বেশিরভাগ রোগীর ক্ষেত্রে আমরা শুনে এসেছি যে হিমোগ্লোবিন কম আছে কিন্তু এমন রোগীর সংখ্যা খুব কম পাওয়া যাবে। আজকে আমরা জানার চেষ্টা করব হিমোগ্লোবিন যাদের বৃদ্ধি পায় তাদের ক্ষেত্রে কোন কোন সমস্যা হতে পারে। হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি পেলে সাধারণত কিছু সমস্যা হয় যে সমস্যা গুলো একজন ঢুকে নিজেই উপলব্ধি করতে পারে যার জন্য অবশ্যই তাকে সতর্ক অবস্থানে থাকতে হবে। তবে আপনি যদি বুঝতে না পারেন এই সমস্যাগুলো কেন হয় আপনার জানা না থাকে তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন না তাই আজকের এই আর্টিকেল আপনাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
আমরা অবশ্যই হিমোগ্লোবিনের স্বাভাবিক মাত্রা সম্পর্কে অবগত আছি যদি না হয় তাহলে আমাদের ওয়েবসাইট আপনাকে সেই কাজে সাহায্য করবে তবে এর পাশাপাশি হিমোগ্লোকে যদি এই স্বাভাবিক মাত্রা থেকে বেশি হয় তাহলে কি হতে পারে সেটাও এখন আমরা আপনাদের জানাবো। প্রতি ডেসিলিটারে পুরুষের ক্ষেত্রে হিমোগ্লোবিনের স্বাভাবিক মাত্রা ১৪গ্রাম থেকে ১৮ গ্রাম। আর মহিলাদের ক্ষেত্রে এই মাত্রা ১২ গ্রাম থেকে ১৬ গ্রাম। তবে এই মান যদি বেড়ে যায় তাহলে কি সমস্যা হতে পারে সে সম্পর্কে আমরা জানবো এই সমস্যাগুলোর লক্ষণ গুলো জানব।
যে লক্ষণ গুলো দেখা যায় সেগুলোর মধ্যে প্রথমে লক্ষণ হচ্ছে মাথা ঘোরা এবং অত্যাধিক ঘামা। যাদের শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বেড়ে যায় তাদের মাথা ঘোরা এবং ঘামার সমস্যা একইসঙ্গে দেখা দিতে পারে এবং যেকোন স্থানে কেটে গেলে রক্তপাতের সংখ্যা বেশি হয়। অনেকের ক্ষেত্রে শরীর ফুলে যেতে পারে হিমোগ্লোবিনের বেশি হওয়ার কারণে অনেকের জন্ডিস অথবা বিভিন্ন ধরনের দুর্বলতা সৃষ্টি হতে পারে হিমোগ্লোবিন বেড়ে গেলে।
কিছু কিছু রোগীর ক্ষেত্রে হিমোগ্লোবিনের বেড়ে যাওয়ার কারণে অনিয়মিত হৃদ স্পন্দন সৃষ্টি হতে পারে।এর পাশাপাশি হাত পা ঠান্ডা হয়ে যাওয়ার মত নিয়মিত সমস্যায় পড়তে পারেন সেই রোগী। এ সমস্যাগুলো থেকে বেরিয়ে আসতে না আসতেই ঘন ঘন মাথাব্যথা এবং নিঃশ্বাসের দুর্বলতা সৃষ্টি হতে পারে। অনেক রোগীদের ক্ষেত্রে বুকে ব্যথা এবং অস্বাভাবিক ওজনরা ও রেগুনি রংয়ের ফুসকুড়ি বের হতে পারে শরীরের বিভিন্ন স্থানে। তাদের বিভিন্ন স্থানে কোন ধরনের কারণ ছাড়াই চুলকানি দেখা দিতে পারে হিমোগ্লোবিন বেশি হওয়ার কারণে। এই সমস্যাগুলো বা এই উপসর্গ যদি কারো শরীরে দেখা যায় একই সঙ্গে তাহলে অবশ্যই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন।
হিমোগ্লোবিন কত হলে রক্ত দিতে হয়
হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি পেলে যেমন সমস্যা হয় হিমোগ্লোবিন কমে গেলে তার থেকে বড় ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। তাই আমাদের প্রত্যেকের এটা জেনে রাখা উচিত আমাদের শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা সঠিক আদর্শ মান কত আমরা যদি এটা জেনে রাখতে পারি তাহলে সেটা আমাদের জন্য উপকারী একটি জিনিস। সাধারণত একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ অথবা মহিলার শরীরের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা যদি প্রতি ডেসিলিটারে সাত ৭ এর নিচে হয় তাহলে সেটা বিপদজনক এবং তখন যত দ্রুত সম্ভব রক্ত দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।
হিমোগ্লোবিন কম হওয়ার কারণ
কম হওয়ার বড় কারণ হচ্ছে থ্যালাসেমিয়া। এছাড়াও আরো কিছু সাধারণ কারণ আছে যেগুলো হিমোগ্লোবিন কমতে প্রভাবিত করে আপনার শরীরকে। শরীরের বিভিন্ন ধরনের দুর্বলতা হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার কারণ। অন্যান ্য ওষুধের প্রভাবেও শরীরে হিমোগ্লোবিন কমে যেতে পারে। মেয়েদের ক্ষেত্রে অনিয়মিত মাসিক অথবা গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন কমে যেতে পারে। এছাড়াও পুষ্টিকর খাবার কম খাওয়া এবং অপুষ্টিতে ভোগা হিমোগ্লোবিন কম হওয়ার অন্যতম কারণ।
তাই আমাদের সবার প্রথমে হিমোগ্লোবিন কম হয়ে যাওয়ার কারণ গুলো চিহ্নিত করতে হবে যে কারণগুলো আমরা সঠিকভাবে চিহ্নিত করতে পারলে অবশ্যই এটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারব। সঠিকভাবে হিমোগ্লোবিন কে নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্যাপার যেটা সকলের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয়।