CRP বেশি হলে কি হয়

আমরা যখন অসুস্থ হই তখন অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যায় এবং ডাক্তারের কাছে গেলে সবার প্রথমে ডাক্তারের যে দায়িত্ব সেটা হচ্ছে রোগীর শরীরে উপসর্গের মাধ্যমে এটা নির্বাচন করার তার কি সমস্যা হয়েছে অর্থাৎ রোগ নির্ণয় করা। যদি কথাবার্তার মাধ্যমে বোঝা না যায় রোগীর কি সমস্যা হয়েছে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসা করা চেষ্টা করবেন বিভিন্ন ধরনের টেস্ট করতে এবং টেস্ট করানোর মাধ্যমে সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে। সিআরপি এরকম একটি টেস্ট যার মাধ্যমে চিকিৎসকেরা এটা নির্ধারণ করতে পারে কোন রোগীর শরীরে রিউমাটয়েট আর্থাইটিস এর উপসর্গ আছে কিনা।

আপনাদের জানিয়ে রাখি যে এই রোগে যারা আক্রান্ত হয়েছেন তারাই কেবল এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার কষ্টের কথা বলতে পারবে তার কারণ হচ্ছে অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক এবং বেদনাদায়ক একটি অভিজ্ঞতা। সাধারণত এই ধরনের রোগের শরীরে বিভিন্ন ধরনের উপসর্গ থাকে যার মাধ্যমে চিকিৎসকরা একটু একটু বুঝতে পারেন তার কি হয়েছে। কিন্তু এখানে চিকিৎসার জন্য যে ঔষধ ব্যবহার করতে হবে সেই ওষুধ অত্যন্ত শক্তিশালী একটি ঔষধ তাই কোনোভাবেই টেস্ট ছাড়া এটা করা যায় না তাই চিকিৎসা করে টেস্ট করতে দেন।

CRP টেস্ট কেন করা হয়

কেউ যদি প্রশ্ন করে এই টেস্ট কেন করানো হয় তাহলে বলতে হবে সাধারণত এই টেস্ট করানো হয় একটি রোগ নির্ণয়ের জন্য। সিআরপি এমন একটি উপাদান যা শরীরের রক্তের মধ্য দিয়ে আমাদের পুরো শরীরে চলাচল করে এবং এটার মাধ্যমে অনেক কিছু নিয়ন্ত্রিত হয়। সিআরপি টেস্টের মাধ্যমে এটা বোঝা যায় যে রক্ত ে এর উপস্থিতি আছে কি নাই যদি থাকে তাহলে অবশ্যই একটি রোগ হয়েছে এবং যদি না থাকে তাহলে সেই রোগ হয়নি। রিউমার্টেড আর্থাইটিস অত্যন্ত সাংঘাতিক একটি রোগ যেই রোগে আক্রান্ত হওয়ার পরে রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি প্রতিদিন হতে থাকে।

সাধারণত চিকিৎসকেরা চিকিৎসা দেওয়ার জন্য এবং সঠিক রোগ নির্ণয়ের জন্য সিআরপি টেস্ট করতে বলেন। আপনি যদি চিকিৎসকের কাছে যান নিজের অসুস্থতা নিয়ে এবং চিকিৎসক যদি আপনাকে সিআরপি টেস্ট করতে বলে তাহলে অনুরোধ থাকছে অবশ্যই সিআরপি টেস্ট করিয়ে নেবেন।

সিআরপি টেস্ট কিভাবে করে

অনেকেই জানতে চান সিআরপিতে কিভাবে করে। সাধারণত সিআরপি টেস্ট করার জন্য তেমন কিছু করতে হয় না এটা শুধুমাত্র রক্তের মাধ্যমে করা হয়। সিআরপি টেস্টের কারণে রোগীকে খুব বেশি কষ্ট করতে হয় না তাকে উপস্থিত স্থানে শুধুমাত্র শ্যাম্পু হিসেবে কিছু রক্ত দিতে হয়। যারা এই টেস্ট করান তারা সিরিঞ্জ এর মাধ্যমে অল্প কিছু রক্ত নিয়ে নেন এবং তার মাধ্যমে টেস্ট করে একদিন অথবা দুইদিন পরে রিপোর্ট প্রদান করে।

সিআরপি টেস্টের রেজাল্ট খারাপ হলে করণীয়

সিআরপি টেস্ট করানোর পরে যদি রেজাল্ট খারাপ আসে তাহলে কি করাবেন এরকম দুশ্চিন্তা অনেকের মাথায় থাকে। সাধারণত এই টেস্ট করানোর রোগীদের গিরায় গিরায় ব্যথা থাকে এবং শরীরের বিভিন্ন অংশতে প্রচন্ড ব্যথা থাকে। কোন ধরনের ঔষধ খেয়ে এই ব্যথা সেরে ওঠেনা এ ধরনের উপসর্গ যাদের আছে তাদের অবশ্যই এই টেস্ট করতে হবে এবং টেস্টের মান যদি খারাপ হয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিতে হবে নিয়মিত। এটা এমন একটি রোগ যেটাকে সব সময় ওষুধ এবং নিয়মের মাধ্যমে আপনাকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে কোনভাবেই অবহেলা করা যাবে না।

আরেকটি বড় ব্যাপার হলো এই উপাদানের পরিমাণ যদি রক্তের বৃদ্ধি পায় তাহলে হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের মতো সমস্যা হতে পারে তাই নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আপনাকে ঔষধ খেতে হবে। এটা মাথায় রাখতে হবে আপনি যদি নিয়ম মত এর চিকিৎসা না করান তাহলে সেটা কোনদিনও আপনার শরীরে নিয়ন্ত্রিত থাকবে না এবং যার কারণে প্রতিনিয়ত আপনাকে যন্ত্রণা এবং কষ্ট পেতে হবে। আশা করছি বিষয়গুলো আপনারা বুঝতে পেরেছেন।