গলব্লাডার না থাকলে কি হয়

যদি গলব্লাডারে পাথর হয় এবং সেটি অপারেশনের মাধ্যমে অপসারণ করা হয় তাহলে কি সমস্যা হতে পারে অনেকেই এই বিষয়টি জানতে চান। গলব্লাডার মূলত পিত্তথলি যেটাকে আমরা বাংলাতে পিত্তথলি বললে বেশি চিনব। আমরা ছোটবেলা থেকে শুনে আসছি পিত্তথলির পাথর একটি বড় সমস্যা এই পিত্তথলির পাথর অপসারণের জন্য বহু অপারেশন এবং বহু চিকিৎসা পদ্ধতি বের হয়েছে।যাদের পিত্তথলির পাথর অপারেশনের সময় তীর্থতলে অপারেশন করা হয় এবং সেটা অপসারণ করা হয় তাদের ক্ষেত্রে পরবর্তীতে কি অভিজ্ঞতা হয় সে সম্পর্কে আজকে আলোচনা করার চেষ্টা করব। সাধারণত গলব্লাডারে বিভিন্ন ধরনের পাথর দেখা দিতে পারে এবং এখানে বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসার প্রয়োজন পড়ে তবে যদি গলব্লাডারকে বাদ দেওয়া হয় তাহলে কি হতে পারে সেটা জানব।

কিভাবে অপারেশন ছাড়া গলব্লাডার পাথর অপসারণ করতে হয়

সাধারণত লেপারোস কপি সার্জারির মাধ্যমে এই কাজটি করা হয়। এটা গলব্লাডার কেটে ফেলে দেওয়া সবথেকে প্রচলিত পদ্ধতি। সাধারণত উচ্চ তীব্রতা সম্পন্ন আলোর সঙ্গে ল্যাপারোস্কপির নামক একটি ক্যামেরাকে আপনার নাভির ছোট্ট ছেদ দিয়ে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় এবং এরপর সার্জিক্যাল সরঞ্জাম ঢোকানোর জন্য ক্ষত করে তিনটিতে ছোট ছোট ফুটো করে এর মাধ্যমে সম্পূর্ণ সার্জারি সম্পাদন করা হয়। গলব্লাডার কে লিভার থেকে ছিন্ন করে এবং পিত্তনালী ও রক্তনালী থেকে এর সংযোগ কেটে দেওয়ার পর এটাকে নাভির ফুটো দিয়ে বের করে আনা হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় এই গলব্লাডার কে লেপারস্কপি করে সুরক্ষিত ভাবে বের করা যায় না যেমন তিন থেকে পাঁচ পার্সেন্ট রোগীদের ক্ষেত্রে এমন হয়ে থাকে।

তখন চিরাচরিত ওপেন টেকনিক অর্থাৎ পেট কেটে সার্জারি মাধ্যমে এটা বের করা হয় তার কারণ হচ্ছে এটা ল্যাপারোস্কপি মাধ্যমে বের করার মতন ছোট অবস্থানে থাকে না। গলব্লাডার এমন একটি মজুদ কারী প্রত্যঙ্গ এটা নিয়মিত সময় ব্যবধানে সংকুচিত হয়ে পিত্তকে ক্ষুদ্রান্তে পাঠিয়ে দেয়। যার কারণে গলব্লাডার না থাকলেও লিভার থেকে ক্রমাগত পিত্ত তৈরি হবে এবং ক্রমাগত ক্ষুদ্রান্তে চলে যাবে। স্বাস্থ্যসম্মত ক্রিয়া-কলাপের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত পিত্তকে জমা করবে পিত্তোনালী তাই গলব্লাডার এখানে যদি না থাকে তাহলে রোগের তেমন কোন বড় সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

গলব্লাডার অপারেশনের পর কি খাওয়া উচিত

সাধারণত গলব্লাডার অপারেশন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ল্যাপারোস্কপি সার্জারি মাধ্যমে করানো হয়। এক্ষেত্রে অপারেশনের পূর্বে থেকে রোগীদের কিছু খাবার কথা উল্লেখ করা হয় যেমন একেবারে হালকা খাবার বলতে গেলে নরম ভাত অথবা সম্ভব হলে সুপ খেতে হবে। ফলমূল খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে কিছুদিন তার কারণ হচ্ছে এগুলো ফাইবার যুক্ত খাবার যা হজম হতে অনেক সময় লাগে। সাধারণত এই ধরনের তরল জাতীয় খাবার খাবার অনুমতি দেওয়া হয় ল্যাপারোস্কোপিক সার্জারির আগে এবং পরে কিছুদিন। তাই চিকিৎসকের আপনাদের যে নিয়ম মানতে বলেছে অবশ্যই সেই নিয়ম আপনাকে কষ্ট করে হলেও কিছুদিন মানতে হবে পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার জন্য।

গলব্লাডারে পাথর হলে কি খেলে ভালো হবে

সাধারণত এই পাথর কোন ঔষধের মাধ্যমে ভালো হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম থাকে। এই স্থানে যদি পাথরের সৃষ্টি হয় তাহলে প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে সেটা সবথেকে ভালো। প্রাথমিক পর্যায়ে যদি ধরা না পড়ে তাহলে এমন জটিল পর্যায়ে এসে এটা অপারেশন করা অনেক কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়ায়। এখানে যদি পাথরগুলোর সাইজ খুব ছোট থাকে তাহলে ল্যাপারোস্কপে সার্জারির মাধ্যমে খুব সহজেই সেটা বের করা যায় কিন্তু যদি পাথরগুলো সাইজ অনেক বড় হয় তাহলে অনেক সময় পেট কেটে অপারেশন করা লাগে। ল্যাপারোস্কোপিক সার্জারির মাধ্যমে যদি এটা সম্পূর্ণ করা হয় তাহলে রোগীর শরীরের ক্ষতর পরিমাণ খুব কম থাকে এবং সেখান থেকে খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হতে পারে একজন রোগী।