চা আমাদের অনেক প্রিয় একটি খাবার এবং যারা চা খেতে পছন্দ করি তাদের কাছে মনে হয় যেন অন্য কিছু না খেলেও হবে শুধুমাত্র চা দিলে চলবে। আমাদের এই উপমহাদেশে চা খাওয়ার প্রচলন শুরু হয় ইংরেজদের আমল থেকে এবং সেই ইংরেজ রায় আমাদের এই চা খাওয়া শিখিয়ে গেছেন। যারা চা খেতে পছন্দ করেন তাদের বেশিরভাগই চা খাওয়ার ভালো-মন্দ কিছু বোঝেন না অর্থাৎ এটা খেয়ে কোন উপকার বা অপকার এই দিকে তাকান না। তারা শুধু চা খেতে ভালোবাসেন তাই চা খান।
কিন্তু যারা চা খেতে পছন্দ করেন কিন্তু খুব একটা বেশি না তাদের মধ্যেই সব সময় ঘুরপাক খায় চা খেলে উপকার কি বা অপকার কি। তবে একটা বিষয় সব কিছুর ভালো খারাপ দিক আছে তাই আপনি যদি জানতে চান চায়ের ভালো খারাপ দিকগুলো কি কি তাহলে আজকে আমাদের এই আর্টিকেল থেকে সে বিষয়ে আপনারা খুব সহজেই অবগত হতে পারবেন। চা খাওয়ার অবশ্যই কিছু উপকারিতা আছে এবং কিছু অপকারিতা আছে তাই এই বিষয়ে যারা জানতে চাইছেন তারা অবশ্যই আমাদের এখান থেকে সেগুলো স্পষ্ট জানতে পারবেন।
চা খাওয়ার উপকারিতা
চা খাওয়ার প্রচুর উপকারিতা রয়েছে তবে এই উপকারিতা তখনই কার্যকর ভাবে কাজ করবে যখন আপনি নিয়মিতভাবে নিয়ম মেনে চা খাবেন। এটার জন্য অবশ্য অতিরিক্ত চা খাওয়া যাবে না আপনাকে প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় এবং নির্দিষ্ট পরিমাণে চা খেতে হবে যেটা আপনাকে শারীরিকভাবে উপকৃত করতে পারে। অতিরিক্ত চা খেলে অবশ্যই সেটা আপনার শরীরের জন্য ক্ষতি তাই চলুন আজকে জানার চেষ্টা করি কোন নিয়মে চা খেলে এবং কি কি উপকার হতে পারে এ বিষয়ে।
চা খাওয়ার যে সকল উপকারিতা এখানে উল্লেখ করা হয়েছে তার মধ্যে একটি হচ্ছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি। সত্যিই আপনি যদি নিয়ম মেনে এবং সময় মত চা খেতে পারেন তাহলে সেটা আপনাকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে।হার্ট ভালো রাখতে চা অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। সাধারণত চিনি বাদে হালকা লিকারের চা এবং বর্তমানে সব থেকে বেশি ব্যবহৃত সবুজ চা আপনার হার্ট ভালো রাখতে অনেক বেশি ভূমিকা পালন করবে।
ক্যান্সার প্রতিরোধ চা অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। বিভিন্ন গবেষণা থেকে দেখা গেছে যে নিয়মিত গ্রিন টি খেলে শরীরে ক্যান্সারের কোষের বৃদ্ধি হতে সেটা বাধা দেয় যেটা আমাদের জন্য অনেক বড় একটি আশীর্বাদ।যাদের মাইগ্রেনের সমস্যা আছে তাদের মাইগ্রেনের সমস্যা প্রতিরোধের জন্য ক্যাফিন খাওয়া অত্যন্ত জরুরী আর এই ক্যাফিন এর ঘাটতি পূরণে চিনি ছাড়া এক কাপ রং চা অনেক বড় উপকার করতে পারে। এছাড়াও ল্যাভেন্ডার চা যদি নিয়মিত খান তাহলে সেখানে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাবেন যেটা আপনার মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল কে স্বাভাবিক রাখবে যা মাইগ্রেনের সমস্যা কে দূর করবে।এছাড়াও নিয়মিত চা খেলে নার্ভ শান্ত হয়ে থাকে এবং অনেক সময় অনেক জায়গাতে ব্যথা কমায় যেমন মাথার ব্যথা।
অতিরিক্ত চা খেলে কি ক্ষতি হয়
অতিরিক্ত চা খেলে সব থেকে বড় সমস্যা হচ্ছে চায়ের প্রতি নেশা সেটা আপনার জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। অবশ্যই এর জন্য আপনাকে অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে। অতিরিক্ত চা যারা খান তারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হতে পারেন তার কারণ হচ্ছে চায়ে চিনি খাওয়া অতিরিক্ত হলে সেটা ডায়াবেটিসের কারণ হবে।
কিছু কিছু রোগের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত চা খাওয়ার কারণে রাতে ঘুম কম এবং মানসিক ক্লান্তি বেড়ে যেতে পারে। অনেকের এই চা খাওয়ার ফলে খাদ্যের প্রতি অনিহা তৈরি হয় অর্থাৎ ক্ষুধা মন্দার সৃষ্টি হয়। তাই আমরা সকলে মিলে চেষ্টা করব চায়ের সঠিক উপকারিতা পেতে সঠিক সময় চা খেতে এবং সেটা পরিমিত পরিমাণে যাতে তার উপকারিতা গুলো আমরা সব পাই।