রক্তে এলার্জি বেশি হলে কি হয়

যদি কারো রক্তে এলার্জি বেশি হয় তাহলে অবশ্যই সেটা বোঝা যায়। রক্ত যদি এলার্জি পরিমাণ বেশি হয় তাহলে একজন রোগী কিভাবে সেটা বুঝতে পারবে এবং সেটা থেকে বাঁচার জন্য কি করবে সে সম্পর্কে মূলত আজকে আমরা আপনাদের জানাবো। এলার্জির অবশ্যই কিছু লক্ষণ আছে। তবে যদি রক্তের এলার্জির পরিমাণ বেড়ে যায় তাহলে রোগী যে লক্ষণগুলো দেখতে পাবেন সেগুলো অবশ্যই অত্যন্ত সাংঘাতিক।

যেমন মনে করুন হঠাৎ করে শরীরের বিভিন্ন জায়গাতে চাকার মত বের হওয়া এবং খুব তাড়াতাড়ি সেগুলো গোটা শরীরের ছড়িয়ে যাওয়া রক্তের প্রচুর পরিমাণে এলার্জির একটি লক্ষণ। এর পাশাপাশি রক্তে এলার্জির লক্ষণ এর মধ্যে আরেকটি বড় ধরনের সমস্যা হচ্ছে পুরো শরীর লাল হয়ে যেতে পারে এবং পুরো শরীর চুলকাতে পারে যেটা অসহ্যকর একটি যন্ত্রণা এবং অসহ্যকর একটি বিরক্তিকর অভিজ্ঞতা।

রক্তের এলার্জির কারণে আরো যে সমস্যা হতে পারে সেটা হচ্ছে শ্বাসকষ্ট। হঠাৎ করে কারো যদি রক্তে এলার্জি প্রচুর পরিমাণে বেড়ে যায় তাহলে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাবে এবং এর সঙ্গে হাঁচি অথবা কাশি তৈরি হতে পারে অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে নাক দিয়ে পানি পড়া বা নাক চুলকানি আবার অনেকের চোখ দিয়ে পানি পড়া বা চোখ চুলকানির মতন সমস্যা হয়েছে।সাধারণত এই ধরনের সমস্যা যদি হঠাৎ করে দেখা যায় তাহলে অবশ্যই ধরে নিতে হবে রক্তে এলার্জির পরিমাণ বেড়ে গেছে। চেষ্টা করতে হবে যত দ্রুত সম্ভব একজন ভালো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এই বিষয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করতে।

রক্তে এলার্জির চিকিৎসা

রক্তের এলার্জি চিকিৎসার ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি পদ্ধতি আছে। সাধারণত রক্তে যে এলার্জি আছে তার পরিমাণ এর উপর নির্ভর করেই মূলত এই চিকিৎসা পদ্ধতি দেওয়া হয়। সাধারণত যাদের একেবারেই কম অ্যালার্জি আছে তাদের ক্ষেত্রে খুব কম সামান্য ঔষধ যেমন অ্যান্টিহিস্টামিন জাতীয় ঔষধ এবং কিছু নিয়ম দেওয়া হয় যে নিয়মগুলো মানলে এবং ওষুধগুলো খেলে খুব অল্পতেই এলার্জি ভালো হয়ে যায়।

তবে যাদের গুরুতর সমস্যা আছে তাদের ক্ষেত্রে এলার্জি নিয়ন্ত্রণের জন্য অ্যালার্জি পরীক্ষা থেকে শুরু করে অনেক ঔষধ এবং অনেক নিয়ম আছে। এক্ষেত্রে অনেকেই হোমিও ঔষধের উপর নির্ভরশীল আবার অনেকেই আছেন যারা আয়ুর্বেদ ঔষধের উপর নির্ভরশীল। সবমিলিয়ে এলার্জির চিকিৎসা ব্যবস্থা আছে তবে এখানে চিকিৎসা ব্যবস্থাতে যে ঔষধের ব্যবহার করা হয় তার থেকে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে পরিবেশ।

আমি অভিজ্ঞতা থেকে এতোটুকু জানতে পেরেছি এক ব্যক্তির এলার্জির কারণে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতো। তার এই এলার্জির সমস্যা সাধারণত রক্তে বিভিন্ন দূষিত পদার্থ থাকার কারণে হয়েছে। খাবারে খুব একটা এলার্জি বোঝা না গেলেও মাঝেমধ্যে বোঝা যেত কিন্তু এই এলার্জির কারণে তাকে হাঁচি এবং বিভিন্ন সময় জ্বর সর্দি ও অন্যান্য সমস্যা তে অনেক কষ্ট করতে হতো।তিনি যখন চিকিৎসকের কাছে যান চিকিৎসক তাকে ঔষধ দেন সেটা একেবারে সামান্য কিন্তু তাকে দু একটা অভ্যাস তৈরি করতে বলেন যে অভ্যাসের কারণে এলার্জি কমবে।

সে ফিরে আসার পরে সেই অভ্যাসগুলো তৈরি করে আর এসে অভ্যাসগুলোর মধ্যে একটি অভ্যাস হচ্ছে গরম পানি খাওয়া সম্ভব হলে একেবারে মিনারেল ওয়াটার খাওয়ার অভ্যাস। অভ্যাসের পাশাপাশি এমন পরিবেশে থাকা যেখানে ধুলাবালি কম আছে। আমরা ঘুমাতে যাওয়ার সময় যে বালিশটা ব্যবহার করি প্রতি বছর সেই বালিশ পরিবর্তন। আমরা যে বিছানায় শুতে যাই সেই বিছানার চাদর প্রতিবছর পরিবর্তন। এবং আমরা যে পোশাকগুলো প্রতিদিন পরিধান করি সেগুলো যেন ধোয়া পোশাক হয়। সর্বোপরি মার্কস ব্যবহার।

এই জিনিসগুলো সেই ব্যক্তি যখন অভ্যাসে পরিণত করলো তখন তার এলার্জি ঔষধ ছাড়াই সত্তর পার্সেন্ট থেকে আশি পার্সেন্ট কমে গেল। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা কার ক্ষেত্রে কিভাবে এলার্জি ভালো হবে সেটা কেউ বলতে পারে না তাই আপনাকে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।