এজিপিটিভ বেশি হলে কি হয়

লিভার ফাংশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস। বেঁচে থাকার জন্য যখন আমরা কোন কিছু খাই তখন সেই খাবার খাওয়া থেকে শুরু করে শরীর থেকে বেরিয়ে যাওয়া পর্যন্ত যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অতিক্রম করে তার মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি জায়গা হচ্ছে লিভার। এই লিভার আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ তাই লিভার কে সবসময় ভালো রাখা আমাদের দায়িত্ব।যারা খাদ্য রসিক আছেন তাদের কাছে অনুরোধ থাকবে অবশ্যই ক্ষুধা নিবারনের জন্য খাবারের প্রয়োজন আছে কিন্তু সে খাবার যদি প্রয়োজনের বেশি হয়ে যায় সেটা আপনার জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। নিজের সুস্থতা নিশ্চিত করার জন্য এবং নিজের পরিবারের ভবিষ্যৎকে ঠিক রাখার জন্য সব সময় নিজের লিভার কে ভালো রাখতে হবে।

আর নিজের লিভার ভালো আছে কিনা তার জানার সাধারন এবং প্রধান টেস্ট হচ্ছে এস জিপিটি। কারো যদি এই টেস্টের পরিমাণ অনেক বেশি হয় তাহলে সেই ব্যক্তি কি করতে পারে সে সম্পর্কে আজকে আলোচনা করা হবে। তাই যারা এসজিপিটি টেস্ট করানোর জন্য পরিকল্পনা করছেন তাদেরকে বলব ধৈর্য সহকারে আমাদের এখান থেকে জানার চেষ্টা করুন এসজিপিটি টেস্ট সম্পর্কে খুঁটিনাটি।

লিভারের সমস্যা লক্ষণ

হঠাৎ করে পেটে ব্যথা কিছু খেলেই সঙ্গে সঙ্গে বমি হচ্ছে এবং প্রচুর পরিমাণে জ্বালাপোড়া হচ্ছে। এমন সমস্যা আগে কখনো হয়নি কিন্তু এখন হচ্ছে। অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে ক্ষুধা মন্দার সৃষ্টি হচ্ছে। এই সমস্যাগুলোই মূলত লিভারের সমস্যা প্রদান কারণ। এগুলো সাধারণ সমস্যার লক্ষণ তবে যদি বড় কোন রোগ হয়ে থাকে সেই সমস্যার লক্ষণগুলো আলাদা হবে যেগুলো সহজে বোঝা যায় না।

তাই লিভারের সমস্যা সমাধানে আপনাকে সবার প্রথমে পরীক্ষা করতে হবে এসজিপিটি। এটাকে লিভার ফাংশন টেস্ট বলা হয় এবং এই টেস্টের রিপোর্ট যদি বেশি হয় তাহলে অবশ্যই এটা ভয়ের কারণ যেটা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য নিয়মিত একজন ভালো লিভার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে আপনাকে দেখাতে হবে। এরপরে তিনি যেভাবে আপনাকে জীবন যাপন করতে বলে অর্থাৎ আপনার খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন করতে বলে এবং ওষুধ সেবন করতে বলে ঠিক সেই ভাবেই আপনাকে চলতে হবে সুস্থ থাকতে হলে। এটা খুব একটা ভয়ের কারণ নয় তবে যদি গুরুতর কোন সমস্যা হয় তাহলে সেটা ভয়ের কারণ হতে পারে তার জন্য আরো অনেক টেস্টের প্রয়োজন রয়েছে।

এসজিপিটি কিভাবে পরীক্ষা করে

এই পরীক্ষাটি সাধারণত প্যাথলজিকাল ল্যাবে করানো হয় রোগীর শরীর থেকে স্যাম্পল হিসেবে ব্লাড কালেকশন করে। যে রোগীকে চিকিৎসা করা এই পরীক্ষা করাতে বলে সেই রোগী সরাসরি প্যাথলজিক্যাল ল্যাবে উপস্থিত হবেন এবং সেখানে নিজের শরীর থেকে কিছু পরিমাণ রক্ত দেবেন যার মাধ্যমে পরীক্ষার রেজাল্ট জানতে পারবেন।যাদের মনে কোন ধরনের ভুল ধারণা আছে অর্থাৎ এই টেস্ট সম্পর্কে অনেক ভুল ধারণা যেমন এই টেস্ট করতে অনেক কষ্ট করতে হয় রোগীকে অনেক সমস্যায় পড়তে হয় রোগীকে এই ধরনের ভুল ধারণা একেবারেই ঝেড়ে ফেলুন। আবার যারা ডাক্তারের উপর মাতাব্বরি করে এই টেস্টকে একেবারেই অবহেলা করেন তাদেরকে বলবো অবহেলা করা যাবে না তার কারণ হচ্ছে লিভার এমন একটি জিনিস যেটা অকেজ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আপনার পুরো শরীর অকেজো হয়ে যাবে।

এজিপিটি টেস্ট করার খরচ

অনেকেই এই টেস্ট করার পরিকল্পনা স্বরূপ জানতে চাই এর খরচ কত হতে পারে। বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে বলছি আপনি যদি সরকারি হাসপাতালে এই পরীক্ষা করাতে চান তাহলে আপনার খরচ হতে পারে ২০০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা। আর বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এই পরীক্ষা করাতে গেলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ধরন অনুযায়ী 250 টাকা থেকে ৫০০ টাকার মত খরচ হতে পারে। রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে এই টাকা খুবই সামান্য তাই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিজেকে সুস্থ রাখতে যতটা তাড়াতাড়ি সম্ভব এসজিপিটি টেস্ট করিয়ে নিশ্চিত হন।