আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে আমরা যখন নিজের ও পরিবারের স্বার্থে দৌড়াদৌড়ি করি তখন অবশ্যই আমাদের শরীর অনেক বেশি ক্লান্ত হয়ে যায়। এমনও মানুষকে খুঁজে পাওয়া যাবে যারা এই ব্যস্ততার ভিড়ে নিজের শরীরের যত্ন নিতে অনেকটাই ভুলে যায়। আমরা সকলে যেহেতু একটু গভীরভাবে নিজের একটি দিনের কথা ভাবে তাহলে প্রতিদিন 24 ঘন্টার মধ্যে নিজেকে কয় মিনিট সময় দিয়েছি সেটা হয়তো কেউ বলতে পারব না। তার কারণ হচ্ছে আমরা নিজেকে এতটাই কম সময় দেই যে নিজের সঙ্গে কথা বলায় আর হয় না।
অনেক ব্যস্ততা এবং নানান চিন্তাভাবনার কারণে বিভিন্ন সময় আমাদের শরীর মানসিক দিক দিয়ে এবং শারীরিক দিক দিয়ে অসুস্থ হয়ে যায়। আমাদের শরীরে ইমিউনিটি সিস্টেম আছে এবং সেই ইমিউনিটি সিস্টেম যখন এই চাপ সহ্য করতে না পারে তখন সেটা বিভিন্ন অসুস্থতার মাধ্যমে আমাদের সামনে আসে। এই ধরনের সমস্যা থেকে বিভিন্ন ধরনের অস্বস্তি এবং বিভিন্ন ধরনের ক্লান্তি অনুভব হয় এবং সেই সমস্যাগুলো দূর করতে মূলত রিভোট্রিল ০.৫ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট ব্যবহার করা হয়। রিভোট্রিল ০.৫ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট এর সঠিক কার্যকারিতা সম্পর্কে আজকে জানবো।
রিভোট্রিল ০.৫ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট এর সঠিক কার্যকারিতা কি
রেডিয়েন্ট ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেড অত্যন্ত কার্যকরী একটি ফার্মাসিটি কাজ এবং তারা অল্প সময়ের মধ্যে ভালো সার্ভিস প্রদানের মাধ্যমে ফার্মাসিটিক্যাল শাখায় বিশ্বাসযোগ্য একটি প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠেছে। এই কম্পানি ক্লোনাজিপাম ০.৫ মিলিগ্রাম ব্যবহার করে তৈরি করেছে রিভোট্রিল ০.৫ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট। আজকে আমরা সেই ট্যাবলেটের খুঁটিনাটি সম্পর্কে আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব আশা করছি এই ট্যাবলেট সম্পর্কে আমরা যে তথ্যগুলো আপনাদের জানাবো সেই তথ্যগুলো আপনাদের নতুনভাবে এই ওষুধ সম্পর্কে জানাতে সাহায্য করবে।
সাধারণত বিভিন্ন ধরনের প্যানিক ডিসঅর্ডারের জন্য প্রধান ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয় রিভোট্রিল ০.৫ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট। একজন রোগী যখন এই ধরনের সমস্যা নিয়ে ডাক্তারের শরণাপন্ন হন এবং ডাক্তার যদি তার এই সমস্যার উপসর্গ শরীরে পায় তাহলে প্রাথমিক অবস্থাতে রিভোট্রিল ০.৫ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট তাকে সাজেস্ট করবে। এখানেই শেষ নয় পনের পুনর অথবা আকস্মিক ভীতি হলে অথবা হঠাৎ করে ভয় মনে জাগ্রত হলে এবং এই ধরনের লক্ষণ নিয়ে যদি কেউ ডাক্তারের কাছে যায় তাহলে অবশ্যই রোগীকে ডাক্তার রিভোট্রিল ০.৫ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট খেতে বলবে।
এছাড়াও এই ঔষধ এর ব্যবহার হতে পারে আরো বিভিন্ন ধরনের সমস্যার জন্য। মনে করুন বিভিন্ন ধরনের মাইগ্রেনের সমস্যা সমাধানের জন্য এই ঔষধ ব্যবহার করা যেতে পারে। আমাদের সকলের মাঝে একটি ভুল ধারণা আছে সেটা হচ্ছে ক্রোনাজিপাম ঔষধ সরাসরি ঘুমের বিরুদ্ধে কাজ করে এবং রোগীকে ঘুম আসতে সাহায্য করে। এটা সরাসরি ভাবে ঘুমের বিরুদ্ধে কাজ করতে সাহায্য করে না মূলত এটা এমন কিছু জিনিস শরীরে তৈরি করে যার মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন ধরনের চিন্তা ভাবনা ভুলে একেবারে রিলাক্স হতে পারেন এবং স্বাভাবিকভাবে রিল্যাক্স হলে আপনার ঘুম আসবে।
তবে দীর্ঘদিন ধরে এই ওষুধ ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবশ্যই একজন ভালো বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে আপনাকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। এই ওষুধের বিভিন্ন ধরনের পার্শ্ব প্রতিকটি আপনার শরীরে দেখা দিতে পারে তাই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া রোগীকে কোন ভাবেই রিভোট্রিল ০.৫ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট খাওয়ানো যাবে না দীর্ঘদিন।
রিভোট্রিল ০.৫ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট খাওয়ার সঠিক পরিমাপ
প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে শুরুর মাত্রা হতে পারে 0.5 মিলিগ্রাম করে ৩ বেলা। সেই হিসাব করলে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ১.৫ মিলিগ্রাম প্রাপ্তবয়স্ক রোগীদের শুরুর ডোজ হতে পারে বিভিন্ন সময় রোগের বিভিন্ন কন্ডিশন পরিবর্তন হতে পারে সেই অনুপাতে ডাক্তার এই পরিমাপ পরিবর্তন করতে পারে তবে অবশ্যই একজন রোগীকে সর্বোচ্চ 20 মিলিগ্রাম দেওয়া যেতে পারে একদিনে। এটা হচ্ছে সর্বোচ্চ মাত্রা তবে এটা পর্যন্ত যাওয়ার হয়তো কোনো প্রয়োজনীয়তা পড়ে না তার কারণ হচ্ছে এই ঔষধ অত্যন্ত কার্যকরী অল্পতেই রোগী সুস্থ হয়ে যায়।