খাবার আমাদের খুব ভালো লাগে যখন ক্ষুদা লাগে তখন আমরা খাবার খায় আবার এতটাই ভালো লাগে যে ভালো খাবার গুলো ক্ষুধা না লাগলেও আমরা খাওয়ার চেষ্টা করি। এই খাবারের মধ্যেই আমরা বেঁচে থাকি এই খাবারের জন্যই আমরা যুদ্ধ করি। কিন্তু আপাত দৃষ্টিতে আমরা যদি এই খাবারগুলোর সঠিক উপকারিতা পেতে চাই তাহলে আমাদের সঠিক খাবার খেতে হবে যা আমাদের শরীরকে অটোমেটিক্যালি সুস্থ রাখবে। আপনার শরীরে যদি হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি থাকে তাহলে আপনি কোন খাবারগুলো বেশি বেশি খায় খেলে সেটা পূরণ হবে সে সম্পর্কে জানবো আজকে।
হিমোগ্লোবিন আমাদের শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান এটা রক্তে থাকে এবং রক্তে থাকার ফলে সেটা আমাদের পুরো শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ করতে সবথেকে বড় ভূমিকা পালন করে। আমরা যে অক্সিজেনগুলো গ্রহণ করি সেটা ফুসফুস থেকে আমাদের শরীরের প্রত্যেকটি কোষে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব হচ্ছে এই হিমোগ্লোবিনের। এবং কোষে যে কার্বন ডাই অক্সাইড উৎপন্ন হয় সে কার্বন-ডাই-অক্সাইড কোষ থেকে ফুসফুসে এনে শরীর থেকে বাইরে বের করে দেওয়ার দায়িত্ব হিমোগ্লোবিনের। তাহলে ভাবুন এই গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যদি আমাদের শরীরে কমে যায় তাহলে আমরা কতটা অসুস্থ হতে পারি চলুন কোন খাবারগুলো খেলে এগুলো থেকে আমরা সুস্থ হতে পারব সেগুলো সম্পর্কে জানি।
সাধারণত যে খাবারগুলো আমাদের শরীরে হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি পূরণ করতে পারে সে খাবারগুলো সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের খাবার গুলো চিনতে হবে যেমন মনে করুন লৌহ মিশ্রিত খাবার থেকে শুরু করে ভিটামিন সি যুক্ত খাবার এবং যে খাবারগুলোতে ফলিক এসিডের পরিমাণ বেশি রয়েছে সে খাবারগুলো আমাদের বেশি করে খেতে হবে। দাড়ির অত্যন্ত সুস্বাদু একটি ফল সেই ডালিমে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং রয়েছে শর্করা ও ফাইবার। এর পাশাপাশি আপেল নিয়মিত খেলে এটা আমাদের শরীরের রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করবে। বিট হিমোগ্লোবিন বাড়াতে অনেক বেশি সাহায্য করে এর রস এ প্রচুর পরিমাণে আয়রন এবং ফলিক এসিড ও ফাইবার ও পটাশিয়াম রয়েছে যা আমাদের অন্যান্য কাজের সাহায্য করবে।
এছাড়া ফলিক এসিড সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে রয়েছে সবুজ পাতাযুক্ত সবজি এবং কলিজা এছাড়াও ভাত বা সিমের বিচি বা বাদাম এগুলো খাওয়া অত্যন্ত উপকারী এই সময়ে। কলাতে প্রচুর পরিমাণে ফলিক এসিডে রয়েছে এবং সবুজ ফুলকপিতেও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফলিক অ্যাসিড। যে খাবারগুলোতে ভিটামিন সি এর পরিমাণ বেশি যেমন লেবু বা স্ট্রবেরি অথবা কমলা এই ধরনের খাবার প্রচুর পরিমাণে খাওয়া যেতে পারে এ ছাড়াও ব্রকলি থেকে শুরু করে আঙ্গুল টমেটো এ ধরনের ভিটামিন সি যুক্ত খাবার আপনার শরীরে রক্ত বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে।এর পাশাপাশি লৌহ যুক্ত খাবার যেমন মনে করুন ডিম থেকে শুরু করে আপেল অথবা বেদনা এছাড়াও তরমুজ বা কুমড়ার বিচি খেজুর অথবা জলপাই বা কিসমিস এই ধরনের খাবার আপনি খেতে পারেন।
হিমোগ্লোবিন বাড়ে কোন মাছে
যদি মাছের কথা উল্লেখ করতে হয় তাহলে সকল ধরনের মাঝে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি পায়। সাধারণত এই মাছগুলোর মধ্যে শিং জাতীয় মাছের প্রচুর পরিমাণ ে আয়রন পাওয়া যায় তার কারণ হচ্ছে সেগুলো মিঠা পানিতে বসবাস করে এবং সকল ধরনের খাবার খেয়ে বাঁচতে পারে। এছাড়া সামগ্রিক মাঝে প্রচুর পরিমাণে অস্বিকার উপাদান আছে এবং প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি আছে যেটা আপনার শরীরের হিমোগ্লোবি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
হিমোগ্লোবিন কমে গেলে করণীয়
যদি কেউ বুঝতে পারে তার শরীরে হিমোগ্লোবিন কমে গেছে তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে এবং যদি এটা স্বাভাবিক পর্যায়ে হয় তাহলে খাবারের পরিবর্তনের মাধ্যমে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই সেটাকে নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। যদি এটা খাবারের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে না আসে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেয়ে দেখা যেতে পারে।