চলে এসেছি আবারো আপনাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মেডিকেল রিলেটেড কিছু তথ্য নিয়ে যেটা কোন সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত। লিভার ফাংশন আমরা অনেকেই শুনেছি আবার অনেকেই কিছুই জানিনা। আমরা যে খাবারগুলো খাই সেই খাবারগুলো খাওয়ার পর থেকে মলত্যাগ করা পর্যন্ত যে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাই সেটা কি মূলত লিভার ফাংশন বলা হয়ে থাকে। এর মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ এবং সব থেকে বড় অঙ্গ হচ্ছে আমাদের লিভার অর্থাৎ যকৃত। আমরা যেটাকে পাকস্থলী বলে থাকি।
জন্ম হওয়ার কয়েক মাস আগে থেকেই মূলত এই পাকস্থলের সকল কাজকর্ম শুরু হয়ে যায় এবং মৃত্যু কাল পর্যন্ত এটা চলমান থাকে। এই অবস্থাতে কতই না কষ্ট করতে হয় এই একটি অঙ্গকে যেখানে কত বিষাক্ত জিনিস খেয়ে হজম করা কত সুস্বাদু জিনিস খেয়ে হজম করা কত ধরনের কাজ না করতে হয় এটাকে। স্বাভাবিকভাবেই এই লিভারেজে কোন ধরনের সমস্যা হতেই পারে যদি কোন সমস্যা হয় তাহলে সেটা আমরা কিভাবে বুঝব। অবশ্যই কিছু উপসর্গ আমাদের শরীরে দেখা দেবে তার পাশাপাশি একটি মেডিকেল টেস্ট বা দুইটি মেডিকেল টেস্ট এর মাধ্যমে এটা নিশ্চিত হওয়া যায় এবং তার মধ্যে একটি টেস্টের নাম হচ্ছে SGOT।
SGOT টেস্ট করার পদ্ধতি
সাধারণত এই টেস্ট করার তেমন কোন পদ্ধতি নেই সাধারণ একটি পদ্ধতি রয়েছে। সাধারণ পদ্ধতি বলতে আপনার শরীরে অর্থাৎ রোগীর শরীরে যদি কোন ধরনের সমস্যা হয় তাহলে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। চিকিৎসক রোগের শরীরের বিভিন্ন উপসর্গ এবং রোগীর বিভিন্ন কষ্টের কথা শোনার পরে যদি ধারণা করেন তার লিভারে কোন সমস্যা হয়েছে তাহলে তিনি SGOT টেস্ট করার পরামর্শ দিতে পারেন। এরপরে রোগীকে প্যাথলজিক্যাল ল্যাবে উপস্থিত হয়ে শুধুমাত্র রক্তের স্যাম্পল দিতে হবে এবং অপেক্ষা করতে হবে কিছুক্ষণের মধ্যে এই টেস্টের রিপোর্ট প্রদান করা হবে। এই টেস্ট করার জন্য খুব একটা প্রস্তুতির প্রয়োজন নেই তাই খুব সহজেই এই টেস্ট হয়।
SGOT টেস্ট করার খরচ
খরচ নিয়ে সকলের সব সময় চিন্তা থাকে তার কারণ হচ্ছে মধ্য আয়ের এই সমাজের সব সময় খরচের কথা আগে চিন্তা করতে হয়। বাইরে থেকে অনেকে এমন আছেন যারা নিজের চিকিৎসা পর্যন্ত করাতে পারছেন না খরচের কারণে আবার কাউকে কিছু বলতে পারছেন না এরকম আদর্শ মানুষ আমাদের সমাজে এখনও রয়েছে। আজকে আমরা আপনাদের জানাবো এই টেস্টের মূল খরচ এবং এটা একেবারেই সামান্য। আপনি যদি সরকারি হাসপাতালে SGOT টেস্ট করাতে চান তাহলে আপনার খরচ হতে পারে সর্বোচ্চ 200 থেকে ২৫০ টাকা। তবে যদি আপনি বেসরকারি হাসপাতালে টেস্ট করাতে চান তাহলে 400 টাকা থেকে 450 টাকা খরচ হতে পারে।
SGOT বেড়ে যায় যে রোগের কারণে
টেস্ট করানোর মাধ্যমে জানা গেছে যে আপনার রক্তে SGOT পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এগুলো সাধারণত কোন কোন রোগের লক্ষণ সেটা এখন আমরা আপনাদের জানাবো। তবে আগে বলে রাখছি এখান থেকে দুশ্চিন্তা করার কোন কারণ নেই এখানে দুশ্চিন্তা করার মতন কোনো সমস্যা হবে বলে আমি মনে করছি না।
অনেক রোগীদের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ধরে জন্ডিস হলে এবং জন্ডিসের কারণে ত্বকের কালার যদি হলুদ হয়ে যায় তাহলে এখানে এই টেস্টের মান বেশি হতে পারে। শরীরে অতিরিক্ত দুর্বল এবং ক্লান্তি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে এই টেস্টের মান বৃদ্ধি পেতে পারে। অনেকের ক্ষেত্রে শ্বাস-প্রশ্বাসের কষ্ট এর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে কিছু সাংঘাতিক রোগ আছে চলুন রোগের নাম গুলো নিচে জানার চেষ্টা করি যার কারণে এই টেস্টের মান বেশি হতে পারে।
হেপাটাইটিস
লিভার সিরোসিস
লিভারের টিস্যুর ক্ষতি
লিভার ক্যান্সার
লিভার টিউমার
লিভারে রক্ত চলাচলের বাধা
উপরে উল্লেখিত রোগ গুলো অত্যন্ত সাংঘাতিক রোগ তাই অনুরোধ থাকবে এ রোগের যেকোনো ধরনের উপসর্গ আপনার শরীরে দেখা দিলে দেরি না করে চিকিৎসার আওতায় আসুন। আপনার একটু অবহেলা আপনার এবং আপনার পরিবারের ভবিষ্যতকে নষ্ট করে দিতে পারে।