প্রথমে রিভোট্রিল ট্যাবলেটের পরিচিতি পর্ব সেরে নেওয়া যাক। সাধারণত এটা আমাদের কাছে অত্যন্ত পরিচিত একটি ট্যাবলেট নতুনভাবে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কিছু নেই বলে আমি মনে করি তারপরেও কিছু জিনিস আছে যেগুলো সম্পর্কে অনেকের ধারণা থাকে না সেগুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টায় আছি। রেডিয়েন্ট ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেড অনেকের পরিচিত একটি ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেড এবং খুব অল্প সময়ে অত্যন্ত উন্নত মানের ঔষধের মাধ্যমে পুরো দেশে এই ফার্মাসিটিক্যাল ভালো একটি অবস্থান গড়ে তুলতে পেরেছে।
জানার চেষ্টা করব আশা করছি আপনারা এখান থেকে এর সঠিক কার্যকারিতা এবং দিক নির্দেশনা সম্পর্কে অবগত হতে পারবেন। সাধারণত আমাদের অনেকের মনেই এই ওষুধ নিয়ে একটি ভুল ধারণা আছে এবং সেই ভুল ধারণা হচ্ছে এটা একটি ঘুমের ঔষধ। মোটেও এটা শুধুমাত্র একটি ঘুমের ঔষধ নয় এর পাশাপাশি এর কিছু গুনাগুন রয়েছে যেটা আমাদের সুস্থ হতে সাহায্য করে। চলুন আজকে জানার চেষ্টা করি এই ওষুধ আসলে কিসের ওষুধ এবং কেন এটা আমরা সেবন করব।
রিভোট্রিল ট্যাবলেট কি কাজ করে
একজন রোগী যখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন তখন চিকিৎসক সবার প্রথমে সেই রোগীর শরীরে বিভিন্ন ধরনের উপসর্গ খোঁজার চেষ্টা করবেন। উপসর্গগুলো খুঁজে পেলে অবশ্যই চিকিৎসক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন কি ঔষধ দেওয়া যায়। সাধারণত এই ধরনের রোগীদের শরীরের প্রধান উপসর্গ হচ্ছে পেনিক ডিসঅর্ডার। এই ধরনের প্যানিক ডিসঅর্ডার রোগীদের যদি চিকিৎসকনাক্ত করতে পারে তাহলে অবশ্যই অন্যান্য ওষুধের সঙ্গে রিভোট্রিল ট্যাবলেট খাবার পরামর্শ দিবেন নির্দিষ্ট সময়ের জন্য। মূলত আপনারা যারা ভাবছিলেন এটা ঘুমের ঔষধ তারা জেনে নিন এটা ঘুমের ঔষধ নয় মূলত এটা বিভিন্ন ধরনের মানসিক দুশ্চিন্তা মানসিক চিন্তাভাবনা এই ধরনের রোগের বিরুদ্ধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
অনেক সময় দেখা যায় যে কিছু কিছু রোগের ক্ষেত্রে হঠাৎ ভয় পাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। হঠাৎ ভয় পাওয়া বলতে যে কোন জিনিস এই হঠাৎ করে কেন জানিনা তার মনের মধ্যে ভয় ঢুকে যায় এবং একটুতেই সে অনেক ভয় পেয়ে ওঠে। এই ধরনের ভিত্তি রোগের উপসর্গ যদি কোন রোগের শরীরে দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকেরা তাকে ভালো কিছু পরামর্শ দেওয়ার চেষ্টা করবেন এবং পাশাপাশি অন্যান্য ওষুধের সঙ্গে রিভোট্রিল ট্যাবলেট খাওয়ার পরামর্শ দেবেন। আশা করছি এই ওষুধের সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে আপনাদের ভালো একটি ধারণা হলো এবং যে ভুল ধারণা গুলো ছিল সেগুলো মন থেকে চলে গেল।
রিভোট্রিল খাওয়ার সঠিক নিয়ম
ট্যাবলেট খাওয়ার সঠিক নিয়ম বলতে বোঝানো হয়েছে এটা মুখে সেবনযোগ্য একটি ঔষধ এবং এর পাশাপাশি সঠিক মাত্রায় এই ওষুধ খেতে হবে। প্রাপ্তবয়স্ক রোগীদের ক্ষেত্রে যদি এই ঔষধ ব্যবহার করা হয় তাহলে প্রারম্ভিক মাত্রা হতে পারে 0.5 মিলিগ্রাম। এইমাত্র আসতে আসতে দিনে ১.৫ মিলিগ্রাম হতে পারে এবং সেটা বৃদ্ধি করে প্রতিদিন তিনবার 1.5 মিলিগ্রাম করে ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দিতে পারেন একজন চিকিৎসক। তবে দিনে সর্বোচ্চ 20 মিলিগ্রাম পর্যন্ত রিভোট্রিল ট্যাবলেট খাবার অনুমতি রয়েছে এর অতিরিক্ত ওষুধ খাওয়া যাবে না সেটা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। এছাড়াও প্যানিক ডিজার্টার এর ক্ষেত্রে প্রারম্ভিক বাচ্চা হতে পারে 0.5 মিলিগ্রাম এবং তিন দিন অন্তর অন্তর এর মাত্রা বৃদ্ধি করা যেতে পারে।
রিভোট্রিল ট্যাবলেট এর দাম ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
এই ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া গুলোর মধ্যে রয়েছে অস্বাভাবিক চোখ ঘোরা অনেকের ক্ষেত্রে অস্বাভাবিক বাঘ ভঙ্গি বা খিচুনি সৃষ্টি হতে পারে। বিষন্নতা বা স্মৃতি লোভ পাওয়ার মতন সমস্যার তৈরি হতে পারে। অনেকের ক্ষেত্রে যৌন আকাঙ্ক্ষা বৃদ্ধি এবং বুক ধরফর করার মতন সমস্যা হতে পারে। রেডিয়েন্ট ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেড এর রিভোট্রিল ০.৫ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট এর দাম বর্তমানে 9 টাকা।