IGE বেশি হলে কি হয়

দীর্ঘদিন ধরে এলার্জির বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আপনি কষ্ট করছেন। অনেক প্রচেষ্টায় যখন এই এলার্জির না কমে তখন আপনি একজন চিকিৎসকের কাছে গেলেন এবং চিকিৎসক আপনার সমস্যা আরও ভালোভাবে বোঝার জন্য একটি মেডিকেল টেস্ট করাতে বলল। এই মেডিকেল টেস্টের মাধ্যমে এটা নিশ্চিত হওয়া গেল আপনার শরীরে প্রচুর পরিমাণে এলার্জি আছে এবং সেই টেস্টের নাম হচ্ছে IGE। এ টেস্টের মাধ্যমে আপনার শরীরে যখন প্রচুর পরিমাণ ে এই উপাদান পাওয়া যায় তখন সাধারণত কি হতে পারে এরকম প্রশ্ন অনেকেই জানতে চান।

এই উপাদান রোগীর শরীরে বেশি হলে অবশ্যই সেই রোগীর বিভিন্ন ধরনের এলার্জি সমস্যা হয়। যেকোনো ধরনের এলার্জি সমস্যা অর্থাৎ আমাদের বিভিন্ন মানুষের জন্য বিভিন্ন ধরনের এলার্জির সমস্যা হয় সেই এলার্জির প্রকোপ বৃদ্ধি পাবে। যার শরীরে চুলকানি বেশি হয় তার শরীরে চুলকানির প্রকোপ বৃদ্ধি পাবে যার হাসি বেশি হয় তার হাঁচির প্রকোপ বৃদ্ধি পাবে এইভাবে আস্তে আস্তে প্রত্যেকটি জিনিস প্রচুর পরিমাণে বেড়ে যাবে IGE উপাদানের কারণে।

রক্তে এলার্জি বেশি হলে কি হয়

সাধারণত রক্তে এলার্জি বেশি হলে কি হয় সেটা নতুনভাবে আপনাদের কাছে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কিছু নেই। যারা এলার্জি নিয়ে দীর্ঘদিন বহু ধরনের কষ্ট করেছেন তারা আমার থেকে ভালোভাবে বলতে পারবেন সাধারণত রক্তে এলার্জি হলে কি হয়। সাধারণত মানব শরীরে যে রোগগুলো রয়েছে সেই রোগ গুলোর মধ্যে সবথেকে বিরক্তিকর সমস্যা হচ্ছে এই অ্যালার্জি। এর থেকে আরও বড় বড় এবং ভয়ানক সমস্যা হতে পারে কিন্তু এতটা বিরক্তি কখনোই কোন রোগে হয় না। সাধারণত রক্ত যদি এলার্জি বেশি হয় তাহলে অবশ্যই বিভিন্ন ধরনের এলার্জি রিঅ্যাকশন আপনার শরীরে ঘন ঘন দেখা দেবে এবং সেটা আপনাকে অসুস্থ করে দেবে।

প্রাকৃতিকভাবে রক্তে এলার্জি কমানোর উপায়

এলার্জি সাধারণত ঔষধের মাধ্যমে পুরোপুরি নির্মূল করা যায় না আবার এলার্জির যে ঔষধ গুলো আছে সেগুলো দীর্ঘদিন খাওয়া যায় না তার কারণ হচ্ছে এগুলোর বেশ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। আজকে আমরা প্রাকৃতিকভাবে এলার্জি কমানোর কিছু বুদ্ধি আপনাদের দেবো যে বুদ্ধিগুলো অনুসরণ করলে অবশ্যই এনার্জি প্রায় আশি পার্সেন্ট কমে যাবে আপনার শরীর থেকে।

সবার প্রথমে আপনাকে যেই নিয়মটি মানতে হবে সেটা হচ্ছে সুতির কাপড় পরিধান করা অর্থাৎ উল জাতীয় কাপড় পরিধান করলে সেখান থেকে অ্যালার্জির প্রভাব বৃদ্ধি পায়। তবে আপনি যদি উল জাতীয় পোশাক না পারেন এবং নিয়মিত সুতি জাতীয় পোশাক করেন তাহলে সেখান থেকে এলার্জির প্রভাব কমতে শুরু করবে। আমরা যে স্থানে অবস্থান করি সেই স্থানে যদি অতিরিক্ত ধুলাবালি থাকে তাহলে সেখান থেকে অ্যালার্জি বেড়ে যাবে তাই এমন স্থানে থাকার চেষ্টা করুন যেখানে অতিরিক্ত ধুলাবালি নেই। আমরা যে রুমে থাকি সেই রুমের আসবাবপত্রে যদি ধুলাবালি পরে তাহলে সেখান থেকে এলার্জি বৃদ্ধি পেতে পারে তাই চেষ্টা করুন আসবাবপত্র গুলো সব সময় পরিষ্কার রাখতে।।

অনেক ঔষধ আছে যে ওষুধগুলো সে অনেক ফলে রোগের এলার্জি বাড়তে পারে তাই সেই ঔষধ গুলো সেবন করা পরিহার করুন। বিভিন্ন জনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন খাবার থেকে এলার্জি বেশি হয় তাই আপনার কোন খাবারে এলার্জি বেশি আছে সেই খাবারগুলো সম্পর্কে জানুন এবং সেই খাবারগুলো একেবারে বর্জন করুন অর্থাৎ সেই খাবারগুলো খাওয়া ছেড়ে দিন।

কিভাবে এলার্জি কমাবো

কিছু কিছু বাড়িতে দেখা যায় যে গৃহপালিত পশু হিসেবে বেড়া অথবা কুকুর পোষা হয় এগুলো এলার্জি হওয়ার অন্যতম কারণ। তাই চেষ্টা করুন এই ধরনের পশুপাখি গুলো যেন না পোষা হয় তাহলে অবশ্যই সেই বাড়িতে এলার্জির প্রভাব কমে যাবে। আর বাইরে বেড়ানোর সময় অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করুন যার মাধ্যমে এলার্জি প্রাকৃতিকভাবে কমতে শুরু করবে আপনার শরীর থেকে। মূলত এই নিয়মগুলো যদি আপনি সঠিকভাবে মানতে পারেন তাহলে এলার্জি এমনিতেই কমে যাবে এর পাশাপাশি চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে বিভিন্ন সময়।