি রোগীর জন্যই এই ট্যাবলেট কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে এমন নয়।
ট্যাবলেট খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কি ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে সেই সময়ে এই বিষয়গুলো নিয়ে সরাসরি ডাক্তারের কাছে গিয়ে পরামর্শ করতে হবে। এখানে অবশ্যই কিছুদিন পর পরই ডাক্তারের কাছে যেতে হবে এবং সঠিক চিকিৎসা বা সঠিক মাত্রা নির্ধারণ বা পরিবর্তন করে নিয়ে আসতে হবে তার কারণ হচ্ছে এই ওষুধ সেবনের ফলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে যেটা অন্যান্য রোগের কারণ হতে পারে।
Reelife দাম ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
অতিরিক্ত এই ওষুধ সেবনের ফলে ক্ষুধা মন্দার সৃষ্টি হতে পারে অনেকের ক্ষেত্রে দুর্বলতা অথবা ক্লান্তি ভাব আসতে পারে। অস্থিরতা বা ঘুম কমে যাওয়ার প্রবণতা অনেক রোগীর ক্ষেত্রে দেখা যায়। দামের প্রসঙ্গে বলতে গেলে আজকে যে ট্যাবলেট নিয়ে আমরা কথা বলছি এস কে ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেডের Reelife ট্যাবলেটের বর্তমান দাম ৮ টাকা।